আমার এখানে প্রবেশের পূর্বে একবার ভাবুন, ভাল কিছু পাবেননা। ভাল কিছু দিয়ে যেতে পারলে ওয়েলকাম। দুরের এক গ্রামে এক বেকুব বিয়ে করে মহা বিপদে পরে গেল। বউ তার সারাক্ষন বেকুব বেকুব বলে যাতনা দেয়। কেনযে তাকে বউ এভাবে অপমান করে সে তা কোনক্রমেই বুঝে উঠতে পারেনা।
কিভাবে যে এ যন্ত্রনাময় অপমান থেকে রেহায় পাবে অনেক ঝাকাইয়াও সে মাথার ভিতর হতে একটা বুদ্ধি বের করতে পারেনা। অনেক ভেবে নিন্তে না পেরে গেল দাদীর কাছে। দাদীকে বলে দাদী তোমার নাত বউ খালি আমাকে বেকুব বেকুব বলে অপমান করে। আমার আর সহ্য হয়না। দাদী বলে ওরে আমার বুদ্ধিমান নাতী তোমাকে বেকুব না বলে কিইবা বলবেরে? খাড়া আমি তোরে একটা বুদ্ধি দেই।
আজ বাজারে যাবার সময় এ শোলকটি বলবি।
দুয়ারেতে বসে আছে
পুন্দে পিরা দি
বাজারেতে যাবো, কন্যা
আরা দিবো কি?
স্বামীর কথা শুনেতো বেকুবের বউ চমকে উঠে, এই রকম কঠিন কথা কোত্থেকে শিখলো সে?? সেও বুদ্ধি করে বল্লো
আইন্নো পানি চুডুর চাডুর
হস্তির আইন্নো দাঁত
সোনার আইন্নো পানসি পাতা
রুপার আইন্নো পাট
জীবন আইন্নো যৈবন আইন্নো
নবনও আইন্নো
একথা শুনেতো বেচারা বেকুব স্বামীর চোখ গেল কপালে। তার তো কিছুই বুঝা আসলোনা আগামাথা। দৌড় লাগালো দাদীর কাছে। দাদী বলে আরে গাধা এজন্যইতো তোকে বেকুব বলে।
শোন বাজারে যা, সেখানে যে কাউকেই জিজ্ঞেস করলেই কোথায় কি দেখিয়ে দিবে তোকে। বাজারে চলে গেল বেকুব স্বামী। গিয়েই একজনকে জিজ্ঞেস করলো ভাই জীবন কোথায় পাওয়া যায়? লোকটি বল্লো সোজা গিয়ে দেখবেন এক দোকানে একভাই আরেক ভাইকে পিটাচ্ছে, তার পাশের দোকানেই জীবন পাবেন। সে গেল সেখানে, গিয়ে দেখে কোথাও কেউ কাউকে পিটাচ্ছেনা। অন্য আরেক জনকে জিজ্ঞেস করলো ভাই জীবন কোথায় পাওয়া যায়? সে বল্লো সোজা গিয়ে বামে যেখানে তিন ভাই একভাইকে পিটাচ্ছে তার পাশের দোকানে পাবেন।
সেখানে গিয়ে দেখে কেউ কাউকে পিটাচ্ছেনা। বড়ই বিষন্ন হয়ে আরেকজনকে জিজ্ঞেস করতেই সে দিলো এক মাইর। মাইর খাইয়া বেচারা বাজারের মুখে এসে কানতে লাগলো। আজকেতো বউয়ের কাছে মানইজ্জত সব যাবে, মনে মনে এটা জপে জপে কানতে লাগলো। তাকে দেখে এক বৃদ্ধ জানতে চাইলো কি কারন কান্নার।
সব খুলে বল্লো বৃদ্ধকে। বৃদ্ধ লোকটি বলে যারা বলেছেন তারাতো ঠিকিই বলেছে তোমাকে। এক ভাই আরেক ভাইকে পিটাচ্ছে তার মানে হচ্ছে কামারের দোকান। সেখানে একটা লোহা দিয়ে অন্য লোহাকে পিটিয়ে দা ছুরি বানাচ্ছে। সেই দোকানের পাশেইতো চালের (জীবন) দোকান।
আর যে বলেছে তিন ভাই এক ভাইকে পিটাচ্ছে সেও ঠিক বলেছে। আরেক কামারের দোকানে বানাচ্ছে কোড়াল। বড় লোহা তাই তিনজনে মিলে তিনটা লোহার হাতুরী দিয়ে পিটাচ্ছে সেটা দেখেই সে বল্লোযে তিন ভাই এক ভাইকে পিটাচ্ছে যেখানে তার পাশেইতো জীবনের (চালের) দোকান। আর যে তোমাকে মারছে সে জানেনা বলেই মারছে। সে ছিলো পাগল।
এবার চলো আমিই তোমাকে বাকী সব বাজার কিনতে সাহায্য করবো। বৃদ্দের সাথে গেল বাজার করতে। বেকুব বউয়ের বলা শোলকটি বল্লো বৃদ্ধকে।
বৃদ্ধ তাকে সব বুঝিয়ে দিলো এভাবে..
আইন্নো পানি চুডুর চাডুর হচ্ছে "চিঙড়ী মাছ"
হস্তির আইন্নো দাঁত মানে "মুলা"
সোনার আইন্নো পানসি পাতা মানে "পান,"
রুপার আইন্নো পাট মানে "সুপারী"
জীবন আইন্নো মানে "চাল"
যৈবন আইন্নো মানে "কাপড়"
নবনও আইন্নো মানে "নুন"
বৃদ্ধের বাতলানো মতো বেকুব বাজার করে অবশেষে বউয়ের কাছে গেল। বউতো অবাক, কি করে করলে এসব বাজার।
বেকুব বলে আর বলোনা, তোমার বাজার করতে গিয়ে কি মাইরটাইনা খাইলাম। বউ বলে বেকুব নাহলেকি মাইর খেতে ??? এজন্যইতো আমি তোমাকে সোহাগ করে বেকুব বলি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।