আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জয় বাবা রসময়

কে্উ তো এক বারও বলেনি,কেউতো একবারও ভাবেনি টাইটেল দেখেই বোঝা উচিত এই পুষ্ট খানা সকলের জইন্য প্রযোজ্য নাও হইতে পারে। তয় আমার ধারনা ইহা সকলেই পড়িবে এবং সকলের জইন্যই ইহা প্রযোজ্য হইবেক। আজ রবিবার ছিল। এমনিতে রোযা, তারওপর বাসায় কোন কাজ নাই। সন্ধায় এক বাসায় ইফতার এর দাওয়াত আছে।

তাই সকালে (আমার উইকএন্ড এর সকাল মানে আবার দুপুর বারোটার পর) ঘুম থেকে উঠে ভাব্লাম বাসায় কাম কাজ যহন নাই, যাই অফিস গিয়া কম্পিউটার গুতাই গিয়া। তাছাড়া সোমবার দিন একটা কাজ এর ডেডলাইন আছে। ভাবসিলাম দুই ঘন্টার মামলা, মাগার ঘন্টা চাইরেক পরে কোনমতে ফাইনাল বিল্ড/টেষ্ট শেষ হইলো। ক্ষুদ্রনরম কোম্পানির আরামদায়ক অফিস এ বইসা বইসা ভাবতাসি এহন কি করি। হঠাত মনে হইলো আমার গত পুষ্ট এ এক ছোট ভাই এর আবদার “বস ট্রেইলার তো দেখাইলেন।

আসল লেখা এইবার ছাড়েন। ” তো ভাব্লাম আসল লেখাই লিখি। শুরুর আগে গুরুর নাম লইয়া লই। জয় বাবা রসময় গুপ্ত, গুরু তোমায় পেন্নাম। ঠিক কবে বড় হয়েছিলাম খেয়াল নেই।

তবে অতি পাকনা আর ত্যাদড় কিছু পোলাপাইন এর কাছে অচেনা কিছু উচ্চমার্গিয় পুস্তক দেখিয়া বুঝিতে পারিলাম চারিদিকে কিছু একটা ঘটিতেছে। প্রথম প্রথম অইসব অশ্লীল মাগার গীয়ানগর্ভ পুস্তিকা দেখিয়া ভয়ে গুটাইয়া গেলেও বুঝিলাম ইহাই নিয়তি। সেই ৯৩/৯৪ এর দিকে অতটা উচ্চমানের প্রিন্টিং এর পাওয়া যেত না। যা ছিল সবই সাদাকালো, অদ্ভুত সব সাদাকালো ছবি। পুস্তকের সাইজ ও ছিল বড়।

তবে শেষের দিকে মনে হয় রঙ্গিন ও পাওয়া যেত। আমার হাউজের একজনের কাছে আবার সবসময় ষ্টক ফুল থাকতো। ওর লুকানোর টেকনিক দেইখা আমিই মাঝে মইদ্ধে ভিরমি খাইতাম। কখনো নোট খাতার মলাট এর ভিতরে সেলাই করা, কখনো লকার এর ডেকরেশান এর পিছনে। একদিন দেহি হালায় প্রেপ টাইমে কালো জুতার সুকতলির নীচ থিক্কা এক পিস রঙ্গিন ছবি বাইর করছে।

ওস্তাদের মাইর জুতার তলে। শুরু হইল সত্যিকারের গীয়ান অর্জন। প্রতিবার যখন কলেজে ফিরতাম, ঢাকা-বরিশাল লঞ্চই ছিলো মোক্ষম যাতায়াত এর বাহন। আর লঞ্চগুলা ছিল রসময় গুপ্ত সাহেবের নোবেল প্রাইজ কোয়ালিটির পুস্তকে ভরপুর। কত চাই।

যথারিতি প্রত্যেক টার্ম এ নতুন নতুন ষ্টকের আগমন আর পোলাপাইন এর চোদ্দটা বাজা। স্ট্যাটিস্টিক্স এর পোলাপাইন গুলা পর্যন্ত বায়োলজি বইখানার বিশেষ বিশেষ চ্যাপ্টার পড়িয়া যাইতে লাগিল। মনে পড়ে বাংলা ছিঃনেমার পরসিদ্ধ নায়িকা মৌসুমি তখনও কেয়ামত সে কেয়ামত করে নাই। সদ্দ্য টিভিতে মৌসুমির জনী প্রিন্ট শাড়ীর অ্যাড দেখানো শুরু করছে। অ্যাড এর আওয়াজ সুনলেই হইত, মনে হইত যেন তিন হাইজে ভুমিকম্প লাগছে।

সব রুম থিক্কা পোলাপাইন দৌড়াইয়া দৌড়াইয়া টিভি রুম এর দিকে রওয়ানা দিত। আইজকাইল্কার পোলাপাইন যাহারা মৌসুমির ৩০০ কেজি বস্তা দেখিয়া অভ্যস্ত, তাহারা যতই হাসো না কেন ইন দা ইয়ার অফ ১৯৬৯ যখন তোমরা বাচ্চালোগ জন্ম গ্রহন করো নাই, তখন মৌসুমি আপা সত্তই বড় সৈন্দর্য ছিলেন। সিনিয়র রা হয়ত আজকে স্বীকার করতে চাইবেন না, মাগার মনে মনে সকলেই জানেন সেই সব দিনে বাথরুম টয়লেট এ যে কত হাহাকার আর ক্ষনিক উত্তেজনা জলে মিশিয়া গিয়াছে শরতচন্দ্রের ভাষায় ”তাহার ইয়ত্তা নাই”। আজো কানে বাজে সেই গান “প্রিয় প্রিয় প্রিয়, প্রিয় সুন্দরি প্রিন্ট শাড়ি”। আজকের পুষ্ট খানা একখানা ছোট গল্প বলিয়া শেষ করিবো।

তখন মনে হয় ক্লাস নাইন এ পড়ি। প্রত্যেক মাসে হাউজে ভিসিপি তে সিনেমা দেখা হত। বাচ্চালোগ, আবার হাসিও না, in the year of 1969 (মানে ১৯৯১-১৯৯৭) ভিসিপি ই ছিল একমাত্র ভরসা। সিডি প্লেয়ার তখন ও আসে নাই। যাই হোক।

প্রায় সব সিনেমাই হত হিন্দি, হঠাত হঠাত হয়তবা ইংরেজি। তো সেদিন একখানা হিন্দি দেখার পরে কলেজ কালচারাল ভাই সাব একখানা কি জানি সিনেমা ঢুকাইয়া দিলেন। বলা নাই কওয়া নাই, যে চিত্র টিভি তে ভাসিয়া উঠিল তাতে ক্লাস টুয়েল্ভ ও বুঝিতে পারেতেছিল না কর্তব্য কি। শুধু মনে আছে হাউজের সব পোলাপাইন হা করিয়া টিভির দিকে তাকাইয়া আছি। ৫-১০ সেকেন্ডের সীনে কি দেখেছিলাম আজো আমার মনে আছে।

আজ পর্যন্ত অনেক কিছু দেখিয়াছি, এমনকি লাইভ শোও দেখিয়াছি এই বিদেশ বিভুইএ বেশ কয়েকবার (সে গল্প আরেক দিন করব)। স্যান ফ্রান্সিস্‌কোর সেই সব লাইভ অপ্‌সরির (I mean it) চেহারা ভুলিয়া গিয়াছি মাগার সেদিন যা দেখিয়াছিলাম তাহা আজো ভুলি নাই। যাই হোক, আইজকা এইখানেই ক্ষ্যামা দিতে হচ্ছে। ইফতার এর টাইম সমাগত। আল্লায় দিলে ইফতার আইজকা সাড়ে সাতটায়।

কদিন আগেও ছিল আটটায়। সামার এ সুর্য অস্ত যায় পোনে দশটায়। তখন কি হবে আপাতত সেটাই ভাবছি। নেক্সট কিস্তিতে কি লেখব সেইটা পরে ভাব্বো। খোশ আমদেদ মাহে রমজান (জয় বাবা রসময়)।

from (cadet collage blog) ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।