“আয় -আয় দাদু, গলাগলি ধরি কেঁদে যদি হয় সুখ”
আমরা গরিব! আমরা গোলাম ! আমারা বাংলাদেশি! আমরা মিসকিন! এই কি আমাদের অপরাধ? বাংলদেশের লোকজন সৌদি আরবে পাড়ি দেয় দিব্যি দু,পয়সা আয় করার জন্য। বিনিময়ে তাদের সইতে হয় মরুভুমির বালুর উত্তাপ, আর হাড়ভাঙ্গা সুউরযের কষ্টদায়ক হাসি। তাদের এতটুকু কষ্ট শুধু আমাদের জন্য। তাদের একটাই আশা আমার মাতা- পিতা সন্তান থাকে যেন সুখে দুধে-ভাতে। এত কষ্টের পরেও আছে বেতনের বিড়ম্বনা ।
আর তার সাথে কান পেতে শুনতে হয় একটি তাবেদার শব্দ “মিসকিন” । আমরা মিসকিন ! আর অন্যদিকে সাদা বর্ণদারি অ্যামেরিকানেরা আসে তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার রসদ যোগানোর জন্য , তারপরও তারা সম্মানি । কারন তাদের বর্ণ সাদা। তারা আধিপত্যবাদি। তারা গোলাম নয়, তারা সম্রাজ্যবাদি।
আমাদের একটাই অপরাধ আমরা খেটে- পুরে খাই। অথচ একটা মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে কতনা মমতা প্রকেশের কথা । আমাদের আটজন ভাইকে এভাবে শিরচ্ছেদেই কি ছিল ভ্রাতত্ব প্রকাশ। যদিও অনেকে মনে করতে পারেন এটা অদের আইন। আমরা তাদের আইনের প্রতি সম্মান করি।
কিন্তু একটু প্রচেষ্টাই কি তাদের জীবন রক্ষা করা যেতনা। “ব্লাড মানির” মাধ্যমে ইতোপূর্বে অনেক ক্ষমার নজির আমরা দেখেছি। আমাদের সরকার অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এর দায় এড়াতে পারেনা । তাদের কি উচিত ছিলনা মিসরে নিহতদের পরিবারের কাছে গিয়ে আকুতি জানানো । আমরা আজ আমাদের বলার সাধ্য থাকলেও প্রকাশ করার ক্ষমতা নেই কারন আমাদের ৪০ লক্ষ জনগন ওদের গোলামি করতে হয়।
তারা ঘুরায় আমাদের অর্থনীতির চাকা। তাই আমাদের মুখের ভাষা অম্লিন। কিঞ্চিত মৌখিক “না” বলে নজরুলের ভাষায় শুধুই গাইতে পারি
“এখন ফিরাব তারে কিসের ছলে
বিদায় করেছি যারে নয়ন জলে”
আমাদের বেদনা শরতের সুরে বাঁধা থাকুক। আমাদের তিরস্কার থাকুক নয়নের জলে। আর যাদের কথাটা মুখরোচক হচ্ছেনা বলব আসুন আমার সাথে জসিম উদ্দিনের ভাষায় বলি
” আয় -আয় দাদু, গলাগলি ধরি কেঁদে যদি হয় সুখ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।