আজ ২৫শে মার্চ ২০১৩ কাউখালী গণহত্যার ৩৩ বছর পূর্ণ হল। ১৯৮০ সালের এই দিন রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহীনি আর সেটেলার দ্বারা পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে বর্বরতম গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিলো।
সেদিন স্থানীয় সেনা ইউনিটের প্রধান এক ধর্মীয় সভা আহ্বান করে কলমপতি ইউনিয়নের পাহাড়ি নেতাদের জড়ো করেন এবং সাধারণ পাহাড়িদেরও সকাল বেলায় পোয়াপাড়া বৌদ্ধ মন্দিরের সংস্কার কাজের জন্য ডাকেন। তারপর সবাইকে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহতের মধ্যে বাজার চৌধুরী কুমুদ বিকাশ তালুকদার, স্থানীয় ইস্কুল কমিটির সেক্রেটারী শরদিহর চাকমাও রয়েছেন।
এদের হত্যা করেও সেনাবাহিনী ক্ষান্ত হয়নি। তারা সেটলারদের নিয়ে পাহাড়ি অধ্যুষিত কাউখালী মুখ পাড়া, পোয়াপাড়া, কাউখালী বাজার, তোং পাড়া এবং হেডম্যান পাড়া আক্রমণ করে। সেনাবাহিনী গ্রামের চারিপাশে ঘিরে থাকে যাতে কেউ বেরুতে না পারে। আর সেটলাররা দা, কুড়াল ইত্যাদি অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পাহাড়িদের কুপিয়ে হত্যা করে ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। মুখপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, তোং পাড়া আনন্দ মোহন বৌদ্ধ মন্দির, পোয়া পাড়া বৌদ্ধ মন্দির, কাউখালী বৌদ্ধ মন্দির এবং হেডম্যান পাড়া বৌদ্ধমন্দিরও এদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।
ঘটনার প্রায় একমাস পর ২১শে এপ্রিল(১৯৮০) তিন সদস্যের একটি বিরোধী সংসদীয় তথ্যানুসন্ধানী দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। শাহজাহান সিরাজ, রাশেদখান মেনন এবং উপেন্দ্র লাল চাকমার সমন্বয়ে গঠিক এই টিম ঘটনার প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে সিন্ধান্তে পৌঁছায় যে, “ It is obvious to us that the incident of Kalampati is not an isolated event. It has been perpetrated systemmatically and with a definite plan. (সূত্র: রাডার, লোগাং গণহত্যা সংখ্যা)
এ গণহত্যায় কমপক্ষে ৩০০ পাহাড়িকে হত্যা করা হয় এবং এক হাজারের অধিক পাহাড়ি রিফিউজি হিসেবে ভারতের ত্রিপুরয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। বর্তমানে ঐ জায়গাগুলো সেটলাররা বেদখল করেছে, বৌদ্ধ মন্দিরের জায়গায় মসজিদ বানানো হয়েছে।
কাউখালী গণহত্যা সহ পার্বত্য চট্টগ্রামে ডজনের অধিক গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে। কিন্তু কোন গণহত্যারই আজ পর্যন্ত তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি।
নিচে http://www.angelfire.com- এ কাউখালী গণহত্যা সম্পর্কে প্রকাশিত তথ্য সংযুক্ত করা হলো:
Kaukhali Massacre, 25/03/1980:
There have been numerous attacks on the Jumma people by the settlers and the Bangladesh Army. But the massacre of Kaukhali Bazaar of Kalampati on 25th March 1980 stands out, because it was the first massacre in which indigenous people were killed in their hundreds. 300 Jummas were killed in this massacre and many more were injured.
On that they the Bangladesh military had asked the Jumma people to gather in the bazaar on the pretext holding a meeting for the reconstruction of a Buddhist Temple. Following the gathering the military suddenly encircled the area and opened fired on the unarmed Jumma civilians. The innocent Jumma people were completely caught by surprise. The Bangladesh military beforehand had informed and armed the Bangladeshi settlers for the massacres. The the Bangladeshi settlers assisted the Bangladesh Army by axing the injured men, women, and children, whom the military had hidden in the background for the massacre. Buddhist temples and religious images had been destroyed by the Bangladesh Army and the Bangladeshi settlers.
Thousands of Jummas took refuge in the Indian state of Tripura. Later on they were repatriated on an agreement between the Tripura government and the Bangladesh Army, and on the promise that things like that would not happen again.A parliamentary investigation team was formed by then Ziaur Rahman Government, but the report never saw the daylight. The military officers who engineered the killings not only were never punished, they were promoted in the ranks of the Bangladesh Army.
লিঙ্ক: http://www.angelfire.com/ab/jumma/massacre.html
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।