ভাল লিখা পড়তে পছন্দ করি........ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনের ছয় মেয়র পদপ্রার্থীর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত শামীম ওসমান ও আওয়ামী লীগের 'বিদ্রোহী' প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ভোট দিলেও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া তৈমুর আলম খন্দকার কেন্দ্রে যাননি।
সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান ভোট দেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমী সেন্টারে। কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই চলছে।
ফল যাই হোক, তা মেনে নেবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জের সাবেক পৌর মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে প্রথমে তার বাবার কবর জিয়ারত করেন।
তারপর ৯টার দিকে নিজের ভোট দিতে শিশুবাগ বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান।
এই কেন্দ্রে ইরেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "ভালো লাগছে, ইজি পদ্ধতি। "
তবে নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আইভী অভিযোগ করেন, তোলারাম কলেজ কেন্দ্র থেকে তার নির্বাচনী এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে টেলিফোনে জানতে পেরেছেন তিনি।
এ নির্বাচনের আরেক আলোচিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার শনিবার রাতেই 'দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে' নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
নারায়ণগঞ্জ শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমরা আগেই নির্বাচন বর্জনের কথা জানিয়েছি, প্রত্যাখ্যান করেছি।
সুতরাং, আজ আমরা কেউ ভোট দিতে যাবো না। তৈমুর সাহবও যাবেন না। তিনি বাসায় ঘুমাচ্ছেন। "
ভোট শুরুর মাত্র ৭ ঘণ্টা আগে শনিবার রাত পৌনে ১টায় ঢাকায় 'জরুরি' প্রেস ব্রিফিং ডেকে বিএনপির সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, "নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হয়নি। ভোটারদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হযেছে।
এ পরিস্থিতিতে আমার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি এবং আমাদের প্রার্থীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখছি। "
এর পরপরই বিএনপি সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জে নিজের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, নেত্রীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে, 'তার' নির্দেশে নির্বাচন 'বর্জন' করছেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।