আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশ পরিচিতি : অস্ট্রিয়া

অস্ট্রিয়া মধ্য ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। স্থলবেষ্টিত এই দেশের উত্তরে জার্মানি ও চেক প্রজাতন্ত্র, পূর্বে স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি, দক্ষিণে স্লোভেনিয়া ও ইতালি, এবং পশ্চিমে সুইজারল্যান্ড ও লিশেটন্স্টাইন। অস্ট্রিয়া মূলত আল্পস পর্বতমালার উপরে অবস্থিত। দেশটির তিন-চতুর্থাংশ এলাকাই পর্বতময়। অস্ট্রিয়া একটি সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।

এখানে ৯টি ফেডারেল রাজ্য রয়েছে। এটি ইউরোপের ৬টি রাষ্ট্রের অন্যতম যারা স্থায়ীভাবে নিরপেক্ষতা ঘোষণা করেছে। অস্ট্রিয়া ১৯৫৫ থেকে জাতিসংঘের এবং ১৯৯৫ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। অস্ট্রিয়া অতীতে হামবুর্গ রাজাদের অধীনস্থ একটি বিস্তৃত শক্তিশালী সাম্রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র ছিল। ভিয়েনা ছিল সেই সাম্রাজ্যের রাজকীয় রাজধানী।

ভিয়েনা এখনও বিশ্বের অন্যতম প্রধান শহর হিসেবে আদৃত। অস্ট্রিয়ার ভিত্তি একটি কেন্দ্রীয় সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রী প্রজাতন্ত্র ব্যবস্থা, যেখানে চ্যান্সেলর হলেন সরকারপ্রধান। এটি একটি বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা। সরকার নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী। আইন প্রণয়ন ক্ষমতা দ্বি-কাক্ষিক সংসদ (জাতীয় কাউন্সিল ও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল) ও সরকার—উভয়ের হাতে ন্যস্ত।

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ ভূগোল :অস্ট্রিয়াকে তিনটি অসম ভৌগলিক অঞ্চলে ভাগ করা যায়। এদের মধ্যে বৃহত্তম অংশটি (৬২%) হলো আল্পস পর্বতমালার অপেক্ষাকৃত নবীন পাহাড়গুলো। এদের পূর্বে আছে পানোনীয় সমভূমি এবং দানিউব নদীর উত্তরে আছে বোহেমীয় অরণ্য নামের একটি পুরানো কিন্তু অপেক্ষাকৃত নিচু গ্রানাইট পাথরে নির্মিত পার্বত্য অঞ্চল। দানিউব নদী :দানিউব নদী দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানির ডোনাএশিংয়েনের কাছ থেকে উত্পত্তি লাভ করে অস্ট্রিয়ার ভেতর দিয়ে পূর্বমুখে প্রবাহিত হয়ে কৃষ্ণসাগরে পতিত হয়েছে। আল্পসের উত্তরের ইন নদী, ত্সালজাখ নদী ও এন্স নদী দানিউবের উপনদী।

অন্যদিকে আল্পসের দক্ষিণের অর্থাত্ মধ্য ও পূর্ব অস্ট্রিয়ার গাইল নদী, ড্রাভা নদী, ম্যুর্ত্স নদী ও মুরা নদী সার্বিয়াতে গিয়ে দানিউবে পতিত হয়েছে। আল্পস পর্বতমালা :গ্রোসগ্লকনার পর্বতশৃঙ্গ আল্পসের তিনটি প্রধান শাখা, উত্তর চুনাপাথরীয় আল্পস, কেন্দ্রীয় আল্পস ও দক্ষিণ চুনাপাথরীয় আল্পস অস্ট্রিয়ার পশ্চিম থেকে পূর্বজুড়ে বিস্তৃত। ৩৭৯৭ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট গ্রোস্গ্লকনার অস্ট্রিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। অস্ট্রিয়ার মাত্র ২৮% অঞ্চল সমতল বা অপেক্ষাকৃত কম পাহাড়ি। অর্থনীতি :অস্ট্রিয়ার অর্থনীতি ব্যবস্থাকে একটি সামাজিক বাজার অর্থনীতি হিসেবে গণ্য করা হয়।

এর গঠন প্রতিবেশী জার্মানির অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মতো। ২০০৪ সালের তথ্য অনুযায়ী অস্ট্রিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪র্থ ধনী দেশ। এখানকার মাথাপিছু স্থূল জাতীয় উত্পাদন প্রায় ২৭,৬৬৬ ইউরো। কেবন লুক্সেমবুর্গ, আয়ারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ড্স এই দিক থেকে অস্ট্রিয়ার চেয়ে এগিয়ে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ২০০২-২০০৬ সময়সীমাতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ১ থেকে ৩.৩%-এর মধ্যে স্থিতিশীল ছিল।

মধ্য ইউরোপে অবস্থিত বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন সদস্যরাষ্ট্রগুলোর প্রবেশদ্বার হিসেবে অস্ট্রিয়া গুরুত্ব লাভ করেছে। ভাষা :অস্ট্রিয়াতে মূলত জার্মান ভাষার একটি পরিবর্তিত রূপ ব্যবহূত হয়। এর নাম অস্ট্রীয় জার্মান। অস্ট্রীয় জার্মান বর্তমান আদর্শ জার্মান ভাষা থেকে বেশকিছু দিকে থেকে আলাদা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে সমস্ত স্বরধ্বনি আদর্শ জার্মান ভাষায় উচ্চারিত হয়, অস্ট্রীয় জার্মান ভাষায় সেগুলো উচ্চারিত হয় না; কিংবা সামান্য ভিন্নভাবে উচ্চারিত হয়।

অস্ট্রীয় জার্মান ভাষায় নিজস্ব প্রত্যয়েরও ব্যবহার আছে। এ ক ন জ রে রাজধানী ভিয়েনা রাষ্ট্রভাষা জার্মান সরকার প্রজাতন্ত্রী প্রেসিডেন্ট হেইনজ ফিচার চ্যান্সেলর উলফগ্যাং স্কসি প্রতিষ্ঠাকাল ২৬ অক্টোবর ১৯৫৫ ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তি ১ জানুয়ারি ১৯৯৫ মোট আয়তন ৮৩,৮৫৮ বর্গকিমি (১১৫তম), ৩২,৩৭৮ বর্গমাইল জলভাগ ১.৩ (%) জনসংখ্যা আনুমানিক ৮,১৮৯,০০০ ঘনত্ব ৯৮/বর্গকিমি মুদ্রা ইউরো ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।