আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বড় বিলাইয়ের ডায়রী থেকে: তেহরান, ইরান

আমার ব্যক্তিগত ব্লগ {ভূমিকা: বড় বিলাই এর ইরান যাওয়া ঠিক হওয়ার পর ওকে আমার ডায়রী দিয়ে বলেছিলাম ভ্রমন কাহিনী লিখতে, এখানে ওর লেখা তুলে দিচ্ছি} নভেম্বর ২০, ১৯৯৪ , 5-13 a m, ইরান এয়ার প্লেনে এমন অখাদ্য কেন দেয়া হয় বুঝিনা। লবন ছাড়া মাংস, পচা জলপাই ভাল লাগে না। এ্যামিরাটস এয়ারওয়েজেও যে কান্ড করেছি, এখানেও তাই। খাবার বেশির ভাগ না ছুয়েই রেখে দিয়েছি। ১০-০৪ এ এম, রুম ২১৯, মারমার হোটেল, তেহরান, ইরান সাড়ে ছটায় প্লেন ইরান ইয়ারপোর্ট ল্যান্ড করেছে।

প্লেন থেকে নামবার আগে দুজন ডাক্তার বার বার আমাদের পাসপোর্ট দেখে নিশ্চিত হয়ে নিল আমরা সত্যি বাংলাদেশি নাকি ইন্ডিয়ান কিংবা আমরা ইন্ডিয়ায় ৬ দিনের কম সময় ছিলাম কিনা। প্লেন থেকে নেমে বাসে উঠলাম, বাসে বসবার জায়গা ছিল না। দাড়িয়েই গেলাম। কিন্তু একটু ক্ষন পরেই সবুজ স্যুট পরা একজন ভদ্রলোক এসে আমাদের জিগ্জাসা করলেন, "আর ইউ ফ্রম বাংলাদেশ?"। জিজি স্যার বললেন "ইয়েস", ঐলোক আবার বললেন "ফোর কম্পিটিশন?" জিজি স্যার বললেন "ইয়েস ইয়েস"।

এবার ঐলোক সব পুরুষের সাথে হ্যান্ডশেক করে মহিলাদের হ্যালো বললেন। শুধু আমি একটা হ্যালো বলে উত্তর দিলাম, বাকি দুজন চুপ করে রইলো। পরে জেনেছি লোকটির নাম সামিমি। পরে দেখলাম, শ্রীলংকা আর পাকিস্তানের দলটিও একই প্লেনে করে এসেছে। তাদেরকে গাইড দেয়ার জন্যও দুজন লোক রয়েছেন।

তারাও সবুজ স্যুট পরা। তারপর আমাদের পাসপোর্টের সমস্ত ঝামেলা ২ মিনিটে চুকিয়ে দিয়ে সসম্মানে নিয়ে গেল লাগেজের কাছে। লাগেজ নিয়ে আমরা বাইরে আসার পর সাংবাদিকরা আমাদের ছবি তুলল। তারপর সব দেশের মেয়েদের আলাদা আলাদা গাড়িতে আর সব ছেলেদের একটা বড় বাসে উঠিয়ে হোটেলে নিয়ে আসা হলো। হোটেলের নাম মারমার আর রুম ২১৯।

এখানে এসে কাপড় চোপর পাল্টিয়ে সব গুছিয়ে ফরিদা (প্রতিযোগি) ঘুমিয়ে পড়েছে, আমি ডায়রী লিখছি আর খালেদা খালাম্মা গোসল সেরে কাপর গুছাচ্ছেন। এখানকার বাথটাবটা খুব নোংরা, আবার শাওয়ারটা বাথটাবের ঠিক উপরে, মহা মুশকিল। এখনও সকালের নাস্তা আসেনি। তবে আমি মিমি খেয়ে নিয়েছি। তবে একটা ব্যাপার আমার আশ্চর্য লাগছে।

এ ডায়রী লেখা পর্যন্ত সময় হিসাব করলে দেখা যাবে আমি একটানা সাড়ে উনত্রিশ ঘন্টা জেগে আছি। অথচ আমার একটুও ঘুম আসছে না। ডায়রীর লেখাটা এখানেই শেষ... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।