আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৯ অক্টোবর জাহিনটেক্স আইপিও লটারি

আবেদনকারীদের মধ্যে প্রাথমিক শেয়ার বরাদ্দের জন্য আগামী ১৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) জাহিনটেঙ্ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারি অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানির আইপিওতে নির্ধারিত শেয়ারের তুলনায় ১৭ গুণের বেশি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানা গেছে। জাহিনটেঙ্রে শেয়ার বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, আগামী ১৯ অক্টোবর আইপিও লটারির আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানের জন্য বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বরাদ্দ পাওয়া গেলে ওইদিনই লটারি অনুষ্ঠিত হবে। জাহিনটেঙ্ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করছে।

৫০০ শেয়ারে মার্কেট লট নির্ধারিত হওয়ায় সর্বমোট ৪০ হাজার আবেদনকারী জাহিনটেঙ্রে শেয়ার বরাদ্দ পাবেন। এরমধ্যে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ বা ৩২ হাজার লট শেয়ার। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে ২০ লাখ বা ৪ হাজার লট শেয়ার। এই দুই ক্যাটাগরির জন্য নির্ধারিত ৩৬ হাজার লট শেয়ারের বিপরীতে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৯০টি আবেদন জমা পড়েছে। এরসঙ্গে অর্থ জমা হয়েছে ৭৭৪ কোটি ১৩ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা।

অন্যদিকে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জাহিনটেক্সে আইপিওতে ২০ লাখ বা ৪ হাজার লট শেয়ার সংরৰিত রয়েছে। এর বিপরীতে প্রবাসীরা প্রায় ১৭ হাজার বা ৫ গুণ আবেদন জমা দিয়েছেন। এই ক্যাটাগরিতে জমা হওয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় ২১ কোটি টাকা। কোম্পানির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের জন্য ১৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ মোট ২৫ টাকা নেয়া হয়েছে। ফলে ৫০০ শেয়ারের প্রতি লটের জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে ১২ হাজার ৫০০ টাকা জমা দিতে হয়েছে।

আইপিওতে শেয়ার বরাদ্দের জন্য গত ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থানীয় বিনিয়োগকারী এবং ১ অক্টোবর পর্যনত্ম প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র জমা নেয়া হয়েছে। জাহিনটেঙ্ ইন্ডাস্ট্রিজ আইপিওর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের জন্য গত ৩ আগস্ট সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) অনুমোদন লাভ করে। আইপিও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কোম্পানির ইসু্য ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করছে এ্যালায়েন্স ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড। জাহিনটেঙ্ ইন্ডাস্ট্রিজের বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ২৫ কোটি টাকা। আইপিও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর পরিশোধিত মূলধন ৪৫ কোটি টাকায় উন্নীত হবে।

আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ৪০ কোটি টাকা, চলতি মূলধন হিসেবে ৯ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং আইপিও প্রক্রিয়া ও প্রিমিয়ামের ওপর আরোপিত কর বাবদ ৯০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ৪৬ টাকা ১ পয়সা। ২০১০ সালের ডিসেম্বর পর্যনত্ম অর্ধ-বার্ষিক হিসেবে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল প্রায় ৩ টাকা ৫ পয়সা। এর ভিত্তিতে বার্ষিক হিসেবে ইপিএস ধরা হয়েছে ৬ টাকা ৯ পয়সা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।