অনেক হাসি-কান্না মিথ্যা হতে পারে কিন্তু প্রতিটি দীর্ঘশ্বস'ই সত্য।
মাত্র দুটি হত্যা এরশাদ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছিল। এক নূর হোসেন আর ডা. মিলন। কিন্তু গত কয়েক মাসে শত-শত হত্যা করে ও বহাল তবিওতে এই সরকার। ৫ই মে হত্যাকান্ডের পর সরকার সমর্থক পন্ডিতেরা বলছেন এ ছাড়া সরকারের অন্য কোন উপায় ছিল না।
যেন এই বাকশালী সরকার ছাড়া দেশের আর গতি নাই। হত্য-গুম, দূর্নীতি, চাঁদাবাজীতে নিমজ্জিত এই সরকারকে ক্ষমতায় থাকতেই হবে তাতে লাশের পাহাড় হলেও দোষ নাই। তাহলে কি জেনারেল এরশাদ ভুল করেছিল? আরও বেশী হত্যা করলে হয়ত বিপক্ষে বলার আর কেউ থাকতো না, ক্ষমতাও টিকে যেত।
একটি রাজনৈতিক সরকার কোন বিরোধী শক্তিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে না পারলে তার সরকারে থাকার কোন অধিকার নেই। হিন্দু উগ্রবাদীরা যখন বাবরী মসজিদ ভাঙ্গবেই সিদ্ধান্ত নিল তখন তৎকালীন প্রাইম মিনিষ্টার ভি.পি. সিং এর বিপক্ষে ছিলেন।
তিনি কিন্তু এই উগ্রবাদীদেরও গুলি করেননি, অবশেষে বিষয়টি আদালতে গড়িয়ে যখন উগ্র্রবাদীদের পক্ষে রায় এলো, ভি.পি. সিং পদত্যাগ করলেন। রাজার নীতি এমনই হয়, আমাদের রাজনীতিবিদরা না হয় না’ই বুঝলেন কিন্তু বুদ্ধিজিবীদের বুদ্ধিও দেখলাম হাঁটুতে ঠেকে গেছে, তাই বলে বেড়াচ্ছেন সরকারের উপায় ছিল না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।