মডেম টা ডিস্কানেক্ট করে দিয়েছিলাম । আবার কানেক্ট করলাম। টেবিলের উপর আমার জানুর দেয়া তাজমহলের নয়নাভিরাম ঝিকিমিকি আমাকে লিখতে বাধ্য করল। তাজমহলটা বেজায় সুন্দর । ওর মতই ।
এটা ওর প্রথম গিফট। আমার টেবিলটা আলো করে আছে ওই তাজমহল টা । একদিন টেবিলের উপর ওটা না দেখে আমার মেজাজ খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। পরে দেখলাম একটা কাগজের নিচে। ভারমুক্ত হলাম।
এখন রাখি পিসির উপর । আমাদের ভালোবাসা অনেক গভীরের। আমার দ্বিতীয় গার্লফ্রেন্ড ও। আমার প্রথমটা এখন আমার নেই । জাহিদ চাচার বউ।
চাচা বললাম বয়সের পার্থ্যক্যের কারনে। ওর থেকে মাত্র ১৫ থেকে ২০ বছরের বড় তো তাই। আমাকে ছেড়ে ও যেতে চায়নি। ওকে নেয়া হয়েছে। চাপ প্রয়োগে ।
তাই ওর উপর কোন অভিযোগ আমি করিনা । যথেষ্ট ভালবাসত আমাকে। ভালোবেসে ও আমাকে প্রথম যে উপহার টা দিয়েছিল, সেটা একটা পারফিউম। যত্ন করে মুখে টেপ পেঁচিয়ে লকারে রেখে দিয়েছিলাম। কিন্তু কিভাবে যেন সমস্ত পারফিউম লকারে ছড়িয়ে পড়ে ।
লকার খুললেই গন্ধে আমি হারিয়ে যাই আমার সোনালী অতীতে। । সেই উদ্দাম প্রেমের সবটুকুই আমার চোখে ভাসতে শুরু করে। । আমার বর্তমান ভুলে যাই আমি।
। ওর ফটোটা দেখতে শুরু করি। কিন্তু আমি যানি এটা আমার ভীষন অন্যায়। । সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম লকার টা ভালো করে পরিষ্কার করব, ফটো, চিঠি সব পুড়িয়ে ফেলব।
। কিন্তু হচ্ছেনা। কেন যেন থেমে যাই। আমার বর্তমান প্রেমিকা আমাকে অনেক ভালবাসে। হতে পারে আমার থেকেও বেশি ।
আমি দোটানায় পড়ে ভীষন কষ্ট পাচ্ছি। । কাউকে বলতেও পারছিনা। ----- ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।