অভ্র, যুগান্তকারী বাংলা লেখার সফটওয়ার। জটিল কিবোর্ড লেআউট মুখস্থ করতে না পেরে যারা বাংলা লেখাকে ভুলতে বসেছিলেন, বিদেশী ভাষায় চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলা লেখা, তাদের জন্য, আমাদের সবার জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে ফ্রি সফটওয়ার অভ্র। অভ্রর সহজবোধ্য লেখার উপায় ও ইউনিকোড ভিত্তিক ফন্টের কারণেই আজকের ব্লগিং জগতে বাংলার এই সদর্প পদচারণা। এই গ্রুপটিতে আমরা অভ্র নিয়ে কথা বলবো, অভ্রর এই সঙ্কট মুহূর্তে প্রিয় সামহয়ারইন ব্লগের ব্লগারদের কণ্ঠে ধ্বনিত হবে - "ভাষা হোক উন্মুক্ত"। কক্সবাজারের রামুতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ধর্ষণের শিকার তৃতীয় শ্রেণীর সেই ছাত্রীটি সন্তান প্রসব করেছে।
অর্থাভাবে হাসপাতালে যেতে না পেরে ২২ অক্টোবর গর্জনিয়া ইউনিয়নের দুর্গম থিমছড়ি গ্রামের নিজ বাড়িতেই সন্তান প্রসব করে সে।
মেয়েটির দিনমজুর বাবা জানান, টাকার অভাবে মামলা চালাতে তিনি কোনো উকিল নিয়োগ করতে পারেননি। এমনকি গত তিন মাসে একবার আদালতেও যেতে পারেননি। এ অবস্থায় ২২ অক্টোবর তাঁর মেয়ের প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়াও সম্ভব হয়নি। বাড়িতেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় মেয়েটি একটি কন্যাশিশু প্রসব করে।
বর্তমানে মা-শিশু দুজনই অসুস্থ। মেয়েটির বাবা বলেন, নবজাতক ওই শিশুর বাবার পরিচয় কী হবে? মামলারই বা কী হবে? এদিকে প্রতিপক্ষের লোকজন মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জানায়, ‘এমনিতেই আমরা খুব গরিব। বাচ্চাটাকে বাঁচাব কী করে?’
মেয়েটি যে বিদ্যালয়ে পড়ত, ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল আমিন জানান, ‘ওই প্রধান শিক্ষক এ কে এম মিজানুর রহমান সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তি পেয়েই তিনি ও তাঁর লোকজন ওই ছাত্রীর পরিবার এবং তাদের যারা সাহায্য করছে সবাইকে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
’
এদিকে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
রামু থানার ওসি (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন জানান, ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাটি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এরই মধ্যে দায়ী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হয়েছে।
রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের থোয়াইংগাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান প্রায় আট মাস আগে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পর প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে মেয়েটি ওই দিন বিদ্যালয়কক্ষ ঝাড়ু দিতে থেকে যায়।
এরপর সবাই চলে গেলে তাকে ধর্ষণ করেন প্রধান শিক্ষক মিজানুর। ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মেয়েটি।
এ ঘটনায় গত ৩ আগস্ট প্রথম আলোর চতুর্থ পাতায় ‘শিক্ষকের লালসার শিকার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা’ শিরোনামে সংবাদ ছাপা হয়। ওই দিনই পুলিশ মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
সংবাদটি এইখানে দেখুন http://www.prothom-alo.com/detail/news/197350
সংবাদটি পড়ে আপনার এখন কি মনে হচ্ছে ? মেয়েটি এখন কি ভাবছে? সে মেয়েটি যদি আপনার বোন বা আপনার মেয়ে হত তাহলে আপনি কি করতেন ? বর্তমান বাংলাদেশ বিচার ব্যবস্থা এ রকম যে সে বিচার পাওয়া আকাশের তারা ছোয়ার মত।
এরকম কত শত ঘটনা চোখের আড়ালে রয়ে যায় আপনি জানেন কি? সময় হয়েছে জেগে উঠার । আসুন একসাথে জেগে উঠি । আর কত নিজের স্বার্থ দেখবেন? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।