কোথাও আমার হারিয়ে যাবার নেই মানা,,,,,, প্রকৃতি-লগ্ন জীবনানন্দের ভালবাসা স্রষ্টার সৃষ্ট প্রান ও অপ্রাণ জগতের সকল কিছুর উপর পড়েছে,ক্ষতিকর কীটও তাঁর কবিতায় ঢুকে পড়েছে অবলীলায়,পেয়েছে আন্তরিক মমতা।বাংলার গাছপালা,ফল,পাখি,জীবজন্তুর এত নাম আর কোন কবির রচনায় পাওয়া গেছে কিনা সন্দেহ। জীবনানন্দের কবিতায় নিবিড় বটের নিচে লাল লাল ফল পড়ে থাকে।আলো আর বুলবুলি খেলা কোরে হিজলের জানালায়,হলুদ পাতার ভীড়ে বসে শিশিরে পালক ঘষে শালিখ,সোনার বলের মতো সূর্য আর রুপোর ডিবের মতো চাঁদ দেখে পিপুলের ডালে বসে পেঁচা,জলপাই অরণ্যের পারে পাহাড়ের মেধাবী নীলিমা,জোনাকিতে ভরে যায় অন্ধকারে আকন্দধুন্দুল।অনেক শিরিষের ডাল,অশথ্থর চূড়া,সুন্দরী,অর্জুনের বন,বাবলার গলির অন্ধকার,শাল,পামের নিবিড় মাথা,উঁচু উঁচু হরিতকি গাছ,আম,নিম,জাম,ঝাউ,পিয়াল,আমলকি,পিপুল,দেবদারু ভীড় করে তাঁর কবিতায়।তলায় ফণিমনসার কঁাটা,জামির,হোগলা,শর,মধূকুপী ঘাস পড়ে থাকে,কান পাতলেই অন্তহীন এক অরণ্যের মর্মর শোনা যায়,কবিতা পড়তে পড়তে মনে হয় যেন ঝরঝর করে গায়ে মাথায় রাশি রাশি হলুদ হেমন্তের পাতা ঝরে পড়ছে,থুরথুরে অন্ধ পেঁচা,একা পায়রা,সোনালি চীল,কাকাতুয়া,মাছরাঙা,জলপিপি,দুরন্তশকুন সবার আসা যাওয়া তাঁর কবিতায়,সন্ধ্যার আঁধারে ঘুমের ঘ্রাণ পাওয়া হঁাস কে পাই পুকুর পাড়ে,স্ফটিক পাখনা মেলা বোলতা,নীলিমায় সাদা বক ওড়ে নীল হাওয়ার সমুদ্রে,কাঁচ পোকা,গঙ্গাফড়িং,চড়ুই,দোয়েল,ঝিঁঝিঁ তো আছেই,কিন্তু মাছি,নীলমশা,পাটকিলে ডানা চীল,ভাঙাডিম,মাকড়ের ছেঁড়া জাল,কাঁকড়া,গলিত স্হবির ব্যাং,বাটা মাছ এরাও শোভা বর্ধন করেছে তাঁর কবিতায়। চলবে
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।