আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হারুন-আল-রশিদ

আব্বাসীয় খলিফা হারুন-আল-রশিদ ৮০৯ খ্রিস্টাব্দের ২৪ মার্চ পারস্যের তুসে ইন্তেকাল করেন। আধুনিক ইরাকজুড়েই ছিল তার শাসন। ৭৮৬-৮০৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তার শাসনামল বৈজ্ঞানিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অগ্রযাত্রায় ছিল উল্লেখযোগ্য। শিল্প ও সঙ্গীতেরও উল্লেখযোগ্য বিকাশ ঘটে তার সময়ে। বিখ্যাত পাঠাগার বায়তুল হিকমার প্রতিষ্ঠাতা তিনি।

বুদ্ধিবৃত্তিক, সামরিক এবং রাজনৈতিক পরম উত্কর্ষের আলোকে হারুনের জীবন ও দরবার বহু আখ্যানের চমত্কার বিষয়বস্তু ছিল। এসব গল্পের কিছু কিছু বাস্তব হলেও অধিকাংশই ছিল কাল্পনিক। এগুলো আজও পৃথিবীতে ‘হাজার এক আরব্য রজনী’ হিসেবে সমাদৃত। হারুনের জন্ম পারস্যের রে’তে। তবে তার জন্মতারিখ সঠিক জানা যায় না।

তৃতীয় আব্বাসীয় খলিফা আল- মাহদি এবং তার স্ত্রী আল খায়জুরানের ঘরে তার জন্ম। হারুনের মা ক্রীতদাসী হলেও অসাধারণ ব্যক্তিত্বগুণে স্বামী এবং ছেলের শাসনামলে প্রচণ্ড প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। খলিফা হওয়ার আগে পূর্বপুরুষদের মতো তিনিও চিরশত্রু বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। ‘হাজার এক আরব্য রজনী’ উপন্যাসের জন্য খলিফা হারুন কিংবদন্তি হয়ে আছেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।