হয়ত একটু বেশিই বুঝি । উঠতি বয়েসী তরুণ-তরুণীরা পাগলের মতো হন্যে হয়ে ছুটছে বাংলা চটির সন্ধানে। দিন দিন বাংলা চটির কদর শহর গ্রাম সবখানে বিশেষ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ প্রজন্মের কাছে বেড়েই চলেছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় চটি কোথায় পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে অনেকেরই সঠিক ধারণা নেই। তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে তাই সবাই ছুটছে গুগলি মামার কাছে, বাংলা চটি লিখে সার্চ দিয়েই খুঁজে পেতে চায় কাঙ্খিত সচিত্র বাংলা চটির খবরাখবর।
যদিও বাংলা চটির সঠিক তথ্য আমার ঝুলিতে নেই তবুও বাংলা চটি প্রেমী এ সকল তরুণ-তরুণীদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে সচিত্র বাংলা চটির খবরাখবর এখানে তুলে ধরলাম। : :: : : : : এলিফ্যান্ড রোড তরুণ, তরুণী শিশুসহ সব বয়সের মানুষের প্রয়োজন উপযোগী চটির দোকান রয়েছে। বলতে গেলে এক সঙ্গে চটির অনেক দোকান। এখানে সাধারণ দেশী ও চায়নার জুতো বেশি পাওয়া যায়। সারা বছরই ভালো বিকিকিনি হয় এখানে, তবেঈদ মৌসুমে এলিফ্যান্ড রোডের জুতোর বাজারে ঢুকতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়।
চৌরঙ্গী মার্কেটেও একই অবস্থা, প্রবেশ করতে গায়ে গায়ে ধাক্কা লাগে। নিউ মার্কেটের ওভারব্রীজের তলেও মেলে বাহারী চটির সমাহার। এসব মার্কেটে হালকার মধ্যে বিভিন্ন চটি জুতো সাড়ে তিন শ’ থেকে দেড় হাজার টাকায় পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন শপিংমলে চটির বাহারি কালেকশন রয়েছে। বসুন্ধরা সিটিতে একটি ফ্লোর জুড়ে রয়েছে এপেক্স, বাটা, পেগাসাস ও ইনফিনিট জুতোর শো রুম।
সর্বনিম্ন সাড়ে চার শ’ থেকে দুই হাজার টাকায় এখানে চটি পাওয়া যায়। এপেক্সে চটি জুতো বিক্রি হয় ৫শ’ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকায়। তবে বেশি মূল্য হচ্ছে ইনফিনিট শোরুমে। সেখানে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার নিচে কোন জুতো ছেলেদের জন্য সংগ্রহে নেই। অভিজাত শ্রেণীর ক্রেতারা ওই শোরুম থেকে পছন্দের জুতো ক্রয় করে।
মিরপুর দশ নম্বরেও মেলে বাহারী জুতোর দোকান। মেলে রাজধানীর ছোট-বড় সকল মার্কেটেই। ধানমন্ডি ১৫, কেয়ারী প্লাজার উত্তর পাশের রাস্তা দিয়ে সোজা পশ্চিম দিকে জুতার দোকানে পছন্দের ডিজাইনের চটি বানিয়েও নেয়া যায়। শহরের বিভিন্ন এলাকায়ই এমন অনেক জুতোর দোকান আছে যেখানে ভালোমানের পছন্দসই ডিজাইনের জুতো তৈরী করানো যায়। এমনকি স্বনামধন্য ব্রান্ড বাটার অধিকাংশ চামড়ার জুতোই ছোটখাটো দোকান থেকেই তৈরী করিয়ে নেয়া হয় বলে অভিযোগ আছে।
তাই যারা ব্রান্ড পায়ে না দিয়ে জুত পায় দিতে চান তারা কম খরচে এসব সাধারণ দোকান থেকেই টেকসই জুতো, চটি তৈরী করিয়ে নিতে পারেন। তবে যারা আরো সস্তায় চটি কিনতে চান তাদের জন্য গুলিস্তানে রয়েছে বাহারী রঙ্গের ও ডিজাইনের চটির দোকান। আর কম দামে সেকেন্ডহ্যান্ড ভালো চটি কিনতে চাইলে অবশ্যই জুমার নামাজের পরে যেতে হবে গুলিস্তানের ফুটপাত মার্কেটে। বিভিন্ন মসজিদের জুমার নামাজের মুসল্লীদের চুরি করা বাহারী এ সকল জুতো যেমন সাধ ও সাধ্যের অপূর্ব সমন্ব ঘটাবে তেমনি মসজিদ থেকে চোরাই চটি ক্রয় করে জুতো চোরদের উৎসাহিত করায় অশেষ নেকী (?) হাসিলের বাড়তি সম্ভাবনাও থেকে যায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।