আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন নিছকই খেয়ালবশত,
দু'সেকেন্ড সময় এবং কিছু ফানুস কিনতে গেলে ক্যাশ কাউন্টারে আটকা পড়েছি এক অ্যামনেশিয়াক স্টোরকিপারের কাছে।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতিটুকু শেষ হয়ে যাচ্ছিলো তখন। স্পিয়ারমিন্টের ঘ্রাণ, পোড়া তামাক এবং স্পিকারে দুটো ভিন্নতম গান যুদ্ধ ঘোষণা করে বসলে এই প্রখর রৌদ্রে বেরিয়ে পড়তে হল। মাতাল পদক্ষেপগুলো কোন এক ধূসর দোকান বরাবর ঠেলে এগিয়ে দিলে,
অনিচ্ছায় ঢুকে পড়ি সেখানে।
ভেতরে দুটো হামিং বার্ড উড়ছে এদিক ওদিক, মগজ চিরে দিচ্ছে ওদের তীক্ষ্ণ উচ্ছ্বাস।
ভাসমান কোন এক ঝাড়ুর উপর বিষণ্ণ মুখে বসে আছে পরিচিত সেই ডাইনী। ওকে দেখে ভীষণ ব্যস্ত হয়ে আমার বুকপকেটে লুকোনোর জায়গা খোঁজে শব্দের নরোম শরীর। জুতোর নিচে চকচকে মেঝেয় গুলিয়ে যাচ্ছে আবছা প্রতিবিম্বগুলো অপ্রস্তুত হয়ে...
এসব ভীষণ আটপৌরে ঠেকে।
বিতৃষ্ণায় আঙুল বুলিয়ে নেই তাকের উপর সার বেঁধে থালা রঙচঙে মোড়কগুলোর গায়ে। খিদেটা মরে যাচ্ছে, প্রদত্ত সময়টুকু ফুরিয়ে আসছে আরো দ্রুত।
হাতে ধরা ফানুসগুলোর দিকে চেয়ে দেখি ওগুলো ঘিরে চক্রাকারে উড়ছে পাখিগুলো। কাউন্টারে পৌঁছে গেলাম,
"কত হল?"
বৃদ্ধ হাত বাড়িয়ে দেয়, আন্দাজে ক'টা নোট বের করে দেই মানিব্যাগ থেকে। অধৈর্য্যে ছটফটিয়ে ওঠে বুকপকেটে লুকোনো শব্দগুলো, বাঁহাতে চেপে ধরি। বৃদ্ধ তবুও চেয়ে আছে, কোঁচকানো ভ্রু বরাবর দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবারও কিছু নোট বের করতে হল। অভিব্যক্তির কোন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না,
"হয় নি?"
মাথা নাড়ে লোকটা।
ফানুসগুলো চুপসে যাচ্ছে, আমি বের করে দিতে থাকি নোটগুলো একের পর এক...
অবশেষে...
দুর্বল ঘ্রাণশক্তিটুকু ঐ বৃদ্ধের কাছে বন্দক রেখে বেরিয়ে পড়ি, সাথে সাথে তীব্র রোদে চোখ ধাঁধিয়ে গেলো। হাঁটুতে দু'হাত রেখে খানিক জিরিয়ে নিতে গেলে খেয়াল হলো, ছায়াটাকে আশেপাশে কোথাও দেখছি না।
ওহ, সময় ফুরিয়ে গেছে এতক্ষণে!
আর খুঁজে পাওয়া গেল না শেষ পর্যন্ত।
-riz
21st Jan,2013 ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।