আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তৃতীয় স্বামীও নির্যাতনে গৃহহারা

সত্যের মাঝে সুন্দর, সুন্দরের মাঝে ভালবাস। ভালবাসার মাঝে বন্ধুত্ব, আর বন্ধুত্বের মাঝে তুমি আমি। ‘বাবা তোমাকে কিভাবে বলবো। খুব লজ্জার কথা। সকাল বেলা বাসায় থেকে না খেয়ে বের হয়েছি।

নাস্তা পর্যন্ত দেয়নি। বের হবার সময় চড়া গলায় বলছে, ব্লাউজ বানাতে দিয়েছি ৪ টা। টাকা দিয়ে যা। ’ বুকভরা দুঃখ নিয়ে মানিকনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ‘প্রধান শিক্ষক’ মো. আক্কাস আলী এ প্রতিবেদককে সবুজবাগ থানার বারান্দায় এ আক্ষেপ জানিয়েছেন। এই আক্ষেপ তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে।

সবুজবাগ থানায় তার স্ত্রীর অত্যাচারের প্রতিকার চেয়ে একটি জিডি করেছেন। জিডি নং : ১৯৩০, তারিখ : ৩০-০৯-২০১১। জীবনের দীর্ঘসময় প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষকতা করে কাটিয়েছেন তিনি। কিন্তু ২০০৬ সালে আক্কাস আলীর প্রথম স্ত্রী মারা যান। তখন আক্কাস আলীর এক মেয়ে ও এক ছেলে স্কুলে পড়ে।

বড় ছেলে বিয়ে করে আলাদা থাকে। ছেলেমেয়েদের কথা চিন্তা করে আক্কাস আলী বিধবা ইয়াসমিন আক্তার (৫৬)কে ২০০৮ সালে ২২ ডিসেম্বর বিয়ে করেন। ইয়াসমিন আক্তারের এটা তৃতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকে ইয়াসমিন তার ছেলেমেয়েকে একদিনের জন্যও আপন করে নেয়নি। সারাক্ষণ ঝগড়াঝাটি আর বাচ্চাদের বাসা থেকে বের করে দেবার কথা বলতো।

গত কয়েক মাস আগে মেয়ের বিয়ের সময় টাকা-গহনা দিতে গেলে প্রচ- ঝগড়া বাধায়। এ দুঃখে ছোট ছেলেটাও বড় ছেলের বাসায় চলে যায়। বর্তমানে মো. আক্কাস ৭০, মা- ঠিকানায় একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন। কিন্তু এক মুহূর্তের জন্যও তিনি সুখে থাকতে পারছেন না। প্রতিদিন তার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হচ্ছে তার স্ত্রী।

তার উদ্দেশ্য আক্কাস আলীর সব টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে তাকে পথে বসিয়ে দেয়া। আক্কাস আলী এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘বাবা শেষ বয়সে বিয়ে করে স্ত্রীর অত্যাচারে মরে যেতে ইচ্ছে করছে। এমন জঘণ্য চরিত্রের স্ত্রী যেন কারো না হয়। ’গতকাল টাকা না দেয়ায় ঝগড়াঝাটির একপর্যায়ে খাটের স্ট্যান্ড দিয়ে আক্কাসকে মারে। মাথা বাঁচানোর জন্য হাত দিয়ে ফেরাতে গেলে হাতে আঘাত লাগে।

ফলে তিনি হাতে ব্যথা পান। পরদিন সকালে থানায় এসেছেন স্ত্রীর বিরুদ্ধে জিডি করার জন্য। প্রশ্ন করেছিলাম কেন আপনার সাথে এরকম করছে? এই প্রশ্নের উত্তরে মো. আক্কাস আলী অপরাধকণ্ঠকে জানান, আসলে বাবা আমিই ভুল করেছি। শেষ বয়সে এসে বিয়ে করা ঠিক হয়নি। তাছাড়া মহিলা ভালো নয়।

সে এখন যে কোনো কৌশলে আমাকে খুন করে কিংবা বস করে আমার টাকাগুলো আত্মসাৎ করার তালে রয়েছে। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে ইয়াসমিন আক্তারের সাথে কথা বললে, তিনি অপরাধকণ্ঠকে বলেন, আমি তো কোনো ঝগড়া করি না। উনি আমাকে বিয়ের সময় মিথ্যে বলে বিয়ে করেছে। তখন বলেছে, তার ছেলেমেয়ে রাজি আছে। বিয়ের পর শুনি ওনার পরিবারের কেউ রাজি নয়।

এ নিয়েই তো সমস্যা। আসলে আমি তো সংসার করতেই চাই। কিন্তু উনিই ভালো নয়। মো. আক্কাস আলীকে খুবই বিষণœ দেখাচ্ছিল। কিছুটা ভীতসন্ত্রস্ত ও বাসায় যেতেও যেন ভয় পাচ্ছিলেন।

আবার কখন তার স্ত্রী তাকে আক্রমণ করে বসে। কিন্তু এ স্ত্রী নির্যাতনের হাত থেকে কে এই বৃদ্ধ অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মো. আক্কাস আলীকে বাঁচাবে? গতমাসে ঠিক একই রকম সমস্যা নিয়ে আমি একটি লেখা লেখেছিলাম অনেকে বলে ছিলো থানায় জিডি করে রাখতে। থানা যাওয়ার পর এস আই যা বললেন, ভাই আইন শুধু নারীর জন্যই তারা মিথ্যা বললেও সত্যি হয়, মনে হয় না খুব একটা সুফল পাবেন! নারীরা কতটা এগিয়ে এবার ভাবুন? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।