ব্লগে অনিয়মিত। শহুরে যান্ত্রিক ছকবাধা জীবনে মারাত্বক ভাবে চমকে দেওয়া ঘটনা খুব কমই ঘটে। একসময় হয়তো খুব ছোটখাট ঘটনায় বেশ চমকে যেতাম, এখন তেমনটা হয় না। তার পরে কিছু ঘটনার মুখোমুখি হয়ে অনেকটা নির্বাক হতভম্ভ হয়ে গিয়েছিলাম, এমন কয়েকটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
১> গত মার্চ মাসের ঘটনা।
গ্রীন রোডের গ্রীন হসপিটালের দোতালার অর্থপেডিক ডাক্তার জনাব আতিকুল ইসলামকে রিপোর্ট দেখাবো। চেম্বারের সামনে ঘন্টাখানেক বসে আছি, মোবাইলে ব্রাউজ করছিলাম। হটাৎ মোটাসোটা হারকিউলিক্সের মত এক মাঝবয়সী লোক আমাকে জিজ্জাসা করলো "ভাই, আপনার নাম কি জাহিদ?" খুব একটা না চমকিয়ে উত্তর দিলাম হ্যা। সে উচ্চস্বরে ধমক দিলো "থাপড়াইয়া সব দাত ফেলে দিব, ব্লুটুথ অন রাখছ কেন"
২> বনানী থেকে গুলশান-১ যাবো রিকশায় উঠলাম ভাড়া ২৫ টাকা। গুলশান ১ নাম্বার যাওয়ার পর ৫০ টাকা দিলাম, রিক্সাওয়ালা ১০ টাকার ২ টা নোট আর ৫ টা প্রান চকলেট হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো, ৫ টাকা ভাংতি নাই।
৩> তিন বছর আগের ঘটনা, রোজার ঈদের ২ দিন পর মধ্যরাতে সোহাগ পরিবহনের ননএসি বাসে করে খুলনা যাচ্ছি একা। বাসে সর্বসাকুল্যে ১০-১২ জন যাত্রী। যদিও আমার সিট ছিলো 3A, পাশের সীটে লোক থাকায় আমি ১ টা সিট পরে 5A সিটে গিয়ে বসে গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়লাম। আরিচা ঘাট আসার পর, গাড়ি থেকে নেমে বাথরুম ও হালকা খাবার সেরে আবারো গাড়ীতে উঠে ঘুম দিলাম। যশোরে এসে গাড়ী ফজরের নামাজের জন্য থামার পর আবিষ্কার করলাম আমার ব্যকপ্যাক(ল্যাপটপ,ক্যামেরা সহ) গায়েব, সুপারভাইজার খুবাই অমায়িক লোক, তাকে জানালাম।
সে অনেক খোজাখুজি করে, হেল্পারকে ধমক দিলো। পরে বললো একটা কাগজে কম্প্লেইন জানাতে হবে, আপনার টিকেটটা দিন। আমি পকেট থেকে টিকেট দিলাম। টিকেটটা হাতে নিয়ে সে আমাকে বললো স্যার এটা তো এই গাড়ীর টিকেট না। এই গাড়ীর পরের গাড়ির।
ঐ গাড়িটা তখন মাত্র যশোর অসেছে, তাড়াহুড়ো করে সেই বাসে উঠে আমার ব্যাগটা পেয়েছিলাম।
৪> এয়ারপো্র্ট থেকে প্রতিদিন শেয়ারে প্রাইভেট কারে করে বনানী অফিসে আসি। আমরা ৪-৫ জন দাড়িয়ে আছি গাড়ির জন্য। একটা এক্স করোলা এসে দাড়ালো, দেখলাম ড্রাইভার একজন মহিলা, সামনের ছিটে আরেকজন ১০-১২ বছরের মেয়ে বসা। ড্রাইভার ও তার পাশের সিটে আরেকজন মহিলা দেখে আমরা আর তাকে কিছুই জিজ্জাসা না করে সামনে হাটা দিলাম, এমন সময় ছোটে মেয়েটি ডাকলো, বনানী, কাকলী ২০ টাকা।
৫> ৪ বছর আগের ঘটনা। তখন একটেল এর পোষ্টপেইড চালাতাম। মাসে ১০০০-১৫০০ টাকা বিল আসতো। ১০০০ টাকা ক্রস করলে কাষ্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে একজন ফোন করে বিলের ব্যাপারে সতর্ক করতো, আর কখন বিল পরিশোধ করতে পারবো এটা সময় চাইতো। সেই সময়ের ভিতর বিল না দিলে লাইন কেটে দিত।
আর ১৫০০ টাকা ক্রস করলে লাইন অটো ডিসকানেক্ট হয়ে যেত। হটাৎ একমাসে বিল আসলো ৪৫০০ টাকার মত। কিন্তু বিল হাতে পাওয়ার সময়ও আমার লাইন সচল ছিলো। আমি গুলশানে সিলভার টাওয়ারে তাদের কাষ্টমার কেয়ার যাওয়ার পর আমাকে যা শুনালো আমার মোবাইল থেকে নাকি সাউথ আফ্রিকার এক নাম্বারে কয়েকবারে টোটাল ৮০/৮৫ মিনিট আউটগোয়িং ছিলো। ইন্টারনেট ও একটিভ ছিলো এবং কয়েক মেগা ইউজেস ছিলো।
যদিও আমার মোবাইল একটেল ন্যাশনাল প্যাকেজ এবং ইন্টারনেট ইনএকটিভ ছিলো।
আরো কয়েকটা আছে, মনে পড়ছে না, মনে পড়লে এড করে দিবো। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।