অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই ভালবাসা কারে কয়?
এখানে সার্বিক মানে, পরিবার, প্রকৃতি, সংস্কৃতির প্রতি ভালবাসার কথা হবে না। নর-নারীদের একে অপরের প্রতি ভালবাসা'র কথা হবে, যাকে বলে , প্রেম!
সরাসরি টপিকে যাই,
ব্যাক্তি'র প্রতি অথবা বৈশিষ্টের প্রতি ভাললাগাই প্রেম।
প্রেম ২ প্রকারের।
প্রথমটি'র নাম দেয়া যেতে পারে, "লব্ধ প্রেম" :
একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে দেখার পর বা তার সাথে পরিচিত হবার পর তার বাহ্যিক রূপে বা মানসিক উৎকর্ষতায় মুগ্ধ হয়ে যায়! চেহারা, চুল, রঙ, পোষাক, দৈহিক গঠন দেখে তাকে কামনা করতে লাগে।
অথবা একজনের মেধা, চিন্তাশৈলী, আচরন, কথা বলার ভঙ্গিতে মুগ্ধ হয়ে তার সান্নিধ্য চাইতে আরম্ভ করে।
এটা তৈরী হয় ব্যাক্তিটিকে দেখার পর। ব্যাক্তির মাঝে ইতিমধ্যেই যা আছে সেটার প্রতি অপর ব্যাক্তির ভাললাগা / আকর্ষন / কামনাকেই বলা হবে, লব্ধ প্রেম!
উদাহরন: দৈনন্দিন জীবনে কাউকে দেখে তাকে কামনা করা।
-----------------------------------------------------------------
দ্বিতীয়টার নাম দেয়া যায়, "কাঙ্খিত প্রেম"।
মানুষ শৈশবের শেষ দিকে এসেই প্রেম / ভালবাসা নামের কনসেপ্টের সাথে পরিচিত হয়ে যায়। তখন সে নিজের মনে এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা ডেভেলপ করে।
সে তার পছন্দের কিছু বৈশিষ্ট, উপরের বর্ণনা অনুযায়ী বাহ্যিক রূপ অথবা মানসিকতা'র একটি মানদন্ড বা "প্রেফারেন্স" নিজ মনে তৈরী করে। কল্পনায় একজন মানুষ বা মানসিকতা আঁকে।
এবং পরবর্তীতে সেই বৈশিষ্ট / উপাদান সম্বলিত মানুষটিকে খুঁজতে থাকে। কিছুটা মিল পেলেই আকাঙ্খা করা মানুষটি "আকাঙ্খিত" মানুষটির কাছে এসে তার পূর্বানুমানকৃত আকাঙ্খাগুলো মিলিয়ে দেখে। এটাই কাঙ্খিত প্রেম!
উদাহরন : সৎ, শিল্পমনা, বিত্তবান, সুদর্শন প্রেমিক / প্রেমিকা কামনা করা।
------------------------------------------
রবি'দা এই প্রশ্নটা করেছিল যাতে ওনার ভক্তরা এর সংজ্ঞা বুঝে প্রেম করে, কারন, প্রেমের সংজ্ঞাটা বুঝলে, এর সম্পর্কে সচ্ছ ধারনা থাকলে, প্রেম / ভালবাসা'র সম্পর্ক এড়িয়ে থাকা অথবা চলমান সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সহজ হয়ে যায়! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।