Bangladesh: Dream আইলের কথা সবাই জানেন। তারপরও বলা যায়, আইল জমির চারদিকের সীমানা। জমির ভেতরের পানি, সার ইত্যাদি যাতে বাইরে না যায় তা আটকায় আইল। ক্ষেত চাষার সময় আইল বাঁধাটা জরুরী। এই আইল বাঁধাটা কেবল জমিতেই নয়, অন্য ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
এরকম একটা চমৎকার ক্ষেত্রের কথা বলেছেন আবদুর রাজ্জাক। জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক। শিরোনামটা তার কথা থেকেই ধার করা। তাকে নিয়ে লেখা আহমদ ছফার যদ্যপি আমার গুরু যারা পড়েছেন তাদের জানার কথা। আবদুর রাজ্জাক এবং আহমদ ছফার অনেকটা কথোপকথনধর্মী বইটা।
প্রাসঙ্গিক অংশটুকু উদ্ধুত করছি, যেখানে আহমদ ছফা বলছেন- ‘রাজ্জাক স্যার জিগ্গেস করলেন, পড়ার সময় দরকারি অংশ টুইক্যা রাখার অভ্যাসটা করছেন কি না? আমি চুপ করে রইলাম। তার অর্থ এই যে আমি কোনো নোট রাখিনি। স্যার মন্তব্য করলেন, তাইলে ত কোনো কামে আইব না। ক্ষেত চষবার সময় জমির আইল বাইন্ধ্যা রাখতে হয়। ’
এই আইল বাঁধার কাজটা যেহেতু জরুরী, বইটা পড়ার সময় ভাবলাম আমি এখনি শুরু করে দিবো।
যদিও আগ থেকে এ কাজটা করলে খুব ভালো হতো। এতদিনের পড়া বইগুলোর কিছু লিখে রাখলেও অনেক উপকারে দিত। অবশ্য আমার মনে আছে কয়েক বছর আগে পড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৌকাডুবি উপন্যাসটা অসাধারণ লেগেছিলো। তখন ডায়েরিতে কিছু প্রশ্ন লিখে রেখেছিলাম, যাতে বোদ্ধা কারো কাছ থেকে উত্তরগুলো পাওয়া যায়। কিন্তু কাউকে জিজ্ঞেস করা হয়নি।
যদিও রবীন্দ্রনাথের নৌকা ডুবির চেয়ে গোরাটা বেশি ভালো লেগেছিলো। সে যাই হোক, কিছুদিন ধরে আবার ভাবছিলাম প্রত্যেকটা বই পড়ার পর ছোট করে হলেও একটা রিভিউ বা অত্যন্ত গুরুপূর্ণ অংশ লিখে আমার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবো। সে অনুযায়ী সম্প্রতি পড়া বইগুলোর কিছু কিছু ডায়েরিতে টুকেও রেখেছি। প্রাসঙ্গিকভাবে বলি, ২০১০ সালের প্রথম দিকে যখন আমি ইউনিভার্সিটির তৃতীয় বর্ষের শেষ পর্যায়ে তখন আনা ফ্রাঙ্কসহ আরও অনেকের ডায়েরি পড়ছিলাম। অসাধারণ ডায়েরিগুলো আমাকে ডায়েরি রাখতে উদ্বুদ্ধ করেছিলো।
তখন থেকেই শুরু করা ডায়েরি লেখাটা আমার এখনও চলছে। আর আহমদ ছফার যদ্যপি আমার গুরুর বদৌলতে এখন বই রিভিউ সে অর্থে না হলেও কিছুটা আইল বাঁধার চেষ্টা শুরু করছি। এই চেষ্টা আমার ওয়েবসাইটের পাঠোদ্ধার বিভাগে অব্যাহত থাকবে আশা করি। জানিনা কতদিন অব্যাহত রাখতে পারবো।
সাম্প্রতিক সময়ে পড়া বইয়ের নাম বলি।
যে বইগুলো পড়ার পর থেকে ডায়েরিতে টুকা শুরু করলাম। এই চর্চার বয়স বেশি দিন হবে না। যেটা বলাচলে আমার জীবনের পড়ার তৃতীয় মৌসুম। ইউনিভার্সিটি লাইফের আগে এক মৌসুম। ইউনিভার্সিটি লাইফটা এক মৌসুম।
আর এখন অনার্স-মাস্টার্স শেষ করার পর মোটামুটি চাকরিতে ঢুকে তৃতীয় মৌসুম। এ মৌসুমে পড়া প্রথম বই পাওলো কোয়েলহোর দি আলকেমিস্ট। চুনিলাল মুখোপাধ্যায়ের করা অনুবাদ আমি পড়েছি । দ্বিতীয় বই ওয়াল্টার আইজ্যাকসনের স্টিভ জবস: আনটোল্ড স্টোরিজ এর বাংলা অনুবাদ বণিক বার্তা প্রকাশ করেছে অপ্রকাশিত স্টিভ জবস নামে। অনুবাদ করেছেন জায়েদ ইবনে আবুল ফজল।
তৃতীয় বই মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুতুল নাচের ইতিকথা। চতুর্থ বই উইলিয়াম হান্টারের দি ইন্ডিয়ান মুসলমান। অনুবাদ করেছেন আবদুল মওদুদ। পঞ্চম বই বঙ্কিমচন্দ্রের দুর্গেশনন্দিনী। ষষ্ঠ বই আহমদ ছফার যদ্যপি আমার গুরু।
আর সপ্তম বই চার্লস ডিকেন্সের নিকোলাস নিকলবি। সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটি রূপান্তর করেছেন কাজী শাহনূর হোসেন।
যাহোক পড়া বইগুলো নিয়েই কথা বলি। শুরুর পর্ব হিসেবে এখন একসাথে সাতটি বই নিয়েই আলোচনা করি। এরপর থেকে প্রতিটি বই আলাদা করে করবো আশা করি।
বিস্তারিত এখানে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।