আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

I Hate BNP & Awamilig. Cholen amra Jatio Party Kori. (copy post)

এরশাদের অপরাধ তিনি স্বৈরশাসক, কিন্তু গণতন্ত্র সরকারের নেত্রী হাসিনা খালেদাকি আমাদের গণতন্ত্রকে মুক্তি দিয়েছে? নাকি গনতন্ত্রের নামে সাইন বোর্ড লাগিয়ে পাচঁ বছর করে পালাক্রমে গণতন্ত্র ও জনগনকে ধর্ষন করে? আমরা কি সত্যিই মুক্ত? গনতন্ত্র সরকার কি জনগনের কল্যানে নাকি রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের কল্যানে? এরশাদও দূর্নীতি করেছে, আর গণতন্ত্রীসরকার? আমার মতে দুই মহিলার কাছে এরশাদ এখানে নস্সি। আসলে ক্ষমতায় এই জায়গাটিতে কেউ লোভ সামলাতে পারেনা। কিন্তু এরশাদ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড গুলো ভুলে যাবেন? সমস্ত দেশের অবকাঠামোটা এরশাদ তৈরী করে না গেলে সত্যি আমরা কি আরও বেশী এগিয়ে যেতাম? গনতন্ত্র সরকার কি আমাদের দেশ কে এগিয়ে নিচ্ছে নাকি আমরা পিছিয়ে পরছি! নিন্মে এরশাদের উন্নয়নের ছোট্ট একটা লিষ্ট দিলাম যে গুলা এখনো আমরা ভোগ করছি *সারাদেশে খাল খনন কর্মসূচি *প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ কপ্লেক্স *প্রতিটি উপজেলায় বিচার ব্যাবস্থার জন্য আদালত স্থাপন *প্রতিটি উপজেলায় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় *প্রতিটি উপজেলায় কলেজ স্থাপন * ঢাকা সহ ছোট বড় প্রায় শহরে শহর রক্ষা বাধ নির্মান *ঢাকা চট্রগ্রাম হাইওয়ে *প্রতিটি জেলা শহর থেকে উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যন্ত নতুন রাস্তা র্নিমান (ইটের সলিং) *প্রতিটি ইউনিয়নে বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র (আমাদের গ্রাম সহ আশে পাশের গ্রাম গুলিতে ছিল) *প্রতিটি উপজেলায় এবং ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা পরিষদ (আমাদের গ্রামে প্রায়ই দেখতাম মা বোনদের কে পরামর্শ দিতে আসত) *আনসার বিডিপি (গ্রাম্য সরকার পরিচালনার জন্য) *প্রতিটি উপজেলায় খাদ্য গুদাম স্থাপন *প্রতিটি উপজেলায় ভূমি অফিস *উপজেলা পরিষদ নির্মান *ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মান *সার এবং বীজ বিতরন *সম্ভবত যমুনা সেতুটি এরশাদের প্রচেষ্টর ফসল *ঢাকা ক্যান্টেনম্যান্ট এর ভিতর দিয়ে সৈনিক ক্লাব হতে মিরপুর-১০ পর্যন্ত সড়কটি এরশাদের একান্ত প্রচেষ্টার। *বিভিন্ন নদীর উপর বেইলী ব্রিজ স্থাপন *গরীব ও দূস্থদের মাঝে দুম্বার মাংস বিতরন *বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য বিতরন অনেক কিছুই আছে মনে নেই আর এত সব ফর্দের প্রয়োজন আছে বলেও মনে করিনা। কারন এরশাদের আমলের রাজনৈতিক ব্যাক্তি নয়, সাধারন জনগন তার উন্নয়ন অস্বীকার করবেনা।

আসুন এবার দেখি উপরোক্ত উন্নয়ন গুলার কি হাল অবস্থা- *নতুন করে খাল খনন থাক দূরের কথা এরশাদের আমলের খননকৃত খাল গুলোকেই রক্ষা করা হয়নি, যার জন্য সেচ বিদ্যুতের উপর নির্বরশীল এবং বন্যা সমস্যা দিন দিন বারছেই। * উপজেলা সাস্থ কমপ্লেক্সে ডাক্তার থাকলেইত রোগী যাবে, তাছারা কমপ্লেক্স গুলার আবস্থাও জড়াজির্ণ * এই জায়গাটিতে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষরা সবচে বেশী ভূক্তভোগী, উপজেলা পর্যয়ে বিচার ব্যাবস্থা না থাকায় কেউ মামলা করা হাজিরা দেওয়া থেকে শুরু করে বিচারীক সব কিছুর জন্য জেলা শহরে দৌড়াও। যার জন্য বিচার প্রর্থিরা নিরুতসাহিত । * শিক্ষা খাতে গনতন্ত্র সরকারের উন্নয়ন শিকার করতেই হবে, তবে সেটা বিগত ২০বছরে নয়, কেবল মাত্র গত ১০বছরে। *এরশাদের আমলের শহর রক্ষাবাধ গুলো রক্ষনা বেক্ষনের নামে চলে লোটপাট, বালির বস্তা আর নিন্মমানের সিমেন্ট দিয়ে তৈরি ব্লক যেন পানিতে অতি সহজেই ভেসে যেতে পারে।

*ঢাকা চট্রগ্রাম হাইওয়ে ৪লেনের ধোয়া ২০বছর ধরেই দেখে আসছি বাস্তব বহুদূর * বিগত ২০বছরে নতুন রাস্তা উল্লেখিত হারে হয়নি অন্তত এরশাদের আমলের ৯বছরে যা করেছে বিগত ২০ বছরে এর ধারেকাছেও যেতে পারেনি বরং রাস্তা দখল হয়েছে বেশী। বরং গনতন্ত্র সরকারের সময় খানা খন্ধে ভরা রাস্তা ঘাটে মানুষের মৃত্যু কে গরু ছাগলের সাথে তুলনা করে করে উপহাস করা হয়। *বয়স্করা লেখা পড়া করার দরকার নাই কয়দিন পরেই মইরা যাইব তাই এই কার্যক্রম বিলুপ্ত। *পরিবার পরিকল্পপনা (ফ্যামিলি প্যানিং) কর্যক্রমটি অবস্থা হিসাবে আছে গোয়ালে নেই। পরিকল্পনার কি দরকার সাবাই এনজয় কর যে যত পার আন্ডা বাচ্চা পয়দা কর প্রয়েজনে টিম কর।

আর আদমসূমারির সময় জনসংখ্যা কিভাবে কম দেখাতে হয় তা সরকার ভালভাবেই জানে। * ছাত্রদল যুবদল, যাত্রলীগ যুবলীগ থাকতে আনসার বিডিপির কি দরকার। * খাদ্যই নাই গুদাম দিয়ে কি হবে ( আমার এলাকায় এখন খাদ্য গুদামকে বিগত দুইটি গনতন্তী সরকার কমিউনিটি সেন্টার বানিয়েছে) অবশ্য রাজনৈতিক ব্যাবসায়ীদের গুদাম ঠিকি আছে। *বর্তমানে ভূমি অফিস আছে খাস ভূমি খাওয়ার জন্য। আর দুপক্ষ থেকে ঘুষ খেয়ে দুপক্ষকেই হয়রানি করার জন্য।

*উপজেলা পরিষদের বর্তমান কার্জক্রম না থাকার করনেই মনুষ শহর মুখি হওয়ার একটি কারন। *ইউনিয়ন পরিষদ এখন ডিজিটাল, লেপটপ ওয়েবকেমও দেয়া হয়েছে তবে মেম্বার চেয়ারম্যানদের সন্তানেরা বাসায় ব্যাবহারের জন্য। * সার বীজ নিয়ে এরশাদের আমলে সমস্যা দেখিনি বরং খালেদার আমলে সারের দাবীতে কৃষককে গুলি করে মারতে শুনেছি। *যমুনা সেতুটি এখন বঙ্গব্ধুর, আর গনতন্ত্র সরকারের পদ্মা সেতু প্রকল্প শুরুর আগেই লুটপাট করে খালস, সম্ভবত পদ্মা সেতুটি আতুর ঘরে চলে যাচ্ছে। *বিগত ২০বছরে সরকারদলীয় ৩জন এমপি এবং একজন ক্ষমতাধর মন্ত্রী থাকার পরও আমার এলাকার নদীটির উপর এখনো এরশাদের ফেলে যাওয়া লোহার কংকালটি পরে আছে।

ভাগ্যিস এরশাদ দিয়ে ছিল অন্যথায় দক্ষিন অঞ্চলের মানুষ হয়েও নৌকাতে চলতে হত। *দুম্বার মাংস নিয়ে কথাটি হয়ত অনেকেই হাস্যকর মনে করবেন। হয়ত অনেকেই বলবেন এরশাদের উন্নয়ন খুজে পাইনা তাই। এখনও প্রতি বছর হজ্বের পর দুম্বার মাংস আসে কিন্তু গনতন্ত্র সরকারের আমলে রাজনৈতিক ব্যাক্তিরাই ভোগ করেন। *বন্যার্তদের জন্য এখনো খাদ্য বরাদ্ধ হয় কিন্তু বরাদ্ধকৃত খাদ্য রাজনৈতিক ব্যাক্তি এবং মন্ত্রি এমপিদের বাসায় বিতরন হয়, আর জনগনকে পরামর্শ দেয়া হয় কম খেতে।

সিডরের পর সবচেয়ে বেশী অর্থ বরাদ্ধ হয়েছে কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো এখনো বাধের উপর ঝুপড়ি ঘরে থাকতে হয়। এরশাদ তিনটা কেন ত্রিশটা বিয়ে করলেও আমার কিছু যায় আসেনা। প্রত্যেকটা মানুষের ব্যাক্তিগত কিছু ব্যাপার থাকে। আমি মনে করিনা এ ব্যাপারে নাক গলানোর কিছু আছে। এরশাদের আমলের সময় মালয়শিয়া, থাইল্যান্ড সহ তখনকার বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের উন্নয়নের পার্থক্যটা কতটুকু ছিল আর এখন কতটুকু? আমি মনে করিনা এতটা পার্থক্য থাকার কারন আছে।

কারন একটাই তার আমলের উন্নয়ন গুলোকে পরবর্তি সরকার গুলো ধরে রাখেনি। অবশ্য বিগত দুটি গনতন্ত্রী সরকারই একজন আরেক জনের কাজ পরবর্তিতে পরিচালনা করাকে হারাম মনে করে। টাকাত জনগনের জলে গেলেই কি! নতুন করে বিশ্বব্যাংক ঋৃণ দিবে, প্রয়োজনে আগের সরকারে অর্ধনির্মিত ব্রিজের পাশে নতুন করে আরেকটি ব্রিজ উদ্ভোদন হবে। আর আমার অনাগত সন্তানটি ঋৃণের বোঝা মাথায় নিয়েই জন্ম নিবে। স্বৈরশাষক এরশাদের আমলের উন্নয়ন সরাসরি জনগণ ভোগ করত, আর গনতন্ত্র সরকারের উন্নয়ন রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা ভোগ করে।

এরশাদের আমলে রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের বাক স্বাধনীতা হরন করা হয়েছিল, আর গণতন্ত্র সরকারের আমলে জনগনের বাক স্বাধীনতা হরন করা হয়। এরশাদের আমলে রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের হরানি করা হত আর গনতন্ত্রের সরকারের সময় জনগনকে হয়রানি করা হয়। স্বৈরসরকারের আমলে শুধ্র রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নিরাপত্তায় ভোগে আর গনতন্ত্র সরকার সময় সমস্ত জনগন নিরাপত্তায় ভোগে। গনতন্ত্র সরকারের আমলেও অনেক উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু সেগুলো কার জন্য? কিছু রাজনৈতিক ব্যাক্তি আর কিছু আমলাদের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কেউ যদি বলেন এরশাদ সংবিধান কে কলঙ্কিত করেছে, তবে আমি বলব সংবিধানের প্রতিটি পাতা উল্টিয়ে দেখেন গনতন্ত্র সরকার কি করেছে এর ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পারবেন।

গনতন্ত্র সরকারের আমলে ঢাকা শহরে গাড়ীওয়ালাদের জন্য অনেক ফ্লাইওভার হয়, কিন্তু সাধারন জনগনের জন্য পাবলিক বাস দেয়া হয়না। বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তন করতে কয়েকশ কোটি টাকা নষ্ট করা হয়, অথচ এই টাকা দিয়ে কতত হাজার পরিবারকে স্বয়ংসম্পূর্ন করা যায় তা ভাবা হয়না। বিদ্যুৎতের জন্য খাম্বা তৈরী করা হয় কিন্তু বিদ্যুৎত উৎপাদন করা হয়না। গনতন্ত্র সরকার মানেই চায়নিজ গ্যারান্টেড অথবা নো গ্যারান্টি রাস্তাঘাট মেরামত আর মেরামতের নামে লোটপাট আর স্বৈরসরকারের রাস্তাঘাট মানে যতটুকুই করবে কমপক্ষে ১০ বছরের গ্যারান্টি। গনতন্ত্র সরকারের আমলে দ্রব্যমূলের উর্দ্ধগতি থাকলেও রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের সমস্যা হয়না কারন তাদের পকেট তখন ভারি থাকে।

গনতন্ত্র সরকারের আমলে রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের নিরাপত্তার কোন অভাব হয়না, তাদের দলীয় লাইসেন্সকৃত অস্ত্র সাথে রাখে। আর তাদের দলীয় কোপা বাহিনিতো থাকেই। কিন্তু জনগন দিনরাত ২৪ঘন্টা বাহিরে থাক দূরের কথা নিজের ঘরেই নিরাপত্তায় ভোগে। বিশেষ করে সাধারন ব্যাবসায়ীরা গনতন্ত্র এবং স্বৈরতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্যটা বেশী উপলব্ধি করতে পারেন। গনতন্ত্র সরকার মানেই জনগনের বাক শক্তি হরন করা।

গনতন্ত্র সরকার মানেই যুব সমাজকে নোংরা রাজনীতি শিখানো। গনতন্ত্র সরকার মানেই আমার বোনকে জোড় করে ধর্ষন করা, গনতন্ত্র সরকার মানেই আমার বাবাকে ধরে নিয়ে হত্যা করা। গনতন্ত্র সরকার মানেই আমার ভাইকে ক্যাম্পাসে ফেলে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা। গনতন্ত্রমানেই আত্মশিকৃত খুনিকে ক্ষমা করে দেয়া খুন কে বইধতা দেয়া গনতন্ত্রের নামে জনগনকে শিকল পরিয়ে রাখাকে গনতন্ত্র বলেনা। গনতন্ত্রী সরকার জনগনের টাকা দিয়ে শুধু কারোর বাপ আর স্বামীর স্বপ্ন পূরন করে।

গনতন্ত্রী সরকার জনগনের টাকা দিয়ে সাত কোটি যুবসমাজের স্বপ্ন পুরন করেনা। স্বৈরস্বাশক আসেনা তাই আমার বাবার স্বপ্ন পূরন হয়না। জনগন অন্ন চায় নিরাপত্তা চায় চিকিৎসা চায় এই মৌলিক চাহিদার বাহিরে জনগনের চাহিদা খুব সামান্যই। আমার এই নূন্যতম চাহিদা যদি গনতন্ত্র দিতে না পারে তবে শুধু মানচিত্র নয় অমি গণতন্ত্রকেও খাব। একটি প্রচলিত গল্প আছে- এক ক্ষুধার্ত মহিলা রাতের বেলায় ক্ষুধার তারনায় অনেক মানুষের দুয়ারে দুয়ারে বাঁচার জন্য খাবার চাইল কিন্তু কেউ তাকে খাবার দিলনা।

পরিশেষে এক ভদ্রলোক তাকে খাবার দিতে রাজি হলেন। তবে তার সাথে একরাত থাকতে হবে শর্তে। মহিলটি রাজি হলেন। আমার মতে এই স্বার্র্থসিদ্ব ভদ্রলোক অন্য সব মানুষের তুলনায় থেকে এখানেই আলাদা যে তিনি মহিলাটিকে ভোগ করে হলেও মহিলাটির বাচাঁর আশা পূরন করেছিলেন। তাই আমি চাইনা গনতন্ত্রী সরকার পেটে একবেলা ভাত না দিয়ে আমাকে আর একবার ধর্ষন করুক, প্রয়োজনে আমি চাই স্বৈরশাষক একবেলা পেটে ভাত দিয়ে আমাকে তিন বেলা ধর্ষন করুক।

স্বৈরশাষকের আমলে ধর্ষন করা হয়েছিল রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের আর এখন রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের দ্গারা ধর্ষিত হয় জনগন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।