আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কত সমস্যা !!!! ভালো মানের পাঠক চাই তারপর লিখব ভাবছি।

কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন..... ঘুমের প্রস্তুতের সময় জানতে পারলাম আবার বাড়লো তেলের দাম। সরকার সব সময় মনে করেন সব টাকা তাদের কাছেই আছে যারা গাড়ী দাবায়া বেড়ায় । কিন্তু নিজেরা সরকারকে ট্যাক্স না নিয়ে গাড়ী দাবান। ট্রাক্স ফ্রি গাড়ীর জন্যে অর্থমন্ত্রীর কাছে ধরনা দেন। রাস্তার যানজটের জন্যে মধ্যবিত্তদের গাড়ী বেড়ে যাওয়া কে দায়ী করেন।

মধ্যবিত্ত সংঙ্গা নিয়ে গতরাতে বেশ সমস্যায় পড়ে ছিলাম। কাদেরকে মধ্য বিত্ত বলা যেতে পারে ? যাদের একটা পুরাতন গাড়ী আছে বা পার্লারে যান । অথবা পার্সোনায় যান বাচ্চা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে বা কিন্ডার গার্ডেনে পড়ে । বা কৃষক যাদের ৩ ফসলা ২ হাল জমি আছে বছরে যাদের ইনকাম অনেক অনেক মধ্যবিত্তদের থেকে বেশী। অথবা মধ্যবিত্ত তারাই যারা প্রতিবার সরকারের বেধে রাখা ট্রেপে পড়েন।

মাসের ইনকাম প্রথম ১৬ দিনে শেষ। তারপর হুগামারা দেন ব্যংকের কাছ থেকে গয়নাগাটি বন্ধক রেখে সংসার চালান। এই আসায় যে দিন ঘুরবে , সেই আশায় গুড়ে বালি । চক্র বৃদ্ধি সুদের ফাঁদে পা দেন। এই মধ্য বিত্তের সংঙ্গা নিম্ন বিত্তের চেয়ে একটু উপড়ে মাত্র।

যারা সংখ্যায় প্রায় ৯৯% যার ভিক্ষা করে তারা ০.৫০% যারা কোটি টাকার গাড়ী হাঁকান তারা ০.৫০%। কিন্তু অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি এই নিম্ন মধ্যবিত্তের গুরুত্বপুর্ন অংশটি যা মধ্যবিত্ত নামে সংঙ্গায়ীত। যে অংশটি বিগত কয়েক দশকে সরকারে অনেক অবহেলায় পড়া স্বত্বেও নিজস্ব উদ্দোগে একটা উদ্দোগতা শ্রেণী তৈরী হয়েছে যা ক্ষুদ্র উদ্দোগতা শ্রেনী নামে বিশেষ ভাবে পরিচিত। বর্তামানে সরকারী চাকুরী থেকে শুরু করে সরকারের প্রায় নিয়োগ গুলো অতীব গরীবদের দেযা হচ্ছে অথবা অনেক গরীব মানুষ তা কিনে নিচ্ছে। কিন্তু বর্তমান মধ্যবিত্ত সমাজের টেলেন্টরা বিদ্যমান আছেন ব্যাবসা বাণিজ্যে অথবা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সংঙ্গায় ।

তারা খুব বেশী চাকুরী বাণিজ্যের দারস্ত হচ্ছেন না। সরকারের মূল্যস্ফিতি , শেয়ার কেলেংকারী এবং অতিরিক্ত ব্যাংক হইতে ঋণ গ্রহনের পর ও এই সংখ্যায় অধিক নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর একটু উপড়ে যে শ্রেণীটির অবস্থান , সরকার মনে করছেন বাংলাদেশের সব দায এই শ্রেণীটির। যা আমেরিকাও মনে করে , তাই আমেরিকায় চলছে ওয়াল ষ্ট্রিট দখলে নেয়ার আন্দোলন। পরবর্তী লিখা আসছে:- বাংলাদেশী পণ্যে গুনগত মান কমে যাওয়া নিয়ে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।