আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনেক ১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১ ২০২১ অনেক দুরে দুই হাজার একুশ, অতিরিক্ত চাপাবাজি বললে ভুল হবে না। এই দলের সাথে অনেক দিন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়ীত থাকায় একটা স্বাভাবিক আবেগ এই দলের প্রতি আছে।

কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন..... আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের একটা নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান , আওয়ামীলীগকে ভোট দিয়েছি এবং এই দলের সাথে অনেক দিন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়ীত থাকায় একটা স্বাভাবিক আবেগ এই দলের প্রতি আছে। সম্প্রতি আমেরিকায় হুমায়ুন আহমেদ কে ১০০০০ দশ হাজার ইউ এস ডলার দেয়ায় মন খুশি হয়েছিল আবার বিষাদ ভর করেছিল এই ভেবে যে , হুমায়ন আহমেদ কে যদি ১০০০০০ ( এক লক্ষ ) ইউ এস ডলার দেয়া হতো তিনি কি বর্তমান রাজনৈতিক আওয়ামীলীগের পক্ষে লিখতে পারতেন যদিও ঐ টাকা তাকে আওয়ামীলীগের পক্ষে লিখার জন্যে দেয়া হয়নি। বর্তমান সরকারে সমালোচনা করতে গেলে বা লিখতে গেলে তার পক্ষে লিখার মতো কিছু পাই না। এই শব্দ কি জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার লক্ষন নয়। তা কি বর্তমান সরকার অনুভব করতে পেরেছেন।

শিকেয় তুলে রাখুন ২০২১ মিশন ভিশন। ডিজিটাল শব্দটির অপপ্রয়োগ করা হয়েছে। তা ছিল সময়ের দাবী তা হওয়ার পথেই অবশ্যম্ভাবী একটা প্রতিশব্দ কিন্তু ভোট কে প্রভাবিত করার মতো শক্তি এই ডিজিটালের মধ্যে নিহিত নয় । তা না হলে তো ২০০১ ইং মোবাইল অপারেটরের ব্যাবসা উম্মুক্ত করে দেয়ার জন্যে আওয়ামীলীগ আবার ক্ষমতায় যেত। পদ্মাব্রীজ , যমুনা ব্রীজ , গভীর সমুদ্র বন্দর , বিমান বন্দর , সাব ওয়ে পাতাল রেল , মনো রেল কত কথাই না শনুছি।

আসলে বড় বড় প্রজেক্টে আমাদের বর্তমান আমলাতান্ত্রিক সরকারের এত আগ্রহ কেন ? দুর্নিতি হবে তার সিলিং কত ? আর কেনই বা দূর্নিতি, তার মুল উৎপাটন করতে গেলে বর্তমান সরকার কে কি করতে হবে। আমলারা দেশ পরিচালনা করছেন ভালো ,তাতে খারাপের কিছু নয় । রাজনৈতিক ব্যাক্তি বর্গের অনভিজ্ঞতা আমলারা খুব সহজে তাদের পরিকল্পনার দিকে পরিচালিত করে। কিন্তু আমলাদের কাজ হলো বৃহত্তর জনগোষ্টির স্বার্থে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেক অনেক পরিকল্পনা, যা শেষ বিজয়ে বৃহত্তর জনগোষ্টিই লাভবান হবেন। তাদের দূর্নিতির সিলিং ধরে নিয়ে অনেক উন্নয়ন করতে হবে যা বৃহত্তর প্রান্তিক জনগোষ্টির আমদানীর উপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করে।

পদ্মা ব্রীজ = ব্যায় হবে ২১হাজার কোটি টাকা । যা বিদেশী সাহায্য নির্ভর যার সুদ বর্তমান সুদের সাথে সংযুক্ত হয়ে বছরে হবে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার অধিক। বিদেশী সাহায্য দুর্নিতির একটা অনুকুল ক্ষেত্র। আমাদের বাজেটে প্রতিবছর দেশীয় এবং বিদেশী ব্যাংকের যে সুদ পরিশোধ করতে হয় তা প্রায় বাজেটরে ২০% এর উপর পর্যায়ক্রমে আমরা ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ছি এবং আমাদের দেশ জাতীসত্বাকে বিপদের মুখে ধাবিত করছি। বড় বড় যে কোন প্রজেক্টে টাকা দেয়ার জন্যে বিদেশী দাতা সংস্থা গুলোর আগ্রহ দেখা যায় ।

কিন্তু তা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় কতটুকু বাস্তব সম্মত তা খতিয়ে দেখা হয় না। বর্তমান চলতি ব্যাবসাই বড় ব্যাবসা ,যদি আবার ক্ষমতায় আসতে না পারি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।