আসুন সত্য বলি ১।
প্রথম দৃশ্যঃ সখিনাকে মতিডাকু তুলে এনেছে রাস্তায় সবার সামনে ধর্ষনের খায়েসে।
দ্বিতীয় দৃশ্যঃ এলাকার অন্য টেরর রাজু ডাকু এসে মতিডাকু থেকে সখিনাকে উদ্ধার করে।
তৃতীয় দৃশ্যঃআশেপাশে একঝাঁক মানুষ সবাই হাততালি দিয়ে রাজু ডাকুকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। রাজুডাকু সখিনাকে পৌঁছে দেবার জন্য গাড়িতে তোলে।
………..গাড়ি থেকে ভেসে আসে সখিনার তীব্র চিৎকার আমাকে ছেড়ে দিন......আমাকে ছেড়ে দিন.........কিন্তু জনগনের হাততালিতে তার চিৎকার কর্পূরের মত উবে যায়..................
[বাংলা সিনেমার কিছুটা ইডিট ভার্সন। নোটের বাকী অংশ বুঝতে কাজে লাগবে]
২।
আজকাল দেখি বাংলাদেশের মানুষ অকৃতজ্ঞতার চরম পরাকাষ্ঠা দেখাচ্ছে। যে ইন্ডিয়া আমাদের স্বাধীন করেছে আজ বাংলাদেশের মানুষ সে ইন্ডিয়াকে নিয়ে কথা বলছে। ?ধিক বাংগালী(?), ধিক তোমায়(?)।
তারা তোমার পতাকাকে পায়ের নিচে দিয়েছে তো কি হয়েছে?এ পতাকা আনার দাবীদার তারা। তাই পতাকা দিয়ে পাপোস বানাবে, না আন্ডারঅয়্যার বানাবে,না ন্যাকড়া বানাবে তাতে কি যায় আসে?তুমি শুধু বলবা ইন্ডিয়া এই দেশে স্বাধীনে সহায়তা করেছে সো তাদের এই অধিকার আছে(?).
ভারতের তারা টিভিতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পদদলিত !
তারা ফেলানীর লাশ তার কাঁটায় ঝুলিয়ে রেখেছে তো কি হয়েছে । দরিদ্র্য নিপীড়িত এ জাতির একটা মুখ কমিয়ে দিয়ে কি উপকার তারা করেছে একবার ভেবে দেখেছ?৭ কোটি বাংগালীকে মুক্ত করেছে তাই আজ ১ টি কেন ৭ হাজার ফেলানীকে ঝুলাবে তো কি হয়েছে?তুমি শুধু বলবে ইন্ডিয়া আমাদের স্বাধীন করেছে সো তাদের সে অধিকার আছে(?)।
তিস্তার পানি ন্যায্য অধিকার অনুযায়ী দিবেনা ,তো ?এতগুলো নদী তারা স্বাধীন করে দিল এ অধিকার কি তাদের নেই?অবশ্যই আছে। তারা ফারাক্কা বাঁধ দিবে,টিপাইমুখে বাঁধ দিবে তাতে হয়েছে কি?নদীমার্তৃক এ দেশ তো তারাই স্বাধীন করে দিল তাই না?তাই তুমি শুধু বলবা ইন্ডিয়া এই দেশে স্বাধীনে সহায়তা করেছে সো তাদের এই অধিকার আছে(?)।
বংগবন্ধুকে ভুলে যাও,ওসমানীকে ভুলে যাও, সাত বীরশ্রেষ্ঠকে ভুলে যাও। ৩০ লাখকে ভুলে যাও। ২ লাখকে ভুলে যাও। মনে রাখবা এ দেশ স্বাধীনে যেহেতু তারা সহায়তা করেছে তাই এ দেশের প্রতি ইঞ্চির প্রতি তাদের অধিকার আছে। তাই ট্রানজিট দিয়ে দাও।
করিডোর দিয়ে দাও। তুমি শুধু বলে যাবা ইন্ডিয়া এই দেশে স্বাধীনে সহায়তা করেছে সো তাদের এই অধিকার আছে(?)।
তাদের “খুশি” মুভিতে জাতীয় সংগীতকে অসম্মান করেছে তো কি হয়েছে। এ সংগীত তো তাদের কবির লেখা নাকি?আর যদি দেশই না পেতাম তাহলে এমন সংগীত ধুয়ে পানি খেতাম?তাই তারা যা করছে করুক। তুমি শুধু বলে যাও ইন্ডিয়া এই দেশে স্বাধীনে সহায়তা করেছে সো তাদের এই অধিকার আছে(?)।
তাদের দেশের চ্যানেল গুলো আমাদের দেশে সিরিয়ালের মাধ্যমে যেভাবে পরকীয়া সহ ,আধুনিকতা রপ্তানি করছে, এতে তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা কি উচিত নয়?তারা তাদের দেশে আমাদের চ্যানেল চলতে না দিলে কি হবে?আমরা শুধু কাজী নজরুল তার কবিতায় যেভাবে বলেছেন সেভাবে মাথা নেড়ে যাব।
তারা বলবে “চমৎকার! সে চমৎকার!”
আমরা বলব, “চমৎকার সে হতেই হবে যে!
হুজুরের মতে অমত কার?”
আজ বাংলার মানুষকে বলতে চাই “হে বাংগালী অকৃতজ্ঞ হইনা। এটা খুব খারাপ। ভুলে যাও তোমার “জয় বাংলা”,সবাই মিলে আসো একসাথে জিকির তুলি
“চাকদে ইন্ডিয়া”
চাকদে ইন্ডিয়া”
৩।
একসময় ইংরেজরা এদেশ দখল করার জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মাধ্যমে ঢুঁকার পর কিছু মীরজাফর আবিষ্কার করে নেয়।
এ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কিছু দেশ আমাদের দেশেও “বুদ্ধিজীবী” নামক কিছু মীরজাফর তৈরি করে ফেলেছে। তাই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মত কিছু এ দেশ দখলের জন্য আসবে এ রকম চিন্তা করার কোন কারন নেই। আমাদের এসকল বুদ্ধিজীবীরাই তাদের এ কাজের আঞ্জাম দিয়ে যাবে।
৪।
কবিগুরু বলেছেন
সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী,
রেখেছ বাঙালী করে—মানুষ কর নি.
১০ জানুয়ারী স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বাংলাদেশের স্থপতি,বাগ্মী নেতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবিগুরুর এই চরনদ্বয় উল্লেখ করে দৃপ্তকন্ঠে বলেছিলেন কবিগুরুর কথা ভুল প্রমানিত হয়েছে।
“আমার বাংগালী আজ মানুষ হয়েছে। আমার বাংগালী আজ স্বাধীন হয়েছে”।
আজ এত বছর পরেও কিছু বাংগালীর আচরন দেখে আমার নেতাকে ডেকে বলতে ইচ্ছা করছে “নেতা তুমি ভুল করেছ তোমার বাংগালী আজো মানুষ হয়নি। বাহ্যিক স্বাধীন হলেও তারা মানসিকভাবে আজো পরাধীন। তার মুখে তোমার শেখানো "জয় বাংলা" নেই বরং সে এখন বলতে প্রস্তুত হয়েছে “চাক দে ইন্ডিয়া”।
collected from
facebook: MuZahid Rasel's note ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।