বোরহান উদ্দিন আহমেদ (মাসুম)
আধুনিক মমি
হাজার বছরের পুরোনো মিসরীয় সভ্যতার মতো মমি হতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ নাগরিক অ্যালান বিলিস। পেশায় অ্যালান ছিলেন গাড়িচালক। ক্যানসারে ভুগছিলেন ৬১ বছর বয়স্ক এই ব্যক্তি। অসুস্থতার সময় পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে, গবেষণার জন্য আবারও মমি তৈরি করার চেষ্টা করবেন একদল বিজ্ঞানী, আর সে জন্য প্রয়োজন একটি মানবদেহ। মানবসভ্যতার গবেষণায় নিজেকে কাজে লাগাতে পারার আগ্রহে অ্যালান বিজ্ঞানীদের কাছে নিজ দেহ দান করে যান।
পুরো বিষয়টা দেখভাল করছেন ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টিফেন বাকলে। তিনি মূলত রসায়নের অধ্যাপক এবং ২০ বছর ধরে তিনি মিসরীয়দের মমীকরণ নিয়ে পড়াশোনা করছেন। অধ্যাপক বাকলে ইতিমধ্যেই গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফ মাস স্পেকট্রোমিটার ব্যবহার করে মমি সংরক্ষণে মিসরীয়দের ব্যবহার করা বিভিন্ন তেল, রেজিন এবং অন্যান্য পদার্থের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করেছেন।
অ্যালানের মমি প্রক্রিয়াকরণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। মৃত্যুর পর তাঁর শরীর থেকে ফুসফুস ও ক্ষুদ্রান্ত্র বের করে ফেলা হয়, তবে মস্তিষ্ক রয়ে গেছে।
তারপর কষ্টিক সোডা ব্যবহারে শরীরের ওই স্থানকে শুষ্ক করা হয়। এটাকে বলা হয় ন্যাট্রন, যার উল্লেখ রয়েছে খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় ৫০০ বছর আগে গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডটাসের লেখায়। এরপর মৃত শরীরে বিশেষ তেল মাখিয়ে প্রায় এক মাস লবণাক্ত পানিতে চুবিয়ে রাখা হয়। এই সময়ের মধ্যে শরীর থেকে পানি বের হয়ে গেছে। আলো ও পোকামাকড় থেকে রক্ষার জন্য তারপর এই শুষ্ক মৃত শরীরকে প্রাচীন মমিদের মতো সুতা দিয়ে পুরোপুরি পেঁচিয়ে ফেলা হয়।
শবদেহটি এখন শেফিল্ড মেডিকো সেন্টারে রাখা আছে। বিজ্ঞানীরা নির্দিষ্ট সময় সময়ে সেটি বের করে মমি প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণের অবস্থা যাচাই করবেন। অধ্যাপক বাকলে পুরো বিষয়টিকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছেন। তাঁর মতে, ‘মিসরীয়দের মমীকরণের ব্যাপারটা আমরা জানি, তবে সেটার পুরো বিজ্ঞানটা আমরা এখনো জানি না। আমরা মিসরীয়দের মতো করেই অ্যালানের দেহ মমি করার চেষ্টা করেছি।
আশা করি, এর মাধ্যমে আমরা মমীকরণ সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য পাব। শুধু তা-ই নয়, এখন শরীর বা কোষ বা টিস্যু সংরক্ষণের জন্য ফরমালডিহাইড ব্যবহার করা হয়। এ পরীক্ষা শেষে আমরা আশা করি, দেহ ও কোষ সংরক্ষণের নতুন কোনো রাসায়নিক উপহার দিতে পারব। ’
পৃথিবীর নিকটবর্তী গ্রহাণু আবিষ্কার
সম্প্রতি জ্যোতির্বিদেরা পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থিত একটি গ্রহাণু আবিষ্কার করেছেন। ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ থেকে সাধারণ এক মিটার ব্যাসের রেডিও টেলিস্কোপের সাহায্যে জ্যোতির্বিদেরা এই আবিষ্কার করেন।
বতর্মানে নতুন এই গ্রহাণুর নামকরণ করা হয়েছে ‘২০১০ এসএফ১০৮’। পৃথিবী থেকে তিন কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে নতুন আবিষ্কার হওয়া এই গ্রহাণু। টেইডে মানমন্দিরের টেনেরিফ গ্রহাণু জরিপ দলের ২০ জনের স্বেচ্ছাসেবক জ্যোতির্বিদ এই আবিষ্কার করেন। জানুয়ারি ২০১০ থেকে এই স্বেচ্ছাসেবক জ্যোতির্বিদেরা প্রায় ৪০০টি গ্রহাণুর মতো বস্তু শনাক্ত করেন; যেগুলোর মধ্যে ২০টিকে গ্রহাণু হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সুব্রত দেবনাথ ও জাহিদ হোসাইন
সুত্রঃ এইখানে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।