আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তবে এই কি ছিলো ঘটে.....

আমি নিজে অভদ্র কিন্তু অভদ্রতা আমি পছন্দ করিনা। এই লেখাটি আগে অন্য একটি ব্লগে প্রকাশ করেছিলাম। এখানে আবার রিপোস্ট করছি.... “ভারতীয় বাংলা টিভি চ্যানেল “তারা টিভি”তে গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় ঢাকার দর্শকরা এক গানের অনুষ্ঠানের মঞ্চের ওপর অঙ্কিত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর দাঁড়িয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করতে দেখেছেন। ” এই তথ্যটির সঙ্গে একটি ছবিও ছিল। আর তা দেখবার পর আমি বেশ কিছুক্ষন চুপচাপ বসে থাকি।

কোন কিছুই চিন্তা করতে পারছিলাম না তখন। আমার বোধগুলো কেমন যেন আড়ষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এক বন্ধুর ফোনে মৌনতা ভাঙলে ভাবলাম কিছু একটা করা প্রয়োজন। এই সব আর কত সহ্য করতে হবে। মনে হল এমন কিছু লিখি যেখানে স্পষ্ট ভাবে প্রকাশ পাবে পৃথিবীর কোন স্বাধীন দেশেরই অধিকার নেই অন্য আরেকটি স্বাধীন দেশের যে কোন প্রকারের জাতীয় প্রতীকের অপমান করার; যেখানে উল্লেখিত হবে বাংলাদেশের পতাকা কোথায়ে, কীভাবে ব্যবহার করা যাবে; জাতীয় সংগীতকে কীভাবে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে বা অন্য কোন জাতীয় প্রতীককে কীভাবে মর্যাদা প্রদান করতে হবে।

উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে বেশ কিছুটা অগ্রসরও হয়েছিলাম। কিন্তু তখনই মাথায় এলো নিশ্চয়ই এ তথ্য জেনে গেছে আরও অনেক দেশপ্রেমিক বাংলাদেশী। নিশ্চয়ই তারাও এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে নিজ নিজ অবস্থান থেকে। মনে হল ব্লগগুলতে নিশ্চয়ই প্রতিবাদী ব্লগাররা ইতোমধ্যেই তৎপর হয়ে উঠেছে এর প্রতিবাদে। ভাবতে ভাবতে আশায় শক্তিতে সাহসে মনটা ভরে উঠেছিল।

ভাবলাম থাক আমি নাহয় পরেই লিখি। আগে তাদের লেখাগুলো পরেনি। নেটে বসতেই চোখে পড়ল এক ফেসবুক ফ্রেন্ড অনেক পুরাতন একটা ছবি শেয়ার করেছেঃ সীমান্তের কাঁটাতারে ফেলানির ছবি। কিশোরী সুলভ হাসিতে উজ্জ্বল, স্বাভাবিক ভঙ্গিমায় দাড়িয়ে বা বসে তোলা কোন ছবি নয় সেটা; বেশ আঁতকে ওঠার মত একটা ছবি। সেই বর্ণনায় আর নাই বা গেলাম।

তখনই মনে পরে গেল এত নতুন কিছু নয়। ফারাক্কা বাধ, সীমান্তে বাংলাদেশীদের ওপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ থেকে শুরু করে সর্বশেষ তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে নাটক, ট্রানজিটের নামে প্রহসন; এসব তো এখন বাংলাদেশীদের জীবণের প্রতিদিনকার ঘটনা। এর সাথে আজ যুক্ত হল আরও একটিঃ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার পদদলন। তাও আবার গণমাধ্যমে। কিন্তু আর কত? হয়তো এমন কিছু ঘটনা বেশ কিছু সৃষ্টিশীল বাংলাদেশীকে তাদের সৃষ্টিশীলতা প্রকাশের উপায় করে দেয়।

হয়তো কেউ কেউ খুব ভাল কিছু লিখেও ফেলে। হয়তো বেশ কিছু বিকেল আড্ডায়ে জমজমাট হয়ে উঠবে এসবের আলচনায়। হয়তো অনেকের চায়ের কাপের ধোয়া মরে যাবে আড্ডার উত্তেজনায়। বেশ কিছু দেশপ্রেমিক প্রাবন্ধিকের লেখা পত্রিকার পাতা দখল করে নেবে। বাড়বে পত্রিকার কাটতি।

কিন্তু আমারা কি চেয়েছি এই ভাবে প্রকাশিত হোক আমাদের সৃষ্টিশীলতা। আজ ইসলাম, নারী স্বাধীনতা, গনতন্ত্র সব কিছুকেই পণ্য বানিয়ে প্রবন্ধ করে পত্রিকায় বেঁচা হয়; ব্লগগুলো জমজমাট হয়ে থাকে এসবের আলোচনায়। শেষমেশ কি দেশের স্বার্বভৌমত্বের প্রতীক, দেশের অহংকার জাতীয় পতাকাকে অপমান করার এই ঘটনাও প্রবন্ধ-পণ্য আকারে বিকোবে পত্রিকায়, ব্লগে। এই কি চেয়েছিল বাংলাদেশের সাহসী সন্তানরা, স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টারা। এ কোন পথে যাচ্ছে জাতি? এ কেমন নিয়তি আমাদের? এত হতভাগ্য কেন আমার এ দেশ? “ভারতীয় বাংলা টিভি চ্যানেল “তারা টিভি”তে গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় ঢাকার দর্শকরা এক গানের অনুষ্ঠানের মঞ্চের ওপর অঙ্কিত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর দাঁড়িয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করতে দেখেছেন।

” এই তথ্যটির সঙ্গে একটি ছবিও ছিল। আর তা দেখবার পর আমি বেশ কিছুক্ষন চুপচাপ বসে থাকি। কোন কিছুই চিন্তা করতে পারছিলাম না তখন। আমার বোধগুলো কেমন যেন আড়ষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এক বন্ধুর ফোনে মৌনতা ভাঙলে ভাবলাম কিছু একটা করা প্রয়োজন।

এই সব আর কত সহ্য করতে হবে। মনে হল এমন কিছু লিখি যেখানে স্পষ্ট ভাবে প্রকাশ পাবে পৃথিবীর কোন স্বাধীন দেশেরই অধিকার নেই অন্য আরেকটি স্বাধীন দেশের যে কোন প্রকারের জাতীয় প্রতীকের অপমান করার; যেখানে উল্লেখিত হবে বাংলাদেশের পতাকা কোথায়ে, কীভাবে ব্যবহার করা যাবে; জাতীয় সংগীতকে কীভাবে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে বা অন্য কোন জাতীয় প্রতীককে কীভাবে মর্যাদা প্রদান করতে হবে। উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে বেশ কিছুটা অগ্রসরও হয়েছিলাম। কিন্তু তখনই মাথায় এলো নিশ্চয়ই এ তথ্য জেনে গেছে আরও অনেক দেশপ্রেমিক বাংলাদেশী। নিশ্চয়ই তারাও এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে নিজ নিজ অবস্থান থেকে।

মনে হল ব্লগগুলতে নিশ্চয়ই প্রতিবাদী ব্লগাররা ইতোমধ্যেই তৎপর হয়ে উঠেছে এর প্রতিবাদে। ভাবতে ভাবতে আশায় শক্তিতে সাহসে মনটা ভরে উঠেছিল। ভাবলাম থাক আমি নাহয় পরেই লিখি। আগে তাদের লেখাগুলো পরেনি। নেটে বসতেই চোখে পড়ল এক ফেসবুক ফ্রেন্ড অনেক পুরাতন একটা ছবি শেয়ার করেছেঃ সীমান্তের কাঁটাতারে ফেলানির ছবি।

কিশোরী সুলভ হাসিতে উজ্জ্বল, স্বাভাবিক ভঙ্গিমায় দাড়িয়ে বা বসে তোলা কোন ছবি নয় সেটা; বেশ আঁতকে ওঠার মত একটা ছবি। সেই বর্ণনায় আর নাই বা গেলাম। তখনই মনে পরে গেল এত নতুন কিছু নয়। ফারাক্কা বাধ, সীমান্তে বাংলাদেশীদের ওপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ থেকে শুরু করে সর্বশেষ তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে নাটক, ট্রানজিটের নামে প্রহসন; এসব তো এখন বাংলাদেশীদের জীবণের প্রতিদিনকার ঘটনা। এর সাথে আজ যুক্ত হল আরও একটিঃ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার পদদলন।

তাও আবার গণমাধ্যমে। কিন্তু আর কত? হয়তো এমন কিছু ঘটনা বেশ কিছু সৃষ্টিশীল বাংলাদেশীকে তাদের সৃষ্টিশীলতা প্রকাশের উপায় করে দেয়। হয়তো কেউ কেউ খুব ভাল কিছু লিখেও ফেলে। হয়তো বেশ কিছু বিকেল আড্ডায়ে জমজমাট হয়ে উঠবে এসবের আলচনায়। হয়তো অনেকের চায়ের কাপের ধোয়া মরে যাবে আড্ডার উত্তেজনায়।

বেশ কিছু দেশপ্রেমিক প্রাবন্ধিকের লেখা পত্রিকার পাতা দখল করে নেবে। বাড়বে পত্রিকার কাটতি। কিন্তু আমারা কি চেয়েছি এই ভাবে প্রকাশিত হোক আমাদের সৃষ্টিশীলতা। আজ ইসলাম, নারী স্বাধীনতা, গনতন্ত্র সব কিছুকেই পণ্য বানিয়ে প্রবন্ধ করে পত্রিকায় বেঁচা হয়; ব্লগগুলো জমজমাট হয়ে থাকে এসবের আলোচনায়। শেষমেশ কি দেশের স্বার্বভৌমত্বের প্রতীক, দেশের অহংকার জাতীয় পতাকাকে অপমান করার এই ঘটনাও প্রবন্ধ-পণ্য আকারে বিকোবে পত্রিকায়, ব্লগে।

এই কি চেয়েছিল বাংলাদেশের সাহসী সন্তানরা, স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টারা। এ কোন পথে যাচ্ছে জাতি? এ কেমন নিয়তি আমাদের? এত হতভাগ্য কেন আমার এ দেশ? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।