জীবনের সত্যগুলো ধীরে ধীরে মিথ্যা হয়ে যাচ্ছে_______
সাম্প্রদায়িক শব্দটা আজকাল বড্ড বেশী আলোচিত
সভা, সেমিনার আর টক শো যাই বলো না কেন
‘সাম্প্রদায়িক’ আজও একটা চাপা অহংকার নিয়ে বেঁচে আছে ।
সাম্প্রদায়িকতার শৃঙ্খলে শৃঙ্খলিত চারিদিক
অথচ শব্দটি নিয়ন্ত্রিত শিল্পের রূপে রূপায়িত হচ্ছে প্রতিনিয়ত ।
দীর্ঘ আদিম কালে যে বীজ বোনা হয়েছিলো রক্তে
তা আজও টগবগ করে ফুটছে ।
কড়িকাঠে মনুষ্যত্বের বলি চড়িয়ে কপচাচ্ছি সাম্প্রদায়িকতার বুলি
আকাশ-বাতাস জয় জয়কার ধ্বনি-প্রতিধ্বনিতে মুখরিত করছি
মানবতার মুখোশ পরে নির্লজ্জ ভাবে ।
পুরুষত্বের বীর্যের তেজ আজি পরীক্ষণীয়
সাম্প্রদায়িক যুদ্ধ ঘোষণা করে ।
এর শেষ কোথায় ?
অথচ চোখ মেলছি না, বাগানের অসাম্প্রদায়িক
সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলগুলোর দিকে
কিংবা রাস্তায় ষাটোর্ধ বৃদ্ধ রিকশা চালকের দিকে ।
দেখছি না – অভুক্ত শীর্ণ শরীরধারী টোকাই নামি
হাজারো অসাম্প্রদায়িক শিশুকে
যারা সাম্প্রদায়িক তেজে বলিয়ান বীর্যের
বিলাসী কোন এক রাতের অপ্রত্যাশিত ফসল ।
এরা কি হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ নাকি মুসলমান ?
এসব প্রশ্নে এরা দিকভ্রান্ত নয়
এদের চোখে-মুখে ক্ষুধার রাজ্য, এদের চর্ম-হাড় সর্বস্ব
দেহে শত ফুটো জীর্ণ কাপড় ।
ওরা দিকভ্রান্ত ক্ষুধা নিয়ে, স্বপ্নহীন জীবন নিয়ে
ওরা লালায়িত এক টুকরা শীতের কাপড়ের জন্য
কিন্তু ওরা কস্মিন কালেও ‘সাম্প্রদায়িক’ নামের বর্বর শব্দটার
আবেগে আপ্লুত হয়নি ।
তবে ওরা সবাই সাম্প্রদায়িক ন্যাকা ভাবধারী পুরোহিতের
পবিত্র উপাসনালয় হতে নিগৃহীত ।
ওরা বাঁচতে চেয়েছে বেঁচে থাকার জন্য
কোন অহংকারী, নিষ্কর্মা, অদৃশ্য দেবতার কৃপার জন্য নয় ।
পাবনা-২২/০২/১৩ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।