বাঙলা কবিতা ------------------------------------------- এতো নীল তরল-বাতাস! ভেজা ভেজা হাওয়ার সমুদ্র ফুটে আছে অথচ পাখিরা বড় নিস্পৃহ, সাঁতার-অনীহ, যেন তারা কোনওদিনও সাঁতারই শেখেনি! আঁশটে-গন্ধ পাখনা আর পুচ্ছগুলি নির্বিকার, নাড়ে কি নাড়ে না, যেন স্রোতের আরামে ভেসে থাকে! ওদিকে জলের যত তরঙ্গ-বিস্তার, ছোট বড় আকাশে আকাশে, সেখানে মাছের ঝাঁক ডানা মেলে তীব্র উড্ডয়নে... এই দৃশ্যে দুচোখে আনন্দ নামে, নিদ্রার মত নামে প্রশান্ত চমক! তোমাকে দ্যাখাতে চাই, এইসব; সৈকতের বালুস্রোত কী রকম ঢেউ তুলে ছুটে যায়, সমুদ্রশান্তিকে ঢেকে দিতে! যে-শহর এতো আধুনিক, দেহ তার হৃদয়কে অনায়াসে ভুলে যেতে পারে, যে-শহরে ভালোবাসা গণিতের ইশকুলে যায়, ডাইনী, মায়ের বেশে, সন্তানের সাথে করে মমতার নিষ্ঠুর ছলনা; তারও দূরপ্রান্ত জুড়ে, অরণ্যের উদ্ভাসন আছে, দুর্গম পথরেখা, ঊষরতা, শ্বাপদের কোলাহল আছে, পাহাড়ি অঞ্চল ভরা আগাছা-সমুদ্র আছে, নির্জনে তুষারপাত আছে। আমাদের পাখি আর মাছগুলি, এখন, স্থানীয় নয়, অনাবাসী; তাই এতো আধুনিকোত্তর বেঁচে থাকে। তোমার শহরে তুমি আইনত অধিবাসী অথচ প্রবাসী, অনিবাসী-অভিবাসী মনে তোমার যাপন; সে-চিত্রও কারও কারও কাছে, এই মাছ-পাখিদের যাপনের রীতিমর্মে গণ্য হতে পারে! তাই শুধু একবার দেখে যেও, বাঙলার পাখি, মাছ, ইদানিং কী কী সব আচরণ করে। -------------------------------------------------------
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।