আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কালেমার দাওয়াত প্রচারকালে একজন বিদেশী নাগরিককে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ

নামে মুসলমান হলেও কাজে ইসলাম ছেড়েছি আমরা অনেকদিন হল। তার সাথে যোগ হলো জঙ্গি সংগঠনগুলো, যাদের জন্য আমরা অনেকে এখন ইসলামকে একরকম ঘৃণার চোখেই দেখি। এর মধ্যেও যারা নীরবে নিভৃতে ইসলাম প্রচারের কাজ করে যাচ্ছে তাদের অপদস্থ করতেও আমরা ছাড়ছি না আজকাল। ভোলার লালমোহনে ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কালেমার দাওয়াত প্রচারকালে সন্দেহভাজন ৯ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে দন্ডবিধির ৫৪ ধারায় আটককৃতদের ভোলা আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এর মধ্যে ৮ জনের বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এবং ১ জনের বাড়ি ভারতের আসাম রাজ্যের বড়পেটা জেলার হাজিপাড়া গ্রামে। ধৃত ভারতীয় নাগরিক আব্দুস সাত্তার জানায়, ‘গত ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে প্রবেশ করে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার কুলসুমবাগ গ্রামের তাবলীগী মুরুব্বী মজিদ প্রফেসরের কাছে এসেছি। মজিদ প্রফেসর কালেমার দাওয়াতের সারা বাংলাদেশের নেতা। তার নির্দেশনায় দেশে দেশে কালেমার দাওয়াত পৌছে দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ৩ অক্টোবর সোমবার সকালে চরফ্যাশন উপজেলা থেকে ৩ জন করে ৩টি দলে ৯ জন বিভক্ত হয়ে লালমোহনের বিভিন্ন গ্রামে কালেমার দাওয়াত প্রচার শুরু করি।

এর মধ্যে যাদের যে স্থানে সন্ধ্যা হয়েছে সে দল, সেই এলাকার সমজিদেই রাত কাটায়। ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল থেকে কালেমার দাওয়াত দিতে একসাথে বেড় হলে পুলিশ আমাদের কোন অপরাধ ছাড়াই আটক করে। ’ ধৃতরা সবাই অভিন্ন সুরে জানান, ‘আমরা আল্লাহর দলের লোক। রাসুল (সঃ) আমাদের পথ প্রদর্শক। আমাদের কোন ভয় নেই।

আল্লাহতায়লা নিদের্শ করেছেন তাই পুলিশ আমাদের আটক করেছে। ’ অবশ্য পুলিশের ধারনা, কালেমার দাওয়াতের পেছনে তাদের অসৎ দূর্ভিসন্ধি থাকতে পারে। আটককৃতদের মুর্বব্বী মজিদ প্রফেসর মুঠোফোনে ভারতীয় নাগরিক সম্পর্কে বলেন, ‘আমার আস্তানায় এরকম আরো ২০ জন বৈধ পার্সপোর্টধারী ভারতীয় নাগরিক আছে যারা সবাই কালেমার দাওয়াদ প্রচার করে যাচ্ছে। পুলিশ আমার আস্তানায় এসে তাদের পরিচয় নিয়ে যায় না কেন। তিনি আরো বলেন, আমরা ভাল কাজ করি নাকি খারাপ কাজ করি, তা সরকার কেন খতিয়ে দেখে না।

রাস্তা দিয়ে ভালো মানুষ হাটতে পারবে না, ইসলামের দাওয়াত দিতে পারবে না- এটা কোন দেশ? যারা নিরীহ মানুষের উপর জুলুম করে তাদের উপর একদিন গজব নাজিল হবে। ’ এ ব্যাপারে ভোলা থানার অফিসার ইন চার্জ শীল মনি চাকমা আমাদের বরিশাল ডটকমকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার হরিগঞ্জ বাজার থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ভারতীয় নাগরিক আব্দুস সাত্তারের কাছে পার্সপোট না থাকায় স্থানীয়রা সন্দেহ করে পুলিশে খবর দেয়। কোন কারণ ছাড়া স্থানীয়দের কোনো বিদেশী নাগরিকের পাসপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন করাটা স্বাভাবিক নয়। অন্যসুত্র থেকে জানা যায় যে এখানে স্থানীয়রা একটি বিশেষ ধর্মীয় গোষ্ঠির সদস্য।

পরবর্তীতে খোজ খবর নিয়ে দেখা যায় সেই বিদেশীর কাছে বৈধ পাসপোর্ট-ই আছে. পাসপোর্ট সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য নিম্নরূপ- নাম: আব্দুস সাত্তার পিতার নাম: আব্দুল লতিফ মাতার নাম: হাসিনা বেগম স্ত্রীর নাম: জরিনা বেগম গ্রাম: হাজিপারা থানা: বড়পেটা রাজ্য: আসাম পাসপোর্ট নং: H9145921 ভিসা নং: cons/11320 বাতিলের তারিখ: ২৫/১০/১১ ইং কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছাড়া কিছু নিরপরাধ মানুষকে অপদস্থ করার কথা তো বাদই দিলাম, যাচাই বাছাই ছাড়া পুলিশ কিভাবে একজন বিদেশী নাগরিককে আদালতে সোপর্দ করে তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। এই জামাতের জন্য এমন ঘটনা এবারই প্রথম না। আগেও এই জামাতের বিভিন্ন সদস্য কে বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয়দের(!!!) সন্দেহে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ঝালকাঠির রাজাপুরে জঙ্গি সন্দেহে আগে একবার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করলেও জঙ্গি সংগঠনের সাথে কোনরূপ যোগাযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়ে তাদের জামিন দেয়া হয়। তথ্যসূত্র: দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন , বিডি২৪লাইভ , বাংলানিউজ২৪ , আমাদের বরিশাল , আমার কাগজ , পিটিবি নিউজ ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।