আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে সকল বই ও চলচ্চিত্র আমার জীবনে প্রভাব ফেলেছিলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে

নতুন আলোয় সবাইকে আমন্তন.......... আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজ আমি এমন কিছু বই ও চলচ্চিত্রর কথা লিখবো, যেগুলো আমার জীবনে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রভাব ফেলেছিলো। আমার মনে হয় এটা আরও অনেকের বেলাতেও হতে পারে। আমি ছোটবেলা থেকে খুব কৌতুহলী স্বভাবের এমনকি এখনো।

নতুন যেকোনো কিছুর প্রতি খুবই আগ্রহ। সবচেয়ে বড় বদ অভ্যাস হচ্ছে পাঠ্য বইয়ের বাহিরের বইগুলোকে পাঠ্য হিসেবে পড়ি। চঞ্চল চৌধুরীর # প্রেমের উপন্যাস ক্লাস সিক্সে থাকতে আমার প্রথম পঠিত উপন্যাস। প্রেম সম্পর্কে সেই প্রথম ধারনা। হুমায়ুন আহমেদ ডাক নামঃ বাচ্চু আমার মনে হয় পৃথিবীতে আর কোন জিনিসের উপরে আমি এতটা নেশাগ্রস্ত হইনি, যতটা না তার বইয়ের উপরে হয়েছে।

সামাজিক অনেক বাস্তবতা ও চরিত্র সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছিলাম তার উপন্যাসগুলো থেকে। এখনো পাচ্ছি। মাসুদ রানা সিরিজের বই আমি পাঠ্য বইয়ের ফাকে ঢুকিয়ে পড়েছি অনেক রাত আম্মার সামনে। তিনি দেখলেই বই নিয়ে নিতেন। রানার বই পড়ার সময় স্বভাবতই আমিও এরকম একজন হতে চাইতাম।

ক্লাস সেভেনে থাকতে প্রথম মামার কাছ থেকে নিয়ে পড়ি "বন্দী গগল " । আমি ৭০ তম বাংলাদেশ আর্মির বিএমএ দুই বছর মেয়াদী কোর্সের জন্য ফরম ফিলআপ করি। সেটা অবশ্য হয়নি। যা হোক, আর্মিতে যাওয়ার জন্য রানার প্রভাব আমার মধ্যে প্রত্যক্ষ ভাবেই ছিল। ভাইবাতে আমাকে মেজর প্রশ্ন করেছিলেন , তুমি কেন আর্মিতে আসতে চাও ? আমি একটা মিথ্যা উত্তর দিয়েছিলামঃ আমার ছোট বেলার ইচ্ছা।

আসলে, উত্তর হবেঃ মাসুদ রানার মত রোমাঞ্চকর জীবন পাওয়ার জন্য। আমি এখনো কাজী আনোয়ার হোসেনের # রানা সিরিজ পড়ি। বর্তমানে হাতে আছে " শয়তানের উপাসক "। স্যার মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ডাক নামঃ ইকবাল আমি কসম করে বলছি ক্লাস এইটে পড়াকালীন, এত অল্প বয়সে আমি এত বড় দুঃখ পাইনি। যতটা না পেয়েছিলাম " আমার বন্ধু রাশেদ " পড়ে।

তার বই মূলত কিশোর বয়েসের নানা ধরনের প্রেক্ষাপটে লেখা থাকতো। অনেক পরে তার কিছু বইতে গনিতের উপরে লেখা দেখতে পাই। সে জন্য কিছু গনিত বইও কিনি। কিন্তু আমার অধম ব্রেন তা বুঝতে পারে নাই। পরে গনিত একেবারেই মাথায় ঢুকত না।

অন্য রকম সব চিন্তা করতাম। এই সিনেমা দেখে গত বছর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যে ভাবে হউক গাড়ির উপরে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যার ফলে ভর্তি হই বাংলাদেশ-কোরিয়ান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার এ ৬ মাস মেয়াদী অটো-মোবাইল ইঙ্গিনিয়ারিং কোর্সে। দুই মাস করে আর যাই নি । স্যারেরা বলেন এ সব কোর্স করে কোন লাভ নেই এখানে।

যদি ভবিষ্যতে টাকা কামানোর ইচ্ছা থাকে তাহলে , কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি হও। তার ৪ মাস পর ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি হলাম। কপাল খারাপ হলে যা হয়, এরপর কোরিয়া লোক নেওয়া বন্ধ করে দেয়। জীবনে অনেক ঘাঁটে ঘুরেছি কোথাও স্থির হতে পারিনি। আমার আরেকটি প্রিয় চরিত্র পাইরেটস অব দা ক্যারাবিয়ান সিনেমার "ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো" তার মত হয়ে যেতে ইচ্ছা করে।

জানি আমি কারো মতই হব না। জানি না সামনে আরও কি অপেক্ষা করে আছে ? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।