ভালো আছি আমার ভাবনায়, জাময়াত ও বামদের মধ্যে তেমন কোনো তফাত নেই । উভয় দলই সুদূরপ্রসরী লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি করে । এবং উভয় দলই ক্ষণে ক্ষণে ভোল বদলায় । কোনো বিশেষ দলের বিরুদ্ধে জেহাদে নেমে আবার সে দলের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজনীতি করার চতুরতা উভয় দলের ঝুড়িতে যথেষ্ট আছে ।
পার্থক্য কেবল এতটুকু- জামায়াতের আক্বিদাগত কিছু সমস্যা আছে ; যদি তারা এখনও মওদুদিবাদকে সাপোর্ট করে থাকে।
আর বামদের আক্বিদা বলতে কিছুই নেই । এরা আগাগোড়া ধর্মবিরোধী ।
তবে এটা সত্য, অনেকের মতো আমিও মনে করি, সাঈদী ও জামায়াত এক নয় । সাঈদীর উপর অবিচার করা হচ্ছে ।
অবশ্য অবিচার যার প্রতিই হোক না কেন, তাতে বাম আর জামায়াত বলে আলাদা করার অবকাশ নেই, ইসলামের অবস্থান সব অবিচারের বিরুদ্ধে ।
আজ জামায়াতের উপর যে অবিচার চলছে, কাল যদি সে অবিচার বামদের বিরুদ্ধে হয়, অবশ্যই তার প্রতিবাদ ইসলামি জনতার পক্ষ থেকে আসতে হবে ।
এটাই ইসলামের শিক্ষা ।
মক্কা বিজয়ের সূচনা হয়েছিলো একটি অমুসলিম গোত্রের উপর কোরাইশদের সন্ধিবিবর্জিত আক্রমণের সূত্র ধরে । রাসূল সা. সে আক্রমণের প্রতিবাদ করেছিলেন । এবং তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করার জন্য মক্কায় প্রতি আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন ।
যা ছুড়ান্ত ভাবে মক্কা বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছে ।
অবশ্য এখন ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হোক কিংবা সরকার বিরোধী হোক, সব আন্দোলনই পরোক্ষভাবে জামায়াতকে প্রক্সি দিচ্ছে । এবং সাধারণ মানুষ জামায়াতের প্রতি খুবই সংবেদনশীল হয়ে পড়েছে । আর আলেমদের ধারণা, জামায়াত নিয়ে এখন ঘাটাঘাটি না করে রাজনৈতিক সমঝোতা করে নিলেই ভালো ।
আ.লীগ বারবার বিএনপিকে বোঝাতে চাচ্ছে, জামায়াত থেকে সরে এলেই তাদের কাঙ্ক্ষিত মুক্তি মিলবে ।
দেশের মানুষ, মানে কতিপয় টকশোবাজি করা আমলারা তাহলে সুর বদল করে বিএনপির পক্ষে দু’একটা গুণগান গাইতে রাজি থাকবে । যা দেশের জন্য, বিশেষ করে গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত শুভকর । বিএনপি কেন চুপ করে আছে ? তারা কেন বলে না, তাহলে আ.লীগের জনাবেরা আপনারা কেন বামদের ছাড়ছেন না ? তাদের কেন আঁচলে বেঁধে রখেছেন ? মুক্তিযুদ্ধে তাদের যে কোন মহৎ অবদান ছিলো, তা আমরা ভালো করেই জানি । কম্যুনিস্টদের ক’জন রাজাকার আর ক’জন মুক্তিযোদ্ধা ছিলো- সেই ডক্যুমেন্ট এখনও হারিয়ে যায় নি।
সেটা বিএনপি বলার মতো ক্ষমতা রাখে না ।
কারণ ওরাও কম্যুনিস্টদের প্রশস্তি শুনতে ভালোবাসে । আসলে আ.লীগ আর বিএনপি উভয় দলই ভোটব্যাংক রাজনীতি করে । একেকটা ভোট ওদের ক্ষমতায় যাওয়ার একেকটা সিঁড়ি । তাই কোনমতে কাউকে চটাতে চায় না, যতক্ষণ না তাদের বিদেশি প্রভুরা চোখ টিপে ইশারা দেয় ।
যত যাই বলেন, এখন সময় হলো ইসলামপন্থী গণমানুষের ।
বিশ্বের যেখানেই গণ বিস্ফোরণ ঘটছে, শুরুতে কিছু মশা-মাছি উড়লেও শেষ পর্যন্ত রায় ইসলামপন্থীদের পক্ষেই যাচ্ছে । মানুষ এখন যে কোন সময়ের তুলনায় ইসলাম নিয়ে অনেক বেশি ভাবে । এবং ইসলামের আলোয় আলোকিত সমাজ ব্যাবস্থা গড়ার প্রত্যয় ক্রমশ মানুষের চেতনায় স্থান করে নিচ্ছে ।
আমাদের নেতা নেই, অর্গানাইজেশন নেই, ঐক্য নেই- এ সবই সত্য । কিন্তু আমাদের আল্লাহ আছেন ।
প্রয়োজনের সময় একটু সাহস করে সামনে বাড়লেই যে তিনি সব কিছু জুগিয়ে দিতে পারেন, এ সময়কার ট্র্যাজেডি এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ । কই, আমাদের তো কিছুই ছিলো না । একটা মঞ্চও ছিলো না । মিডিয়ার দল কুৎসা রটাচ্ছিলো অবিরত ।
শেষে হলো কি ! মিডিয়া এসে গেলো কামানের মতো ।
নেতা এলো সিপাহশালারের মতো । ঐক্য এলো বারুদের মতো । আর সংগঠিত হতে সময় লাগলো- আরে না, কোনো সময়ই লাগে নি ।
এখন শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়া । মোনাফেক থাকবেই ।
মদীনার সবচেয়ে সম্মানিত নেতাই ছিলো মদীনার সবচেয়ে বড় মোনাফেক । তাতে কি ! তার সন্তানও ছিলো সাচ্চা মুসলমান ।
তাহলে এবার শুরু হোক পথচলা । খোদাভীরুতার সামান আর তাহাজ্জুদের চোখের পানি যদি আমাদের পাথেয় হয়, তাহলে খোদায়ী নুসরত আসবেই আসবে ।
“নাসরুম মিনাল্লাহ...ওয়া ফাতহুন করীব” ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।