CONNECTION FAILED এখন ঠিক মধ্যাহ্ন। দিনের অর্ধেক ভাগ শুরু হলো মাত্র বটে আমার জন্য সেটা সকালই। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে প্রতিদিনের মতো গার্লফ্রেন্ডতুল্য ল্যাপটপটাকে কোলে টেনে নিলাম। নেট কানেক্ট করতেই স্বভাবমতো জিমেইল, ফেসবুক, সামু এবং প্রথম-আলো ট্যাব খুলে বসলাম। সবকিছুতেই একনজর চোখ বুলিয়ে প্রথম-আলো পড়তে বসলাম বেশ আরাম করেই।
প্রথম পাতাতেই তিনটা খবর পড়ে তিন রকম অনুভুতি জন্ম নিলো। বহুদিন ঘুম থেকে উঠেই এরকম রকমারি অনুভুতি পাইনি। দেখা যাক খবর তিনটি কি?
প্রথমে দেখা যাক বিনোদনের খবরে
খবরটি আসলেই বিনোদনের! একদম নির্মল বিনোদন, কোন খাদ নেই। "খোঁজ দ্যা সার্চ" সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রী অনন্ত-বর্ষার বিয়ের খবর ছাপা হয়েছে। খবরটা হলো অনন্ত হেলিকপ্টারে চড়ে শ্বশুর বাড়ি গেছে! সেটাই ফলাও করে ছাপা হয়েছে, এবং বর্ষার বাবা আইনুল হকের কথা শুনুন, "তাঁর মেয়ে বর্ষার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আপ্যায়ন করা হয় প্রায় ১৫ হাজার আমন্ত্রিত অতিথিকে।
আর সবার খাবারের জন্য ১১টি গরু, ১৬টি খাসি ও চার হাজার মুরগির ব্যবস্থা করা হয়। সেই সঙ্গে ছিল পর্যাপ্ত দই ও মিষ্টির ব্যবস্থা। খাবার রান্না শুরু হয় এক দিন আগে। বাবুর্চি এবং ডেকোরেটরের জিনিসপত্র আনা হয় ঢাকা থেকে। "
যাহ শালা নিজের খিদাটাই চাঙায়া দিলো কিন্তু কথা হলো এই খবর ছাপানোর জন্য প্রথম-আলো কি পরিমান খানা পেয়েছে সেটা লিখে নাই পত্রিকাটা মাঝে মাঝে যে পরিমান উদ্ভট খবর ছাপায় তাতে একটা কথাই মনে হয় আজিব চিজ হ্যায় ইয়ে মাগুর মাছ প্রথম-আলো।
এখনও তেমন কোন কমেন্ট পরেনি নিউজটিতে, আশা করি জমজমাট কিছু মন্তব্য দেখতে পাবো!
এবারের টা অবশ্য একটু প্রতিহিংসার খবর
খবরটা পড়ে ক্যামন জানি একটা ক্রুর হাসি খেলে গেছে আমার। বলা যায় পৈশাচিক একটা আনন্দ। খবরের মাঝের অংশটুকু কোট করে দেয়া যাক
ইসলামাবাদের দাবি, ২০০১ সালে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পাকিস্তান অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় অনেক বেশি ত্যাগ স্বীকার করছে। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত দেশটির তিন হাজারেরও বেশি সেনা নিহত এবং ১০ হাজারের মতো আহত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের কণ্ঠেও আক্ষেপ।
একটি মার্কিন গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন, ‘হতাহতের এই সংখ্যা যদি যুক্তরাষ্ট্রের হতো এবং অপর কোনো দেশ এর পরও তাদের এমন দোষারোপ করত, তবে তারা তখন কী বলত !’
অনেক সাধারণ পাকিস্তানির ক্ষোভের কথাই ফুটে উঠেছে হিনা রাব্বানির বক্তব্যে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট আবদুর রেহমানের বয়স মাত্র ৩৫। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে অংশ নিয়ে ২০০৭ সালে বোমার আঘাতে পা হারান তিনি। তিনি যখন শুনলেন, মার্কিনরা তাঁদের প্রতি তুষ্ট নয়, তখন আবদুর রেহমানের জুতসই প্রশ্ন, ‘পাকিস্তান আর কী করতে পারে?’
একটা কথা মনপ্রাণ খুলে বেড়িয়ে এসেছে সেটা হলো, "মানবতা গোল্লায় যাক তোরা ধ্বংস হ। " আশা করি এই পোস্টে ছাগুরা এসে ল্যাঞ্জা দেখিয়ে যাবে
এবার আনন্দের, অনেক আনন্দের একটা খবর, অনেক আশার মাঝে দারুণ আরেক্টা আশার খবর, ভালোলাগা খবর
দেশের প্লাস্টিক দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদনে নীরব বিপ্লব ঘটে যাচ্ছে।
একসময়ের আমদানিনির্ভর এসব পণ্যের প্রায় সবই এখন দেশে তৈরি হচ্ছে। এভাবে প্লাস্টিক পণ্যে স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করে ২০১০-১১ অর্থবছরে ছয় কোটি ৮৭ লাখ ডলার আয় হয়। ২০০৯-১০ অর্থবছরে এই আয় ছিল পাঁচ কোটি ছয় লাখ ডলার। এর আগের অর্থবছরের রপ্তানি আয় পাঁচ কোটি ২৩ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরে এই খাতে আট কোটি ৪২ লাখ ডলার পরিমাণ রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গত জুলাই-আগস্ট অর্থাৎ প্রথম দুই মাসে এক কোটি ৩৩ লাখ ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দেশের বাজারে সব ধরনের প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদার পরিমাণ প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। চাহিদার পুরোটাই এখন মেটাচ্ছে সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ছোট-মাঝারি ও বড় প্রায় তিন হাজার প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।
মন ভালো না হয়ে কি পারে এমন একটা খবরে? তবে ভালো রকমের একটা অভিযোগ আছে এখানে সেটা হলো, বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) সভাপতি সামিম আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্লাস্টিক শিল্পটি পুরোটাই বিদ্যুৎনির্ভর।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় সামর্থ্য অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারছে না। ’
আশা করবো অনেক বাধা বিপত্তি স্বত্বেও এগিয়ে যাবে এই শিল্পটি। সরকারও পাশে এসে দাঁড়াবে এই কামনাই করি। পুরো নিউজেই খুঁটিনাটি তুলে ধরা হয়েছে, দারুণ ভালো লেগেছে নিউজটি পড়ে।
আজ যদি বাংলাদেশ ওয়েন্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজে ফিরে আসতে পারে তবে দেশকে নিয়ে দারুণ ভালো লাগায় ভরপুর একটা দিন পার করতে পারবো আশা করি।
খেলা শুরু হবে একটু পরেই। দেখা যাক কি হয় আজ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।