আসুন সত্য বলি
নাহ! আমাদের বুদ্ধিজীবী, চুশীল আর মুক্তমনা শ্রেনীর ব্যস্ততা আর শেষ হবেনা। ২ দিন আগে সৌদি সরকারের কল্লা ফালানো আইন নিয়ে অনেক চেঁচামেচি করতে হয়েছে,ব্লগিং করতে যাইয়া আংগুলি ব্যথা করে ফেলেছে,অবশ্য যারা বুদ্ধিমান ব্লগার তারা সৌদি আর ইসলামকে ধুয়ে একটা ড্রাফট করে রেখেছে যেখানে লেগেছে কপি পেস্ট করে দিয়েছে।
কিন্তু তাও তো অন্তরকে বুঝানো যায় কাজটা মুসলিমরা করেছে,বর্বর(?) শ্রেনীর লোকেরা বর্বর (?)কর্মকান্ড করবে এটা তো স্বাভাবিক। কিন্তু আজ যেখানে নারী স্বাধীনতা বুলি ছড়ানো হচ্ছে দুর্বার গতিতে সেখানে যুক্তরাজ্যের মত একটা দেশের মাটিতে একটা স্কুলে মেয়েদের মিনি স্কার্ট পড়ে স্কুলে আসা নিষেধ করেছে এ ব্যাপারটি কিছুতেই বরদাশত করা যাচ্ছে না। ধিক্কার! ধিক্কার! নামমাত্র সভ্য জাতি গুলোকে।
এ ব্যাপারটি শুনে বিশ্বের কোন প্রান্তের চুশীল মুক্তমনারা কি বসে থাকতে পারে?পারেনা।
তাই বাংলার ব্লগার, চুশীল মুক্তমনারা বসে থাকেনি। তারা শাহবাগের মোড়ে ১৩ জনের এক বিশাল আমরন অনশনের আয়োজন করে। মিনিস্কার্ট পড়ে মেয়েদের কেমন সুন্দর আর সেক্সী লাগে সে ব্যাপারটি বুঝানোর জন্য তারা মিনিস্কার্ট পড়ে এ অনশন কার্যক্রমে যোগ দেয়। খবর পাওয়া গেছে তাদের এ মিনি স্কার্টের স্পন্সর ছিল বাংলাদেশ বস্ত্র শিল্প মন্ত্রনালয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বস্ত্র মন্ত্রলায়ের এক কর্মকর্তা ব্যাপারটি স্বীকার করে নেন। সৌদি আরবে কল্লা ফালানোর পর যেমন জল্লাদের পোশাকে কল্লা ফালানোর নাটক মঞ্চস্থ করা হয়, এবারে মিনিস্কার্ট পড়ে মেকআপ নিয়ে নাটক মনস্থ করা হয়। মেকাআপের স্পন্সর ছিল পারসোনা। কানিজ আলমাস খান এ স্পন্সরশিপ দিতে পেরে জাতির কাছে কিছুটা আস্থা পাবেন বলে সংবাদিকদের জানিয়েছেন। দু একজন অনশন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে গাঁঞ্জা খাইয়ে তাদের কিছুটা সুস্থ করা হয়।
এদিকে বিভিন্ন লুল শ্রেনীর ব্লগাররা এ অনশনের প্রচারে বিভিন্ন পোস্ট দিতে থাকে। তাদের মোটো ছিল জি বাংলার মিঠুন চক্রবর্তীর অনুকরনে-
“সালা স্বাধীনতা হরিত হবে ইউ কে
প্রতিবাদ হবে শাহবাগে”
স্থানীয় এক রেডিওতে দেওয়া সাক্ষাত্কারে যুক্তরাজ্যের ওই স্কুলের অধ্যক্ষ ক্লেয়ার বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, মেয়েরা স্কার্ট পরে নিজের অজান্তে অন্যের কাছে ভুল বার্তা পাঠাচ্ছে। ’
চুশীল সমাজ এ বিষয়ে তাদের চরম রোশ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা জানান। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে এক চুশীল বলেন-
“গ্রাম্য একটা কথা আছে আমার গরু আমি গলা দিয়ে জবাই করি নাকি পেছন দিয়ে জবাই করি তাতে কার বাপের কি?ঠিক তেমনি আমার শরীর আমি অর্ধেক খোলা রাখব নাকি পুরো খোলা রাখব সেটা আমার ব্যাপার তাতে কারো বাধা দেয়ার কোন অধিকার নেই”।
তখন ওই সুশীলকে প্রশ্ন করা হয় “তাহলে ফ্রান্সে যখন হিজাব বোরকা বন্ধ করা হয় তখন আপনাদের বোরকা পড়ে শাহবাগের মোড়ে দেখা যায়নি কেন”?
তিনি উত্তরে বলেন -“আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নই”
এদিকে তসলিমা নাসরিন তার টুইটারে এক বার্তায় জানান
“আমি যদি বাংলাদেশে থাকতাম তাহলে আমার সহচিন্তার মানুষদের সাথে যোগ দিতাম।
আফসোস
মৌলবাদীরা আমাকে সে সুধা থেকে বঞ্চিত করলো। “ব্যক্তি স্বাধীনতার জয় হক” ।
এ খবর শোনার পর অনশনকারীদের উদ্যম আরো কয়েকগুন বেড়ে গেল।
এদিকে ডেইলি মেইল পত্রিকার খবরের বরাত দিয়ে যখন তাদের বলা হল “এটাকে তো স্থাস্থ্য বিষয়ক গবেষনা প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলেছেন” তখন তারা এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন এটা কখনোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় বরং সূর্যের আলোর ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য এ পোশাক একান্ত জরুরী। তারা আমাদের বিশেষ প্রতিনিধিকে জানিয়েছে এ গবেষনা দলটি সৌদি আরব থেকে টাকা খেয়ে এ রকম কথা বলছে।
এদিকে অত্যন্ত গোপন ও নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্যানূযায়ী বাংলার মুক্তমনা ও বুদ্ধিজীবী দের পাঁচ সদস্যের একটি গ্রুপ এটাকে কোনভাবে ইসলামের সাথে লিংক করা যায় কিনা সেই বিষয়ে গবেষনা করছে। দু দিন আগে সৌদি আরবের ইস্যু নিয়ে ইসলামকে ধোয়ার একটা চান্স ছিল আর এখন যদি এ ইস্যুতেও ইসলামকে ধোয়া যায় তাহলে তো “লে হালুয়া”।
পরিমলকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি ওই স্কুলের কর্তৃপক্ষের সাথে পুরোপুরি একমত পোষন করেন। তিনি আরো বলেন “আর কোন পরিমলকে যেন অঘটন ঘটাইতে গিয়ে হেনস্থা হতে না হয়। এ আইনটি শত শত পরিমলকে বাঁচাতে অত্যন্ত যুক্তিসংগত”।
এ ঘটনা চুশীল বুদ্ধিজীবীদের ছাড়িয়ে চলে গেছে রাজনীতির অংগনেও। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যুক্তরাজ্যের এ ঘটনাকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে চুশীলদের সাথে একাত্মতা পোষন করেছেন। তিনি বলেন মিনি স্কার্টে তো মেয়েদের সুন্দরই লাগে। I like it.। তিনি আরো বলেছেন আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে শাহবাগ মোড়ে নয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আপনাদের অনশনের ব্যবস্থা করে দেব।
বাংলাদেশ সংসদের ডেপুটি স্পীকার শওকত আলী ওই স্কুলের সাথে দ্বি মত পোষন করে বলেছেন “যাদের চেহার কুৎসিত তাদের বোরকা করার আইন করা হোক,আর যারা সুন্দরী তাদের জন্য এ আইন অত্যন্ত অমানবিক” ,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুন অবশ্য ডেপুটি স্পীকারের এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দায় জানিয়েছেন।
পরে বিকালের দিকে কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির উপস্থিতিতে শরবত খাইয়ে তাদের অনশন ভাংগানো হয়। পরে অবশ্য শোনা যায় অনশন ভাঙ্গার পরপরই আজীজ মার্কেটে গঞ্জিকা সেবনের উৎসব হয়।
বিঃদ্রঃকল্পনার রংতুলিতে বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি
সংগ্রহ ফেসবুকঃ MuZahid Rasel
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।