আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২৮ অক্টোবর সম্পর্কিত শিবিরের ভন্ডামীপূর্ণ প্রোপাগান্ডা

অপেক্ষায় আপনি কি ২৮ এ অক্টোবরের সংঘর্ষের ঘটনায় বিভ্রান্ত? আসুন, কনসেপ্ট ক্লিয়ার করি! উপরের লিংকে মূল পোষ্ট। নিচে কপি-পেষ্ট। রাজাকারদের উত্তরসুরীদের কিন্তু ছাগল, ছাগলা বলা হয় না! শব্দটি হলো "ছাগু"! ( রাজাকার সম্পর্কে কিছু বললাম না, কারন আপনার যদি রাজাকার সম্পর্কে কনসেপ্ট ক্লিয়ার করার দরকার থাকে তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য না। ) ছাগু নামটার মধ্যেই কিন্তু একটা ছাগু ছাগু ব্যাপার আছে, তাই না? জামাত-শিবিরের এই কর্মী-সমর্থক ও সমার্থকরা, ছাগল বা ছাগলা না হয়ে ছাগু কেন? বলছি............................. ছাগল হলে সরাসরি বলতো," মুক্তিযুদ্ধ আমাদের স্বার্থ নষ্ট করছে"। রাজাকাররাই সঠিক পথে ছিল! -আর আপনি সাথে সাথে একটা থাপ্পড় দিয়ে বলতেন চুপ ছাগল।

ছাগলা হলে বলতো, পাষ্ট ইজ পাষ্ট। -তখন আপনি ওর মুখে থু থু মারতেন। কিন্তু ব্লগে আসার ক্ষমতা বা উপায় নাই ওদের। ব্লগে আসে তাদের বিবর্তিত উন্নত সংস্করন, ছাগু। ছাগুরা প্রথমেই জামাত-শিবিরের পক্ষে কিছু বলে না।

কিন্তু, এই ছাগুগুলা ইসলাম ধর্ম, ভারত, আমেরিকা, মুক্তবাজার অর্থনীতি, ইসরাইল, তেল, বুদ্ধিজীবি, বিবাহ, সংস্কৃতি এবং মানবতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ এমন নানান ইস্যু টান দিয়ে সবার সামনে তুলে ধরে এবং জামাত-শিবিরের রেকর্ড বাজানো শুরু করে। যেহেতু, ছাগল ও ছাগলা থেকে বিবর্তিত হয়ে উন্নত হয়েছে তাই এরা প্রাথমিক পর্যায়ে সফলভাবে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষনে সামর্থ হচ্ছে। কিন্তু বিবর্তিত হলেও শেষ পর্যন্ত ছাগ গোষ্ঠির বিধার, ২য় ধাপেই জামাত-শিবিরিয় ল্যাদা ডায়ারিয়ার বেগে বের হয়ে যায় বলেই ছাগু! আজকে যেমন, কয়েকজন ব্লগার, ২৮ অক্টোবরের রাজনৈতিক মারামারির ঘটনাকে হাইলাইট করে সিমপ্যাথি আদায় করতে চাচ্ছে! এদের কয়েকজনকে অতীতে বিএনপির সুরে সুর মিলাতে দেখা গেলেও আজ কিন্তু তাদের রূপ ধরা পড়েছে। ২৮ অক্টোবর পূর্বঘোষিত সমাবেশ আয়োজনের কথা, এবং দেশের প্রধান ২ রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী প্রতিক নিয়ে উপস্থিত হবার ঘোষনা দেয়। স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, এবং এটা সবাই জানতো যে ২৮ তারিখে সংঘর্ষ হবে।

তারপরেও যারা যারা সেই জায়গায় গিয়েছিল তারা জ্ঞাত ছিল এবং পরিনতি সম্পর্কে ধারনা স্বত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়েছিল। এবং কাস্তে ও (বাটখারাহীন) দাড়িপাল্লার তুলনায় বৈঠা বেশী কার্যকরী প্রমান হওয়ায় সংঘর্ষে জামাত-শিবিরের কয়েকজন মারা যায়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এমন ঘটেছে, ঘটছে বেশ অনেকবার কিন্তু একমাত্র ছাগুরাই বিগত বছরগুলোর মত এ বছরও এই ইস্যু প্রচার করছে আবেগ, ধর্ম, মানবতা এসবের মত সেনসেটিভ মশলা মেখে! আর এই পুরো রেসিপিটাই জামাত-শিবিরের কেন্দ্র থেকে প্রস্তুতকৃত! আপনি কি জামাত-শিবিরের চাহিদামত চিন্তা করবেন? তাদের আশা অনুযায়ী চলবেন? তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আবেগ আক্রান্ত হবেন? - উত্তরটা জানি, অবশ্যই না! সুতরাং , দেশপ্রেমিক ভাই-বোন আপনাদের মনে ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষ সম্পর্কে কোন রকমের মিতস্ক্রিয়া ঘটানোর আগে ভেবে দেখবেন, সত্যের অপলাপ এবং ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা যারা করছে তারা কতটা হীন মনের মানুষ! তাদের পরিচয় কি? আর তাদের ইতিহাস ও পরিচয় কতটা বাজে!!!! একই উপায়ে মানে , ধর্ম, ভবিষ্যৎ, নীতিবাক্য ও আবেগের সাথে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মিশিয়ে এদের সরাসরি গুরুরাই ৭১ সালে আমাদের জাতিটাকে মায়ের গর্ভে লাথি দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল! তাই আজ থেকে ৪০ বছর আগের চেনা এই চরিত্র আজ চিনতে ভুল করবেন না! আজ এদের চিনতে ভুল করবেন না যেন! এদের জন্ম বাংলাদেশ এবং দেখতে মানুষের রূপী মনে রাখবেন এদের সবচেয়ে বেশী যথাযত ও কার্যকর পরিচয় , এরা ছাগু। নীচের ভিডিওতে দেখুন শিবিরের সেইদিনের রূপ। ভিডিও নেয়া হয়েছে এখান থেকে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।