যমজ শিশু কার না ভালো লাগে? কিন্তু সেটা যদি হয় আপনার? অথবা আশপাশের প্রায় সবার? খুব অবাক হলেন! অনেকটা এমনই কাণ্ড ঘটেছে ভারতে। জায়গাটা কেরালা রাজ্যের কোদিনহি। তবে সবার কাছে এটা পরিচিত 'টুইন গ্রাম' হিসেবেই। কালিকট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামে বসবাস করছে প্রায় দুই হাজার পরিবার। তবে মজার ব্যাপার হলো, এসব পরিবারে ২২০ জোড়ারও বেশি যমজ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও হতবুদ্ধি ডাক্তাররা চেষ্টা করছেন এর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে। কিন্তু মাথা চুলকানো ছাড়া আর কিছুই করার থাকছে না তাঁদের। প্রতিবছরই যমজ শিশু জন্মের হার বেড়ে চলেছে এখানে। স্থানীয় একজন চিকিৎসক ও যমজ শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. কৃষ্ণ শ্রীবিজু এসব বাচ্চার চিকিৎসা করেন। তিনি বলেন, 'সাধারণত প্রতি এক হাজার শিশুর মধ্যে এক জোড়া যমজ শিশু পাওয়া যায়।
কিন্তু কোদিনহিতে প্রতি এক হাজারে যমজ শিশুর সংখ্যা ৪৫ জোড়া। ' ডা. কৃষ্ণ যমজ শিশুর জন্মের ব্যাপারে কিছু কারণ ব্যাখ্যা করেছেন; যেমন_বেশি বয়সে মা হওয়া, মায়েদের সাধারণ উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চির বেশি হওয়া ইত্যাদি। কিন্তু কোদিনহিতে বেশির ভাগ নারীর বিয়ে হয় ১৮-২০ বছরের মধ্যে। তাদের গড় উচ্চতাও কম_মাত্র ৫ ফুট। এর পরও কেন এখানে এত বেশি যমজ শিশু জন্ম নিচ্ছে, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কারণ হাজির করতে না পারলেও ডা. কৃষ্ণ বলেন, 'আমার ধারণা, এখানকার আবহাওয়ায় এমন কিছু আছে, যে কারণে এমনটা ঘটছে।
এ ছাড়া এখানকার লোকজন যেসব খাবার খায় এবং পানীয় পান করে, সেগুলোর কারণেও এমনটা ঘটতে পারে। '
কোদিনহিতে টুইন অ্যান্ড কিন অ্যাসোসিয়েশন (টিএকেএ) নামে যমজদের একটি সংগঠন রয়েছে। এর সভাপতি পুলানি্ন ভাসকারান (৫০)। তিনি নিজেও যমজ ছেলের গর্বিত বাবা। তিনি বলেন, '২০০৮ সালের জুলাইয়ে আমাদের এই সংগঠন গড়ে তোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়; এবং এটা চালু হয় ওই বছরেরই ডিসেম্বরে।
' মা-বাবাসহ এই সংগঠনের সদস্যসংখ্যা এখন ছয় শতাধিক। নতুন সদস্য হওয়ার জন্য আরো ৩০টির বেশি আবেদনপত্র জমা হয়ে আছে। পুলানি্ন আরো জানান, এই অ্যাসোসিয়েশন থেকে সব যমজের পড়াশোনা ও চিকিৎসাসেবায় সহযোগিতা করা হয়। তবে যমজ হওয়ায় শিশুরা খুবই খুশি! কেন তা জানিয়েছে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া পাঁচ বছর বয়সী শিশু শাহানা, 'স্কুলে আমরা দুষ্টুমি করলেও স্যাররা প্রায়ই ধরতে পারেন না কে দুষ্টুমি করল_আমি, না আমার যমজ!'
সুত্র: কালের কন্ঠ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।