যে ব্যথা দেয়,তারও তো ব্যথা থাকতে পারে-মাটির ময়না হার্ট আইটেম শেষ করে ঘুমাতে যাব বান্ধবীর জিজ্ঞাসা,'হার্ট কয়টা রে?'মাথা কাজ করছিল না বোধহয় বেচারীর। একবার ফিজিওলজি এন্ডোক্রাইন আইটেমের সময় ক্রিটিনিসমের ফিচার জিজ্ঞাসা করলে এক মেয়ে প্রোট্রুডিং টাং এর বদলে প্রোট্রুডিং নোজ বলে ফেলে। তখন ম্যাডাম বলে,'হ্যাঁ,তোমার নাক লম্বা হয়ে আমার ফ্ল্যাটের নিচ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। '।
আরেক বান্ধবী 'জিপি' কার্ডের ভাইভাতে অ্যাকশন পটেনশিয়ালের টাইপসের মধ্যে Na-K Pump বলে ফেলে।
ওমনি স্যার বলে,'পাম্প দিয়ে তোমার বাসায় পানি সাপ্লাই দাও। ।
অ্যাবডোমেন রিটেন পরীক্ষা সবারই খারাপ হয়েছিল। বান্ধবী বলছিল পরীক্ষা মোটেই ভাল হয়নি। রেজাল্ট দিলে দেখা গেল ও '০০' পেয়েছে।
। পরে যখন খাতা দেখাল,দেখা গেল,বান্ধবী ৩/৪ পৃষ্ঠাভর্তি হাবিজাবি লিখেছে। পরে আবার সবই কেটে দিয়েছে। স্যার বলল,ওর অবস্থা '০' পাওয়ার মত নয়। কারণ,স্যার কেটে দেয়া সত্তেও খাতাটি পড়ে দেখেছেন।
। ও হাবিজাবির মধ্যেও অ্যাবডোমেনের কিছু মাসলের নাম লিখেছে। ।
2nd Term পরীক্ষার কথা। এক মেয়ে 1st year থেকে কোন পড়াশোনাই করেনি।
তো,সে যখন ভাইভা দিতে গেল,কিছুই পারছিল না। অবশেষে স্যার ওকে জিজ্ঞাসা করলেন,এমব্রায়োলজি(ভ্রূণবিদ্যা)বইয়ের লেখকের নাম। ও বলে,ওমর ফারুক। যেটা কিনা গাইড বইয়ের লেখকের নাম। আর মেডিকেলের প্রফেসররা গাইড বইয়ের নাম শুনতেই পারেন না।
3rd term পরীক্ষার সময়ও ওই মেয়েই ভাইভা দিতে গিয়ে ভয়ে আবার রুমে ফিরে গিয়েছে। স্যার ওকে দেখে ফেলেছিলেন। আমাকে দিয়ে ওকে ডাকতে পাঠালেন। আমি ওর রুমে গেলাম। সেতো কিছুতেই আসবে না।
আমি শেষে বুঝিয়েশুনিয়ে ডেকে নিয়ে গেলাম।
এবার আমার নিজের কথা। 3rd term এর ভাইভাতে সফ্ট পার্ট,হার্ড পার্ট,সারফেস মার্কিং,এক্সরে ছিল। স্যার আমাকে এক্সরে না দেখিয়েই ভাইভা শেষ করলেন। আমি বাইরে এসে যাদের পরীক্ষা হয়েছে সবাইকে জিজ্ঞাসা করলাম সবার 'এক্সরে' নিয়েছে কিনা।
সবাই বলল,নিয়েছে। আমিতো খুবই ভয় পেয়ে গেলাম। ভাবলাম,আমাকে নিশ্চয়ই ফেইল করিয়েছে। আবার স্যারের কাছে গেলাম। গিয়ে বললাম যে স্যার আমার 'এক্সরে' নেন নাই।
স্যার শুনে বললেন,'আমিতো তোমার নাম্বার দিয়ে দিয়েছি'। এটা শুনে আমি আরও ভয় পেয়ে গেলাম। তারপর স্যার বললেন,'এসেছ যখন 'এক্সরে' দিয়ে যাও। 'দিলাম। খুবই ভয়ে ছিলাম।
দুদিন পর রেজাল্ট দিল। পাশ্শ্শ্শ্শ্শ্ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।