আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নভেম্বরে শুরু

রফিকুল ইসলাম ঃঃঃ---- চলতি অর্থবছরে ‘অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি’র প্রথম পর্বে কাজ পাচ্ছে ৬ লাখ লোক। এর মধ্যে ২ লাখ নারী। আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কর্মসূচির শুরু হবে। ৪০ দিনের এই কর্মসূচিতে প্রত্যেক উপকারভোগী প্রতিদিন সাত ঘণ্টা কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক হিসেবে পাবে ১৫০ টাকা। খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে স্বল্প আয়ের মানুষ দিশেহারা।

বিশেষ করে যারা দিন আনে দিন খায় তাদের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। এই কর্মসূচি অতিদরিদ্রদের উপকারে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে উপকারভোগী নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা ও দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকাগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে একটি তালিকা করা হয়েছে। এই হিসাবে দেশের যে এলাকাগুলোতে ৩৫ শতাংশ দরিদ্র লোক বাস করে এমন ১৩৩টি উপজেলায়, ২১ থেকে ৩৪ শতাংশ দরিদ্র লোক বাস করে এমন ২০২টি উপজেলা ও ২০ শতাংশের নিচে দরিদ্র লোক বাস করে এমন ১৪৬টি উপজেলায় এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এদিকে কোন শ্রমিক যাতে তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য এবারও মজুরির টাকা তার ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছে যাবে।

কর্মসূচিতে এক-তৃতীয়াংশ নারী শ্রমিক রাখা হবে। তালিকভুক্ত ব্যক্তি নিজ উপজেলার যেকোন জায়গায় কাজ করতে পারবে। প্রসঙ্গত: ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মূল্যস্ফীতির কারণে পল্লী অঞ্চলের অতি দরিদ্র মৌসুমী বেকার শ্রমিকদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে ‘১০০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি’ শীর্ষক একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এতে তখন প্রায় ২০ লাখ শ্রমিকের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। এছাড়া গ্রামীণ এলাকায় ক্ষুদ্র পরিসরে অবকাঠামো ও যোগাযোগ উন্নয়ন, যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণও এই কর্মসূচি চালুর উদ্দেশ্য।

এ প্রসঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের উপ-সচিব (ত্রাণ কর্মসূচি) মোঃ মুনীর চৌধুরী ইত্তেফাককে বলেন, ‘গত অর্থবছরে এই কর্মসূচির আওতায় করা কাজের অগ্রগতি ৯৭ শতাংশ। দেশের ৪ হাজার ৪৪৬টি ইউনিয়নে ২৮ হাজার ৫৭৮টি প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। আশা করছি, এবারও সফলভাবে শেষ হবে। ’ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।