এই কাঁটাতার,জঙ্গি বিমান, এই পতাকা রাষ্ট্র নয়।
দেশ মানে বুক আকাশজোড়া, ইচ্ছে হাজার সূর্যোদয় ...
লোপামুদ্রা মিত্রের এই গানটা বেশ কিছুদিন পর শুনলাম। হঠাৎ-ই মনে হল, আসলেই তো...আমরা রাষ্ট্র আর দেশকে এক করে ফেলছি। সত্যি কি দেশের মাঝে কোন ভাগ থাকে ?
আমার কেন যেন মনে হয়, থাকে না। রাষ্ট্র নামের একটা সত্তা তৈরি করে,দুটি দেশের মাঝে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে, নিজেদের একটা পতাকা দিয়ে আমরা কি আসলে মানুষের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করছি না ?
একটু যদি ভেবে দেখি, দেখতে পাব,আসলে পাশাপাশি দেশগুলোর মাঝে বিভেদ কিন্তু খুব বেশি নেই।
একইরকম মানুষ, প্রায় একইরকম সংস্কৃতি। একই আলো, একই বাতাস। আর সবচেয়ে বড় কথা এই পৃথিবীটা তো আমাদের সবার,তাই না ? তাহলে কেন নিজেদের মাঝে বিভেদ করা ? সবার রক্তই তো লাল, সবাই তো একই জল খেয়ে বেঁচে থাকি, একই অক্সিজেন বুক ভরে নেই। তবু একটা দাগ পার হলেই ফেলানিরা মৃত্যুবরণ করে। কত মেক্সিকান কারাবাসী হয় আমেরিকার সীমান্ত জুড়ে।
অস্বীকার করতে পারব, একবারও কারো ইচ্ছে করে নি, এভারেস্ট টা একবার দেখে আসি, একবার মোনালিসার হাসিটা দেখি, প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে একটু হেঁটে বেড়াই তাজমহলের সামনে বা তাকে মনের কথাটা বলি আইফেলে দাঁড়িয়ে টম ক্রুজের মতন। একবারও মনে হয় নি আজকে যেমন আমার দেশের যেকোন কোণায় থাকা কোন বন্ধুর সাথে আমি চাইলেই দেখা করতে পারি, তেমনি যদি দেখা করতে পারতাম আমার ফেইসবুকের বিদেশি বন্ধুটির সাথে...
আমার খুব ইচ্ছে করে একটা স্বপ্ন দেখতে। আমি দেখি। একটা পৃথিবী হবে। কোন রাষ্ট্র নামের বেড়া নেই, কোন যুদ্ধ নামের ভয় নেই, কোন পতাকা নামের বিভেদ নেই।
মাও কিংবা ট্রটস্কির মত করে এরকম খুব ভাবতে ইচ্ছা করে। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা দুটো মানুষের মতই দুটো দেশ দাঁড়িয়ে থাকবে। যেন একজনের গায়ের গন্ধ আরেকজন পাবে, এমন করে। যেন একরকম অনুভূতি নিয়ে দুটো দেশ, দেশের মানুষ আলাদা হয়ে না থাকে। আর্টসেলের অনিকেত প্রান্তর মনে পড়ছে -
"দুটো মানচিত্র এঁকে দুটো দেশের মাঝে,
বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যাবচ্ছেদ..."
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।