মা মাটি মানুষকে ভালোবাসি-এই মিথ্যে কথাটা বলতে আর ভালো লাগে না! অনুচ্চাকাঙ্ক্ষী, দৃঢ়, সত্য প্রকাশে অনঢ়... মেয়েটির নাম তাহিয়া তাবাসসুম আদৃতা (১৮-২২ ভাবতেই আশ্চর্য লাগছে প্রথম আলো, বিডিনিউজ২৪ এর মতো পত্রিকাগুলো একজন মানুষের সঠিক বয়স না জেনেই যা ইচ্ছা লিখে দিচ্ছে!)। কুমিল্লা থেকে তার ঢাকায় আসা মডেলিং/শোবিজের আলো ঝলমলে জগতে কাজ করার জন্য। এ কারণে পড়াশোনার উচ্চতর পাট না চুকিয়েই সরাসরি স্টিল মডেলিং দিয়ে শুরু। এ জগতে তাকে নিয়ে আসে ফারিয়া হোসাইন নামের এক তরুণী, যে নিজেও একজন মডেল। অল্প সময়েই সে বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা, মডেলিং এজেন্সি এমনকি র্যাম্প মডেলিংয়েও কাজ করা শুরু করে।
র্যাম্পের জগৎ খুবই বিচিত্র! র্যাম্প মডেলরা অস্বাভাবিক উন্মাদনায় হাঁটে স্টেজে এ কারণে তাদের রয়েছে নানা "স্ক্যান্ডাল"। বলিউডের "ফ্যাশন" বা হলিউডের "জিয়া" এ ধরণের ছবি দেখে আমরা পর্দার আলো ঝলমলে জগতের ভেতরের দৃশ্যটা দেখতে পাই। কীভাবে মাদক, অশ্লীলতা, দেহব্যবসা ঘিরে রেখেছে ফ্যাশন বা মিডিয়া জগতকে। কীভাবে মেয়েরা ব্যবহৃত হচ্ছে, বাধ্য হচ্ছে অবৈধ কাজকর্মে। আবার কেউ স্বেচ্ছায় নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছে লোভে পড়ে, অসৎ সঙ্গে বা অধিক মুনাফা লাভের আশায়।
অথচ এই মিডিয়া বা মডেলিং জগত একজন নারীর জন্য যে কী পরিমাণ ভয়াবহ আর অনিরাপদ তা আবারো প্রমাণিত হলো তরুণী আদৃতার লোমহর্ষক খুনের ঘটনার ভেতর দিয়ে। মাত্র ২০ বছর বয়সে জীবনাবসান ঘটলো একজন মানুষের, আর সবচাইতে কষ্টের বিষয় ঘাতকেরা তার লাশ দাফন করলো "বেওয়ারিশ" হিসেবে এবং তার নিরীহ, নিথর লাশটাকে প্রমাণ করতে চাইলো "টোকাই" বা "পতিতা"র লাশ হিসেবে! টোকাই, পতিতা এরা অস্পৃশ্য আমাদের পুঁজিবাদি ঘাতক সমাজে। আমাদের মুখোশ সমাজে এদের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়?!
না, আদৃতা কোনো টোকাই বা এ ধরণের মানুষ না। তার বাবা-মা আছে। আছে স্বামী (রেহান)।
নিজের ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে এই সত্যটা তারা প্রকাশ করে নাই আর সর্বোপরি আদৃতা ছিলো একজন উঠতি মডেল। স্বল্প সময়েই সে বেশ কিছু পণ্যের মডেল হয়েছিলো, যদিও বেশিরভাগই স্টিল ফটোগ্রাফি। আর সে কাজ করতো র্যাম্পে। তার স্বামী রেহানও একজন র্যাম্প মডেল। প্রায় ৭ মাস আগে তাদের গোপনে বিয়ে হয়েছিলো বলে জানিয়েছে রেহান।
নিজেদের আসন্ন উজ্জ্বল (?) ক্যারিয়ারের কথা ভেবে হয়তো প্রকাশ করেনি। কথায় আছে, মানুষ দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝে না। এই তরুণেরা বিয়ে করে, প্রকাশ করে না, এক মায়াজালে আবদ্ধ থেকে বুনতে থাকে রঙ্গিলা স্বপ্ন আর হারিয়ে যায় অকালেই! মানবজমিন পত্রিকায় সংবাদ এসেছে এভাবে :
মডেলিং করতে গিয়েই গত রোববার দুপুরের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরের দিন সোমবার রাত পৌনে ১০টায় মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের সি ব্লকের ১২/৬ নম্বর ভবনের ছাদ সংলগ্ন সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বহুল প্রচারিত (!) প্রথম আলোতে :
মিডিয়াতে মডেল হিসেবে কাজ করা মেয়েদের একটা বড় অংশ মায়ের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারে না।
আদৃতাও পারে নাই। এদের অনেকেই বলে, মায়ের অবাধ্য সন্তান। মা চান না মেয়ে মডেল হিসেবে কাজ করুক। কিন্তু এ কথা বেপরোয়া তরুণীদের কে বুঝাবে?
মানব জমিন পত্রিকায় :
নিহতের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, আদৃতা ছিলেন একজন র্যাম্প মডেল। মডেলিং করতে গিয়েই গত রোববার দুপুরের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
পরের দিন সোমবার রাত পৌনে ১০টায় মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের সি ব্লকের ১২/৬ নম্বর ভবনের ছাদ সংলগ্ন সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ভবনের তৃতীয় তলার বাসিন্দা ও মানবাধিকার কর্মী নাজিয়া নাসরিন বলেন, 'ভবনের চতুর্থ তলায় জেনেসিস ভিউ মিডিয়া অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের অফিস। এ অফিসের লোকজনই প্রথম মেয়েটির লাশের সন্ধান দেয়। প্রথমে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি চেনে না বলে জানিয়েছিল। পরবর্তীতে তারাই মেয়েটিকে রাস্তার টোকাই হিসেবে প্রচার করে।
'
তিনি আরও বলেন, 'জেনেসিস ভিউ মিডিয়া অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মোতালেব হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজেই রক্তের দাগ পরিষ্কার করেছেন। নাজিয়া নাসরিনকে বলেছেন, মেয়েটি টোকাই ছিল। তার পোশাক-পরিচ্ছদ ও কম দামী চুড়ি দেখে রাস্তার মেয়ে মনে হয়েছে। সম্ভবত তার পেশা ছিল পতিতাবৃত্তি। বাইরে কেউ হত্যা করে তাকে ওই ভবনের চারতলার সিঁড়িতে রেখে যেতে পারে।
'
জেনেসিস ভিউ প্রতিষ্ঠানের এমন বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নিহতের ঘনিষ্ঠজনরা। এদের একজনের নাম রেহান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র। তিনি বলেন, 'আদৃতার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রায় ৭ মাস আগে তাদের গোপনে বিয়েও হয়েছিল।
'
আদৃতার মামা জি কে গাফফার বলেন, 'রোববার দুপুর থেকে আদৃতা নিখোঁজ ছিল। বন্ধ ছিল তার মোবাইল ফোন। অথচ দুপুরে মতিঝিল এজিবি কলোনিতে তার খালার বাসায় যাওয়ার কথা ছিল। '
তিনি আরও বলেন, 'আদৃতা প্রচন্ড জেদি মেয়ে ছিল। মাঝে-মধ্যে রাগ করে বান্ধবীদের বাসায় থাকতো।
এ কারণে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে তেমন খোঁজাখুঁজি করেননি তারা। কিন্তু তিন দিন পরও যখন আদৃতাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তখন তাদের সন্দেহ হয়। তারা আদৃতার বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনদের বাসায় খোঁজ করেন। পরবর্তীতে মডেল কন্যার খুন সম্পর্কে পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর তারা আদৃতার হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে নিশ্চিত হন। '
খালা রুমী বলেন, 'আদৃতা তার সঙ্গেই গোড়ানের একটি বাসায় থাকতো।
তার বাবার নাম তৌহিদুল ইসলাম আজাদ। বাড়ি কুমিল্লায়। মায়ের নাম বেবি। তিনি থাকেন রাজধানীর মতিঝিলে এক বোনের বাসায়। '
আদৃতা জেনেসিস ভিউ নামের এক মডেলিং এজেন্সিসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলো।
যেখানে সব কয়েকটি পত্রিকা সন্দেহ করছে জেনেসিস ভিউ এর পরিচালক মোতালেব হোসেনকে নিয়ে। ধারণা করা হচ্ছে খুনটা সে নিজেই করেছে এবং পরে জেনেসিস ভিউ আদৃতাকে "পতিতা" এবং "টোকাই" পরিচয় দিয়ে পুলিশের যোগসাজশে বেওয়ারিশ লাশ দাফন করার মতো ধৃষ্টতা দেখিয়েছে! এমনকি তারা আদৃতার দুটো মোবাইল ফোনসেটও গায়েব করে দিয়েছে। দুঃখের ব্যাপার পরিমল-কানিজের স্বপক্ষের শক্তি প্রথম আলো "জেনেসিস ভিউ দোষী" এ নিয়ে কোনো রিপোর্টই প্রকাশ করে নাই বরাবরের মতো!
সমগ্র ঘটনার পোস্টমর্টেম :
পুলিশ চলবে রাজনৈতিক, ক্ষমতাবান কুকুরদের ইশারায়। আমরা চলবো সত্যকে পুঁজি করে। সবচেয়ে কষ্টকর ব্যাপার পুলিশ যে চারজনকে গ্রেপ্তার করে ছেড়ে দিয়েছে, খুনি হয়তো বা লুকিয়ে ছিলো তাদের মধ্যেই।
এতটা নিশ্চিত হলো কীভাবে তারা যে খুনের সাথে তাদের কোনো যোগসাজশ নেই। যে বিল্ডিংয়ে একটি মডেল এজেন্সির অফিস সেখানে বাইরে থেকে কেউ এসে খুন করে লাশ রেখে যাবে? এজেন্সির মোতালেব হারামজাদা জানলোও না যে তার একজন মডেল ওখানে আছে? আর যখন জানতে পারলো তখন আবার না চেনার ভান করলো। ডিসগাস্টিং! প্রথম আলো থেকে কপি পেস্ট বন্ধ করলাম। অন্য এক ব্লগারের সংবাদপত্র পোস্ট থেকে নিচের অংশ কপি পেস্টেড :
মোহাম্মদপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, 'আদৃতার প্রেমিক রেহানও একজন র্যাম্প মডেল। আদৃতার খুনের রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন মডেল কন্যাসহ ওই ভবনের আরও ১২-১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আদৃতার ঘনিষ্ঠজনদের মোবাইল ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করে খুনের ঘটনাস্থল সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। '
তিনি বলেন, 'যে ভবনে আদৃতার লাশ পাওয়া গেছে ওই ভবনেই আদৃতাকে খুন করা হয়েছে। তবে কারা খুন করেছে সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার হয়নি। ' তিনি বলেন, 'রোববার দুপুরের পরপরই তাকে খুন করা হয়েছে।
আদৃতার ওড়না দিয়েই একাধিক ঘাতক শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করেছে। পরে ওড়না নিয়েই তারা পালিয়েছে। ' তিনি বলেন, 'রোববার দুপুরের পর মডেল কন্যা ফারিয়ার ডাকে আদৃতা ধানমন্ডির একটি বিউটি পারলারে মেকআপের কাজ শেষ করে তাজমহল রোডের ওই ভবনে গিয়েছিল। এরপরেই ঘাতকদের হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। '
কে এই ফারিয়া ওরফে ফারিয়া হুসেইন?
ফারিয়া হুসেইন মূলত একজন মডেল।
আইকন দ্য নেক্সট ডোর নামের এক মডেল গ্রুমিং প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। আইকনসের সাথে জড়িত ছিলো আদৃতা নিজেও। এর ফেসবুক পেইজ :
Click This Link
ফারিয়া ফ্যাশন জগতের কলঙ্ক, বিকৃত রুচির ফটোগ্রাফার অপূর্ব আবদুল লতিফ এবং ইশতিয়াক ইমন, আনিস এর পোষ্য একজন। তাদের সাথে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কও রয়েছে। এমনকি আদৃতাও ছিলো ইশতিয়াক ইমন এর মডেল।
তবে সে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলো, ইমনের কুরুচিপূর্ণ চরিত্র সম্পর্কে জানার পর।
আনিসের সাথে অন্তরঙ্গ ফারিয়া :
ফারিয়া অবশ্যই জড়িত থাকতে পারে। কেন সে ফোন করে আসতে বলার পরপরই আদৃতা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায়। অথচ ঐদিন কোনো মডেলিং এর কাজই ছিলো না! একে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।
কে এই ইশতিয়াক ইমন?
উপরের ছবিতে ফারিয়ার সাথে গোলচিহ্নিত সকলেই ফটোগ্রাফার ইশতিয়াক ইমন এর সাথে কাজ করে।
বাঁ থেকে প্রথমজন (নাম এই মুহূর্তে সংগ্রহ করা যায় নাই), দ্বিতীয় রোজান আহমেদ, তৃতীয় জ্যাপ্পু আহমেদ, চতুর্থ ফারিয়া হুসেইন, পঞ্চম জন আলিফ। এবং সামনের সারিতে (নাম এই মুহূর্তে সংগ্রহ করা যায় নাই)। এই ইশতিয়াক ইমন (৩৮) একজন ধর্ষক।
ইশতিয়াক আহমেদ ইমন
এর নামে থানায় মামলা হয়েছে একাধিকবার। তরুণী মেয়েদের মডেলিংয়ে কাজ দেবার নাম করে সে ধর্ষণ করেছে নিজের স্টুডিও আরিয়ান-এ।
এর মধ্যে অনেকেই হুমকি-ধামকির ভয়ে থানায় মামলা করে নাই তবে সাধারণ ডায়েরি করেছে। এমনকি কোনো কোনো মডেলের বয়ফ্রেন্ডকেও প্রকাশ্যে খুন করার হুমকি দিয়েছে ইশতিয়াক ইমন নামের এই নরপশু! ইশতিয়াক নিজেকে পরিচয় দেয় উত্তরার লাবণী-১ ও লাবণী-২ শ্যুটিং হাউজের মালিক লাবণী আহমেদের ভাই হিসেবে। লাবণী আহমেদের ব্যক্তিগত নাম্বারে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ইশতিয়াক ইমন তার আপন ভাই। ইশতিয়াক বিবাহিত এবং এক ছেলে ও মেয়ের জনক। ছেলের নাম আরিয়ান।
তার স্ত্রী তার অবৈধ কার্যকলাপ সম্পর্কে জ্ঞাত। ইশতিয়াকের বিরুদ্ধে আরেক দুই মডেল নিবিড় আদনান নাহিদের (২৪) ও রেহানের (২৩) সাথে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য এই রেহান ওরফে আশিস কর্মকার মূলত আদৃতার বয়ফ্রেন্ড ওস্বামী।
নিবিড় আদনান নাহিদ
রেহান বাঁ থেকে সবার ডানে
আদৃতা ইমনের কাজ ছাড়ার পর সে প্রায়ই তাকে হুমকি দিতো বলে জানা গেছে।
আনিস, আদৃতার ২য় ফেসবুকে :
ইশতিয়াক ইমনের স্টুডিও আরিয়ানের ফেসবুক পেইজ : Click This Link
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে ইমন।
অপূর্ব সম্পর্কে জানতে : Click This Link
আনিসুজ্জামান আনিস সম্পর্কে জানতে : Click This Link
রোজান ও আনিসের সাথে আদৃতা। প্রথম দিককার ছবি। আনিস সব মেয়েকেই বাধ্য করে তার সাথে ছবি তুলতে!
জেনেসিস ভিউ এর রহস্যময় আচরণ :
অলরেডি জেনেসিস ভিউ এর ওয়েবসাইট থেকে আদৃতার ছবি সরিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে ফিমেল মডেল/নিউ ফেস ক্যাটেগরিতে তার ছবি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ! কিন্তু "ফারিয়া হুসেইন" এর ছবি বেশ ভালোভাবেই আছে। অর্থাৎ এই ফারিয়া জেনেসিস ভিউ এর সাথেও জড়িত।
লিংক : Click This Link
অথচ এখানেই ছিলো আদৃতার ছবি :
তাহলে বুঝা যাচ্ছে, আদৃতা খুনের ঘটনা আড়াল করতেই তার ছবি মুছে ফেলেছে মোতালেব হোসেন বরুণ। প্রথম আলোর সূত্রমতে, পুলিশ বেশকিছু ছবি জব্দও করেছে অফিস থেকে এবং একজন কর্মী পলাতক। যেখানে সে আদৃতার লাশের রক্ত পরিষ্কার করে, থানায় খবর দিয়ে "ভালোমানুষ" সাজতে চেয়েছিলো... ততটাই ধিকৃত হয়েছে/হতে হবে আদৃতাকে "না চেনার" ভান করে।
অবিলম্বে জেনেসিস ভিউ এর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রিমান্ডে নেয়া হোক। যাদের পুলিশ ছেড়ে দিয়ে মস্ত বড় ভুল করেছে।
এটা কোনো "সুইসাইড" না এটা মার্ডার! তাদের গ্রেপ্তার করা হোক। সন্দেহভাজন হিসেবে ফারিয়া, ইশতিয়াক ইমন, অপূর্ব বা আনিস এদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। মিডিয়ায় সব কুকুরের লেজ এক সাথেই নড়ে। রেহান যেহেতু স্বামী এবং স্বীকার করেছে তাদের বিয়ে-প্রেমের সম্পর্ক, তাকে প্রয়োজনে আদৃতার শেষ কয়েক দিনের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে আবারো জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। কোনো হুমকি-ধামকি, এসএমএস বা ফটোগ্রাফার তাকে বিরক্ত করেছে কি না।
ফোন কলের তালিকা থেকে যে আটটা নম্বর পুলিশ পেয়েছে, সেইসব সিমকার্ড হোল্ডারদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। আর একটা কথা, আসামি বা সন্দেহভাজন কখনোই স্বাভাবিক পদ্ধতিতে মুখ খুলবে না। পুলিশি প্রক্রিয়াতেই জেরা করা উচিত। মিডিয়ার মানুষ দেখে তারা এক্সট্রা খাতির পাবে তা তো হবে না! মরতে তো হলো নিরীহ আদৃতাকেই! এখন তার গায়ে কলঙ্কের কালিমা লেপছে ফারিয়া-মোতালেব-ইশতিয়াক ইমনরাই... আশ্চর্য বিশ্বাসঘাতক সব! ২০ বছরের একজন তরুণী হত্যার দায় এরা অস্বীকার করতে পারে না। এদের সবারই কোনো একটা "ব্যক্তিগত" বিষয় জড়িত আছে আদৃতার খুনের সাথে।
১. আদৃতাকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে কি না জানাটা জরুরী। প্রয়োজনে লাশ কবর থেকে উঠিয়ে সঠিক ময়নাতদন্ত করা হোক। এতে আদৃতার আত্মা কষ্ট পাবে... কিন্তু ধর্ষণের পর হত্যা করা হলে, ঘটনা সম্পূর্ণ অন্যদিকে মোড় নিবে, অপরাধের সত্যতা মজবুত হবে এবং মোতালেবকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা যেতে পারে।
২.প্রতিহিংসাবশত খুন হতে পারে। ফারিয়া বা ইমন কেউ হয়তো আদৃতাকে সহ্য করতে পারে নাই।
স্কুল পড়ুয়া ছেলেরা সহপাঠিদের খুন করেছে অতীতে। ফারিয়ার মতো মডেলরাও করাতে পারে। আশ্চর্য হবার কিছুই নেই!
৩.ফটোগ্রাফারদের কাজ ছবি তোলা। হুমকি ধামকি কেন? বিকৃত রুচির ইশতিয়াক ইমন নামের ফটোগ্রাফারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে।
৪.আনিসুজ্জামান আনিস, মূলত আনিসের কাছে ফারিয়াই নিয়ে গিয়েছিলো আদৃতাকে।
আনিস-ইশতিয়াক ইমন-ফারিয়া-নাহিদ এরা নিজেরাই একটা "ক্রাইম চ্যানেল"। বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে এদের সংশ্লিষ্টতা আছে। হোক সেটা মাদকব্যবসা, দেহব্যবসা, নিজেরা করে অন্যদেরও করতে বাধ্য করে।
৫.ধর্ষণের পর ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করাটা বাংলাদেশে খু্বই কমন প্র্যাকটিস। আদৃতাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
হাতের কাছে অন্য কিছু না পেলে ওড়না, বালিশ দিয়ে খুন করা হয়।
তার পরনে ছিলো চুড়ি, অর্থাৎ সে পারলার থেকে মডেলিং এর প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলো জেনেসিস ভিউতে। সেখানে তাকে ডাকে ফারিয়া। ফারিয়ার অনুপস্থিতিতে মোতালেব ও তার সহযোগিরা তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ বেওয়ারিশ দাফন করেছে (সম্ভাব্য )। এর পেছনে ফটোগ্রাফার ইশতিয়াক ইমনদের মতো মানুষের ক্রোধও আছে।
৬.যদি ভাড়াটে কোনো খুনি খুন করে থাকে তাহলে ডেডবডি পুকুরে, নালা-নর্দমায়, জঙ্গলে না ফেলে সোজা বিল্ডিংয়ে বহন করে নিয়ে গেলো সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে?মোতালেব, নাজিয়া নাসরিনকে বলেছেন, মেয়েটি টোকাই ছিল। তার পোশাক-পরিচ্ছদ ও কম দামী চুড়ি দেখে রাস্তার মেয়ে মনে হয়েছে। সম্ভবত তার পেশা ছিল পতিতাবৃত্তি। বাইরে কেউ হত্যা করে তাকে ওই ভবনের চারতলার সিঁড়িতে রেখে যেতে পারে। ' খুনটা যে জেনেসিস ভিউ এর দালানেই হয়েছে পুলিশ তো নিশ্চিত! আর ঐ দালানে থাকে কারা? স্বয়ং মোতালেব নিজেই যেখানে রক্ত পরিষ্কার করেছে, না চেনার ভান করেছে, সেখানে নাটের গুরুকে পুলিশ হাতে পেয়েও ছেড়ে দিলো? পুলিশ কি চায় আরো একজন তিন্নির মতো, দিনাজপুরের ইয়াসমিনের মতো সারা জীবন ধিক্কার জানাক নগ্ন পুলিশকে? তিন্নি খুনের পেছনে ছিলো রাজনৈতিক প্রভাবশালী অভি, এখানে আছে মোতালেব, পুলিশ কি মোতালেবকে অভি মনে করছে? আর ফারিয়াকে পুলিশ ধরলো না? আশ্চর্য!
৭.বিডিনিউজ২৪ এর বক্তব্য : মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার এক মহিলা এবং এক বয়স্ক লোক থানায় এসে এক তরুণীর ছবি দেখিয়ে বলে গত ৩০ অক্টোবর দুপুরের পর থেকে সে নিখোঁজ।
তাদের ছবির সঙ্গে জেনেসিস ভিউ থেকে উদ্ধার করা এক জনের ছবি মিলে যায়।
বয়স্ক ব্যক্তি হলেন আদ্রিতার বাবা, তার সঙ্গে ছিলেন আদ্রিতার খালা।
পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদ বলেন, "পরে কিছু বিষয় খোঁজ নেওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যায় এই তরুণীর নাম আদ্রিতা। আদ্রিতা দুই-তিনটি প্রতিষ্ঠানের মডেল হিসেবে কাজ করেতেন। "
আদ্রিতার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জেনেসিস ভিউয়ের কাউকে গ্রেপ্তার না করার বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হত্যাকাণ্ডে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
হায়রে বাংলাদেশের পুলিশ! নতুন কোনো মিথ্যা ধরার যন্ত্র আবিষ্কার করেছে তারা হয়তো! যে কারণে চেহারা আর গায়ে টাকার গন্ধ দেখে অপরাধী গ্রেপ্তার করে...
এ ধরণের মডেল এজেন্সি থেকে সাবধান, মেয়েরা
আরো আছে, মডেল ব্যাংক ডট কম
http://modelbank.com.bd/
ভার্চুয়োসো বিডি
http://www.virtuosobd.com/
এসব প্রতারক, ব্যবসায়ী মডেলিং এজেন্সি থেকে সাবধান। এরা কতটা অনিরাপদ আদৃতার মৃত্যুর ঘটনাই তা প্রমাণ করেছে। সবগুলোর সিইও একটা চরম ফালতু, মেয়েদের প্রতি দুর্বল, মাদকব্যবসায়ী বা ভাড়াটে অপরাধী। ঘরে স্ত্রী-সন্তান রেখে এই কুলাঙ্গারগুলো সর্বনাশ করে আদৃতাদের... মডেলিং এর লোভ দেখিয়ে... এর আড়ালে এরা দেহব্যবসা, মাদকব্যবসা করে যাচ্ছে। এর যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভার্চুয়োসোতে আদৃতার পোর্টফলিও
আমার এই লেখায় তুমি ফিরবে না ছোটবোন আদৃতা! তবুও তোমার এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও তদন্ত দাবি করছি বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক হয়ে। তোমার ন্যায্য বিচারের অধিকার আছে।
পরম শান্তিতে ঘুমিয়ো আদৃতা, আল্লাহ্ তোমাকে জান্নাতবাসী করুন।
সংযুক্তি :
১. বিডি নিউজ ২৪: Click This Link
২. মানবজমিনে বিস্তারিত
Click This Link
প্রতিবেদনটি তৈরীতে যারা সহায়তা করেছেন, ফটোগ্রাফার ইমনের বড় বোন লাবণী আহমেদ, মডেল চ, মডেল র, মডেল শ, মডেল জ, কিছু দৈনিক পত্রিকা ও আদৃতার বন্ধুরা সবাইকে অজস্র ধন্যবাদ। মোতালেব হোসেন বরুনকে ফোনে পাওয়া যায় নি (০১৬১১-৭০০৭০০, ০১৬১১-৬০০৬০০, ০১৭১৩-০৪০০৬০, ০১৬১৩-০৪০০৬০)।
আইকন নেক্সট ডোরে ফোন দিলে ০১৮১৬-৩৮৮৯০০ নাম্বারে মিশু নামের একজন ফোন ধরে। ফারিয়াকে চাওয়া হলে "উনি ব্যস্ত আছেন", বলে ফোন কেটে দেয়া হয়। ইশতিয়াক ইমনের নাম্বারে (০১৯৭৩-০৩৩৭২০) একাধিকবার ফোন করা হলে সে বাজে ভাষায় গালি-গালাজ করে ফোন রেখে দেয়। অপূর্ব, আনিসুজ্জামান আনিস কেউই কোনো মন্তব্য করে নাই। সবাই ব্যস্ত মানুষ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।