আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চার বছর পর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি জয় !

আমি এক স্বপ্ন ভোলা একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। চার বছর পর এটাই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রথম জয়। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গেই ২০ ওভারের ক্রিকেটে সর্বশেষ জয়ের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশের জাতীয় দল। বাংলাদেশের অসাধারণ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান মুশফিকুর রহিমের। ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

রামপালকে ছক্কা মেরে দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়ে অধিনায়ক হিসেবে নিজের অভিষেক ম্যাচও স্মরণীয় করে রাখেন মুশফিক। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মারলন স্যামুয়েলসের অর্ধশতকের সুবাদে ৮ উইকেটে ১৩২ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ১ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। ১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি বাংলাদেশের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের। দলীয় ২৩ রানে রবি রামপালের বলে উইকেটরক্ষক দীনেশ রামদিনের গ্লাভসে ক্যাচ তুলে দেন তামিম (১১)।

অ্যান্থনি মার্টিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানার কাছাকাছি ডেনজা হায়াটের হাতে ইমরুল কায়েস (২২) ধরা পড়ার সময় বাংলাদেশের রান ৪৯। এরপর উইকেটে এসে প্রথম বলেই সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। স্যামুয়েলসের বলে বোল্ড হয়ে যান সাকিব। বিপদ বাড়িয়ে মাত্র ২ রান করে অলক কাপালীও ফিরে যান। বাংলাদেশ তখন ৫২/৪।

এরপর ব্যাট করতে নামেন মুশফিক। মোহাম্মদ আশরাফুলের সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১৯ ও নাঈম ইসলামের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ২২ রান যোগ করে বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখান অধিনায়ক। আশরাফুল ২৪ ও নাঈম ১০ রান করেন। আশরাফুল ও নাঈম ফিরে যাওয়ার পর সপ্তম উইকেটে নাসির হোসেনের সঙ্গে মুশফিকের ৩৫ রানের জুটি বাংলাদেশকে লক্ষ্যের কাছাকাছি নিয়ে যায়। নাসির ১৮ রান করে ফিরে গেলেও মুশফিক কোনো ভুল করেননি।

দলকে জিতিয়েই সতীর্থদের সঙ্গে উৎসবে মেতে ওঠেন বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন স্যামুয়েলস ও রামপাল। এর আগে বল হাতে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সাকিব। ১৫ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান অ্যাড্রিয়ান বারাথ সাকিবের বলে তামিমের ক্যাচে পরিণত হন। অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লেন্ডল সিমন্সকে (২৩) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন আব্দুর রাজ্জাক।

এরপর ব্যাট করতে নামেন স্যামুয়েলস। এক প্রান্ত আগলে রেখে দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাট করতে থাকেন তিনি। অন্য প্রান্তে অবশ্য ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল চলছিল। স্যামুয়েলস ৪টি ছক্কা ও ২টি চারের সাহায্যে ৪২ বলে ৫৮ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন সাকিব, আব্দুর রাজ্জাক ও শফিউল ইসলাম।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিক। জ্বরের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার জায়গায় খেলেছেন নাঈম ইসলাম। এছাড়া বাদ পড়েন ইলিয়াস সানি ও নাজমুল হোসেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ছিলেন না কেমার রোচ ও দেবেন্দ্র বিশু।

Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।