তাঁকে বিশেষ কোনো বিশেষণে অভিহিত করা যায়, কী নামেই বা ডাকা যায়—তা নিয়ে ভেবে অনেকেই গলদঘর্ম হয়েছেন। তাঁর ‘কর্মময়’, ‘বর্ণাঢ্য’ ও ‘ফলদ’ জীবনের পেছনের গল্পটি আবিষ্কারের চেষ্টা করেছেন। অবাক বিস্ময়ে ভেবেছেন, কী করে একজন মানুষ এতগুলো স্ত্রী ও সন্তানের ‘ভার’ বইতে পারেন?
ভারতের মিজোরাম রাজ্যের আদিবাসী খ্রিষ্টান সম্প্রদায় চান্নার নেতা ৬৭ বছরের জিয়ংহাকা চানারের কথা বলা হচ্ছে। তাঁর ৩৯ জন স্ত্রী ও ৯৪টি সন্তান আছে। আরও আছে ১৪ ছেলের বউ এবং ৩৩ জন নাতি-নাতনি।
সব মিলিয়ে তাঁর এ বিশাল পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১৮১। ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমান বিশ্বে এটাই সবচেয়ে বড় একক পরিবার।
তবে পরিবার এতটা বড় হওয়ার পরও খুশি নন জিয়ংহাকা। আরও কয়েকটি বিয়ে করে পরিবার আরও বড় করতে চান তিনি।
সুঠাম দেহের অধিকারী জিয়ংহাকা বলেন, ‘বিয়ের জন্য আমি কেবল মিজোরাম সীমান্তেই নয়, প্রয়োজনে ভারতের বাইরে যেতেও রাজি।
’
১৯৩০ সালের শুরুর দিকে জিয়ংহাকার বাবা চালিয়েনচানা চান্না সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে মারা গেলেও বর্তমানে তাঁর সম্প্রদায়ের সদস্য সংখ্যা চার প্রজন্ম মিলিয়ে এক হাজার ৭০০।
চালিয়েনচানারও ছিল ৫০ স্ত্রী। আর তাঁর অনেক সন্তানের মধ্যে জিয়ংহাকার সবচেয়ে বড়।
একটি পাহাড়ের চূড়ায় জিয়ংহাকার রয়েছে ১০০ কক্ষবিশিষ্ট চার তলা বাড়ি।
সবচেয়ে কম বয়সী স্ত্রী তাঁর শোয়ার কক্ষের পাশেই ঘুমান। তবে এতে বঞ্চিত হন না অন্য স্ত্রীরা। কেননা, সব স্ত্রীর জন্যই রয়েছে নিয়ম করে পালাক্রমে তাঁর সঙ্গে ঘুমানোর সুযোগ।
জিয়ংহাকার এক ছেলে নানপারলিয়ানা বলেন, ‘আমরা সুখী। এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের মতোই আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করি।
অন্যদের সঙ্গে আমাদের একটি পার্থক্য হলো—আমাদের ধর্মে একের বেশি স্ত্রী থাকাকে বৈধতা দেওয়া হয়। ’
কাঠের আসবাবে খোদাই কাজ ও পটারি তৈরির জন্য এ সম্প্রদায়ের লোকজনকে বর্তমানে মিজোরাম এবং এর বাইরেও এক নামে সবাই চেনে।
মিজোরামের রাজধানী আইজলের একটি গির্জার প্রধান বলেন, খ্রিষ্টান ধর্মে বহু বিবাহের অনুমতি নেই। মিজোরামে বহু বিবাহের প্রবণতা খুব কম।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, খ্রিষ্টান ধর্মের মধ্যে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে বিশ্বাসী ৯৫টি সম্প্রদায় মিজোরামে রয়েছে।
এসব সম্প্রদায়ের কেউ কেউ তাদের ছেলেমেয়েদের অন্যদের সঙ্গে মিশতে দেয় না, স্কুলেও যেতে দেয় না।
সূত্র ঃ প্রথম আলো ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।