আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিমির আত্মহনন কী আগুনে পুড়ছে সিমির পরিবার!

শিখতে চাই প্রথম আলো শেখ সাবিহা আলম | তারিখ: ০৯-১০-২০১১ নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্রী সীমা বানু সিমি ২০০১ সালের ২৩ ডিসেম্বর আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার আগে লিখে যাওয়া চিরকুটের সূত্র ধরে খিলগাঁও এলাকার দোয়েল, খলিল, মোফাজ্জল, রিপন, খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক বাশার ও তাঁদের সহায়তাকারী এনায়েত চৌধুরীর বিরুদ্ধে পুলিশ ও সিমির বাবা আলী এমদাদ দুটি পৃথক মামলা করেন। সীমা বানু সিমির আত্মহনন মামলার আসামিরা তাঁর পুরো পরিবারকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিবারটি বলছে, আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হলেও পুলিশ তাদের কোনো সহায়তা করছে না। সিমি আত্মহনন মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা সবাই এখন জামিনে মুক্ত।

সিমির বাবা মো. আলী এমদাদ গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ২০০১ সালে বখাটেদের অত্যাচারে সিমি আত্মহত্যা করেন। এর পর থেকে তাঁদের বাড়িতে পুলিশি প্রহরা ছিল। পুলিশি প্রহরা থাকা অবস্থায়ও আসামিপক্ষের লোকজন তাঁদের বাড়িতে ইটপাটকেল ছুড়েছে। কিন্তু গত মাসে পুলিশি প্রহরা উঠে যাওয়ার পর তাঁদের বাড়িতে তিন দফা আগুন দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার বাড়ির প্রধান বৈদ্যুতিক লাইনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতকারীরা সিমির পরিবার জানায়, ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত তারা ৬০টির মতো সাধারণ ডায়েরি করেছে থানায়।

কিন্তু সম্প্রতি পুলিশ তাদের অভিযোগ তেমন আমলে নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। সর্বশেষ আগুন লাগানোর পর থানায় গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ উল্টো এর জন্য তাদের দোষারোপ করেছেন। বলেছেন, মনোযোগ পেতে তারাই নিজেদের ঘরে আগুন লাগাচ্ছে, ইটপাটকেল জড়ো করছে। সিমির বাবা বলেন, বর্তমান ওসি এভাবে তাঁদের অপমান করছেন। সিমির মা জরিনা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘তোমরা যদি কখনো শোনো যে সিমিদের বাড়ির সবাই আগুনে পুড়ে মারা গেছে, কারণ তাঁদের বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইনে সমস্যা ছিল, বিশ্বাস কইরো না।

ওরা আমাদের মাইরা ফেলবে। ’ কেন এমন হয়! কেন দেশে আইন তৈরি হয় যে আইন নিজেই হয় আতন্ক ! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।