আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

[ংন]পদ্মা সতেু নয়িে বশ্বিব্যাংকরে সঙ্গে জটলিতা কটেে যাচ্ছ[ে/ংন]

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক এমএন প্রসাদের ঝটিকা সফরের মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু নিয়ে জটিলতার অবসান হতে যাচ্ছে। এখন শুধু বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সবুজ সংকেতের অপেক্ষা। তবে যত দ্রুত সম্ভব বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের বিষয়টি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে বলে সরকারের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা আভাস দিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সোনারগাঁ হোটেলে এক নৈশভোজ সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে নির্বাহী পরিচালক এমএন প্রসাদের একান্ত আলাপচারিতা হয়। এ আলাপচারিতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা জানতে পেরেছেন।

একই সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংক কি করবে তারও ইঙ্গিত পেয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তবে এ বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলেই বিশ্বব্যাংকের মনোভাবের কথা জানানো হবে। যে কারণে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরপরই পদ্মা সেতু নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হবে। এদিকে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের শর্তের কারণে যোগাযোগমন্ত্রীকে এ প্রকল্প থেকে অব্যাহতি দেয়া হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।

তবে এ বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীর সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নোত্তরপর্বে বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নেই পদ্মা সেতু হবে। বিকল্প উৎসের প্রয়োজন হবে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংকের এমএন প্রসাদকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, তিনি যেন ওয়াশিংটনে গিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের কাছে বিষয়টি খোলাসা করেন।

তিনি তাদের অর্থায়ন স্থগিতাদেশ তুলে নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। এখন বিষয়টি বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের কাছে তুলে ধরে তার সবুজ সংকেত নেয়া হবে। পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্বব্যাংকের ১২০ কোটি ডলার নেয়ার কথা। সেক্ষেত্রে অর্থায়নের ছাড়ের বিষয়টি এখন শুধু অপেক্ষার পালা। এদিকে পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ অবস্থানে ৬ দশমিক ১০ কিলোমিটার রেলসহ ২য় পদ্মা ও বহুমুখী সেতু নির্মাণের জন্য প্রথমে নির্বাচিত দরদাতার জন্য ‘সফট লোন’-এর ব্যবস্থার কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি অংশদারিত্বে এ সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে অর্থনৈতিকবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে।

এ সেতুর জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ১৩ হাজার ১২১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। জাইকা এ সেতুর সমীক্ষা চালায়। এ প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংক, চীনসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে অর্থায়নের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। আবার সরকারের নিজস্ব অর্থায়নেও এ ধরনের বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে সেতু বিভাগ জানিয়েছে।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ সেপ্টেম্বর পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ অবস্থানে ২য় পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের অনুমোদন দেন। তবে প্রধানমন্ত্রী ডিজাইন বুল্ট ও নির্বাচিত দরদাতাকে সফট লোনের ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সফট লোনের পরিবর্তে সরকারি-বেসরকারি অংশদারিত্বে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয়টি বর্তমান সরকারের একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর যাতায়াত ব্যবস্থাসহ তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার বিষয়টি বিবেচনায় এনে এ সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারেও কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সরকারের এক মেয়াদপূর্তিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণেও এ প্রকল্প বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ অবস্থানে ২য় পদ্মা সেতু নির্মাণ হলে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, যশোর ও মাদারীপুর জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ পূর্বাঞ্চলের দূরত্ব অনেকাংশে কমে যাবে। মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টের পদ্মা সেতু দিয়ে তাদের চলাচল করতে হবে না। পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ইতিমধ্যে সমীক্ষা পরিচালনা করেছে।

প্রাথমিক পর্যায়ে চারটি স্থান ২য় পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সুবিধাজনক স্থান হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে। প্রথমটিÑ পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ, দ্বিতীয় দোহার-চরভদ্রাসন, তৃতীয়টি মাওয়া-জাজিরা ও চতুর্থ হচ্ছে চাঁদপুর-ভেদরগঞ্জ। সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ অবস্থানকে সুবিধাজনক স্থান হিসেবে সুপারিশ করে। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।