লাল তরঙ্গ, লাল বিপ্লবের বার্তা বয়ে আনে ফ্যানাটিক নাস্তিক ও যুক্তিবোধহীন ফ্যাসিস্ট সাইকো আসিফ মহিউদ্দিন। সমাজের লিবারেল স্পেসের সীমাবদ্ধতাটুকু কখনো বুঝতে চাননি। ভেবেছিলেন ব্লগে উন্মুল লোকগুলোকে কষে ক'খানা গালি দেয়ার মতোই বুঝি জগত নিরাপদ ও স্বাধীন। কিন্তু না। প্রমাণিত হয়েছে তিনি বারবার সেক্যুলার আওয়ামী সরকারেরর সেজদা করলেও সরকার তার এবাদত কবুল করেনি।
তাকে গ্রেফতার করে সরকার দেখিয়ে দিয়েছে সিঙ্গেল পেনি নজরানাও তারা চামচাদের দেয় না। বরং বিরোধীদের প্রতি সরকার যেভাবে বেআইনী ও অমানবিক আচরণ শুরু করেছিল তা শেষ পর্যন্ত আসিফের উপরও বর্তিয়েছে।
এর মাধ্যমে একটি ব্যাপার প্রমাণিত হয়েছে, ফ্যাসিবাদী আচরণ বান্দা ভেদে ভিন্ন হয়ে যায় না। এজমালী প্রয়োগে যারে সামনে পায় তারে কোপানোই হলো ফ্যাসিবাদের নিয়ম।
আসিফের গ্রেফতারের মাধ্যমে আরেকটা ব্যাপার প্রমাণিত হয়েছে নূণ্যতম সামাজিক নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক আশ্রয়ে না থেকেই তারা সাধারণ মানুষকে অচ্ছুত জ্ঞান করে তাদের ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি নাহক আক্রমণ চালিয়েছেন।
অথচ সামান্য ডিবি পুলিশের দাবড়ানিও মোকাবেলা করতে পারলেন না আসিফ!
উপরের কথাগুলোর মাধ্যমে কোন ভাবেই আমরা আসিফের গ্রেফতারকে স্বাগত জানাচ্ছি না। আমরা অবশ্যই এই গ্রেফতারের বিরোধিতা করি। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। তারপরও আমি কথাগুলো বলেছি আসিফের মতোই একদল পিশাচ বলদের উদ্দেশ্যে। যারা নিজেদের সরকারের পকেটের পুতুল মনে করে।
যারা মনে করে তাদের কথায় সরকার শুধু বিরোধীদের পাছাতেই ডিম ঢুকানোর ব্যবস্থা করবে। কিন্তু তাদের পাছা ঠিকই হেফাজতে থাকবে।
তাদেরকেই বলছি এক সময় আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তখন সবাই চেয়েছিলেন তার পাছায় যেন ডিম ঢুকানো হয়। বেচারাকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে।
জামায়াতের নেতাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরও ডিম থেরাপি দেওয়া নিয়ে পৈশাচিক উল্লাস করা হয়েছিল। কয়েক দিন আগে শিবিরের একটা ছেলের বুকে পুলিশ বুট জুতা তুলে দিয়েছিল। তাতেও অনেকে উল্লাস করেছেন। কিন্তু আজ দেখুন রাষ্ট্র যদি আইনের বাইরে গিয়ে সক্রিয় থাকে তাহলে ডিম কিভাবে দল নিরপেক্ষ নির্বিশেষ পাছাপন্থী হয়ে যায়।
এর মাধ্যমে আমি সরকার বিরোধীদের প্রতি বিশেষ সহানুভূতি হাসিল করতে চাচ্ছি না। অবশ্যই চাচিছ এমন নিয়ম চালু হোক যেন নাগরিক অধিকার, মানবাধিকার ও প্রাণের হেফাজত নিশ্চিত হয়। যেন বিরোধী মাত্রই গ্রেফতার ও নিপীড়নের শিকার না হয়।
রাষ্ট্র যেভাবে পুলিশি আচরণ করতেছে তাতে সবার কপালেই বিপদ ঘনিয়ে আসেতেছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার বলে যারা এতদিন লাফাচ্ছিল, সেই সব বলদ ব্লগারদের বলি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন।
৭২-৭৫ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার ক্ষমতায় ছিল এবং ওই সময়েই সব চেয়ে বেশি মুক্তিযোদ্ধা খুন হয়েছিল। অথচ রাজাকার মরেছিল হাতে গোণা কয়েকজন। শঙ্কার ব্যাপার এই যে এবারও জামাত-শিবির ধোলাই খাবে কম, স্বশিবিরের লোকেরাই ডলা খাবে বেশি। তবুও কি তারা হুশিয়ার হবে? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।