ডঃ ইউনুছ সাহেব দয়া করে আপনার নোবেলটা আমাদের মাননীয় প্রধান্মন্ত্রীকে দিয়ে দেন ।
বাহ! আমাদের ডঃ ইউনুছ সাহেব অনেক ভাগ্যবান। “টেলিনোর” এর তদবির এর টাকায় নোবেল পেয়েছেন তিনি! ডঃ ইউনুছ তো কোন রাজনৈতিক নেতা নন,উনি একজন সাধারন নাগরিক, সে হিসেবে তিনি যদি তদবির করে শত বাঙ্গালির মুখে হাসি ফুটিয়ে নোবেল ছিনিয়ে আনতে পারে, আমরা বলব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! আপনার তো সোনালি ব্যাংক(হলমার্ক),টেলিটক কিংবা হাজার বাঙ্গালির শ্রমেজরা টাকা আছে,দিন না,অন্তত আমরা বুক ফুলিয়ে বলতে পারব দুইজন বাঙ্গালি নোবেল পেয়েছেন।
পৃথিবীর কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী এত সস্তা কথা বলে মনে হয়না। আমাদের সৌভাগ্যযে আমরা সাধারন মানুষের মতই একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি।
যদিও ডঃ ইউনুছ এর আনিত প্রথা নিয়ে আমাদের অভিযোগ আছে। এবং কেউ কেউ মন্তব্যও করেন “ নিজ দেশের হাজার হাজার মানুষের শান্তি কেড়ে নেয়া একজন মানুষ পেয়ে যান শান্তিতে নোবেল!”।
ডঃ ইউনুছ আমদের জন্য কি করছেন,তা নিতান্তই জানার অপূরক হলেও,তিনি যে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ কে উঁচু করে তুলেছেন টা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। ২০০৬ সালের ১৩ অক্টোবর তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান বাংলাদেশ কে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ কে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, াপ্নার দুর্ভাগ্য যে সত্যজিৎ রায় বেঁচে নেই।
থাকলে নিশ্চয় আরেক টা নৌকাডুবি বানিয়ে নিতেন। ৫ সিটি কর্পোরেশন থেকেও যদি শিক্ষা না হয়,তবে নৌকা কিনারে গিয়ে ডুবলে শিক্ষা হবে বৈকি?
পর সমাচারঃ বিশ্বের অন্যতম সেরা সম্মান নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পর রবীন্দ্রনাথের প্রতিক্রিয়া দিয়েই শেষ করব । ১৯১৩ সালের ১৪ ই নভেম্বর কোলকাতা থেকে টেলিগ্রাম এসেছে , ‘ Nobel Prize confirmed for you , our hearty congratulation.’সন্ধ্যের আলো-আবছায়াতে তিনি পড়লেন সেই বার্তা , প্রথমে বিশ্বাস করেননি , ভেবেছিলেন ভাষাতে কিছু ভুল আছে। শেষে বিশ্বাস হলে, অত্যন্ত নিরাসক্তভাবে বার্তাটি অধ্যাপক নেপাল বাবুর হাতে তুলে দিয়ে বললেন , “নিন , আপনার ড্রেন করার টাকা। ” প্রমথনাথ বিশির রচনায় পাওয়া যায় যে সে সময় শান্তিনিকেতনে পাকা নর্দমা বানানোর খরচ নিয়ে টানাটানি চলছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।