থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি। আগামী কাল রাজাকার শিরোমনি গো আ-এর সজার রায় হবে। ব্যাপারটা নিয়ে অনেক ভাবলাম। চিন্তা করে দেখলাম, এই লোকের বিরুদ্ধেই সবাই। এইটা কেমন কথা?
ছিঃ ছিঃ এমন একজন আলেমের বিরুদ্ধে কি সব জঘন্য অপপ্রচার।
উনি এমন করতেই পারেন না। উনি তো যুদ্ধাপরাধ আদালতে নির্মম বলি, যে আদালতের বিচারের মান আন্তর্জাতিক না, স্থানীয়।
উনি সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই মজলুম জনতার নেতা। উনাকে অনেকেই ১৯৫২ সালের মাতৃভাষা আন্দোলনের সিপাহীসালার বলে। অনেকে বলে উনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টাতেই না কি পূর্ব পাকিস্তান স্বল্প দিনে স্বাধীন হয়।
উনার উপস্থিতির কারনে ১৯৭১ সালে ভারত, বাঙলাদেশের ভূখন্ডের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে পারে নাই। উনি তদবির না করলে শেখ মুজিব জানে বেচে ফিরতে পারত কি না সন্দেহ আছে। মেজর জিয়াও বনে বাঁদাড়ে নয় মাস যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা খেলতে পারত না। ইতিহাসের এই দিকগুলার কথা যেন আমরা মনে রাখি।
পাক-পবিত্র পাকিস্তান যারা ভাঙছে, ষড়যন্ত্র কর্সে, সবগুলাই অপঘাতে মর্সেঃ মুজিব, তাজউদ্দিন, নজরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান [জামাতে নেতা না, তওবা আস্তাগফিরুল্লা ], জিয়া, তাহের, মনজুর, খালেদ -- আর কত নাম বলব? তারাই বেচে আছে যারা পাকিস্তানকে অখন্ড রাখার খোয়াব দেখেছিল।
এই জন্য কি এখন তাদেরও সাজা দিতে হবে? এইটা কোন বিচার? ৪২ বছর আগে কি হৈসে, তা ভুলে গিয়ে মিল মিশ কৈরা দেশ গড়াই এখন সকলের রাষ্ট্রিয় ও ঈমানী দায়িত্ব।
আসুন, আমরা হাতে হাত রেখে আজ শপথ নেই, ৫৫% মুক্তিযোদ্ধার কোটার সাথে ৪৫% রাজাকারি কোটা আদায় করেই আমরা গুয়াকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনব। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।