ঃ এস্কুকিউজ মি, আপু , একটু ভিতরে বসতে দিবেন?
ঃ অবশ্যই । ।
এভাবেই বছর খানেক আগে একটি পরীক্ষার হলে তাহার সহিত সংক্ষিপ্ত পরিচয়। একই বেঞ্চের দুইপ্রান্তে দুইজন। একটু আধটু সহযোগিতা নিয়ে দুজনেই লিখেছিলাম।
পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার হাল হাকিকত জানিয়া বিদায় নিয়েছিলাম। নামখানা জেনেছিলাম সাবিরা। তার পর আর নাই। কোন যোগাযোগের মাধ্যম সংরক্ষনে রাখার মতো সময় হইলো না। কোথায় বাড়ী, কোথায় ঘর, কোন ভার্সিটি, কিছুই জানা হইলো না।
তথাপিও মনের কোনে সংরক্ষনে থাকিল তাহার চশমা পড়া সুন্দর মুখখানি। রহিল গোচরে অগোচরে তাহার কুনুইর গুতা।
পৃথিবী গোল বলিয়া তাহার সহিত আবারও সাক্ষাৎ হইতে পারে বলিয়া সেই দিনের অপেক্ষায় আশায় বুক বাধিয়া রহিলাম।
রেজাল্ট দিলো রোল নাম্বার দেখিয়া বুঝিলাম দুইজনেই পাশ করিয়াছি। আশায় বুক বাধা যে বাস্তবে পরিনত হইবে তাহা বুঝিতে পারিলাম।
গোলাকার পুথিবীর নিয়ম মানিয়া আবারও তাহার দেখা পাইলাম অদ্য। আমার পরেই তাহার সিরিয়াল। সেহেতু সে আমার পিছনে দাড়িয়েই ছিলো । দেখা হইতেই পরিচয় দিতেই মনে করিতে পারিলো আমি সে। পূর্বের চেয়ে খানিকটা পরিবর্তন হইয়াছে তথাপি সৌন্দর্য্যে কমতি হইয়াছে বলিয়া মনে হইলো না।
দেখিয়া তাহার কি মনে হইলো........... প্রশ্ন করিবার মতো সময় ছিলো না কারণ তখন উভয়ের মাথায় ভীষন টেনশন।
দু চার খানা কথার ফাকে জানিলাম তাহার বাড়ী চট্টলায়। ইন্টারভিউ শেষ করিয়া পরীক্ষার কুশলাদী জানিয়া বিদায় হইলাম।
বাসায় ফিরিয়া আসিয়া ঘুরিয়া ফিরিয়া তাহার বদনখানি চোখের সামনে ঘুরপাক খাচ্ছে পুনর্বার।
পৃথিবী গোল বলিয়া আবারও মনে বদ্যমূল বিশ্বাস রহিয়াছে তাহার সহিত পুনরায় দেখা হইবে কোন এক পথচলায়।
...........................................
................
...........
............
............
.............
.............. সেদিনের অপেক্ষায় রহিলাম।
(ছবিখানা গুলাম মামা দিছে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।