সরকার যেসকল কারণে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করবে না; ১. জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে এদের বিপুল সমর্থক এবং সহযোগী সংগঠন শিবিরের কর্মীরা চরমপন্থিদের ন্যায় ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ দল হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তখন এরা সাধারণ মানুষ তথা দেশের বিভিন্ন এলাকায় অতর্কিত কিংবা চোরাগোপ্তা হামলা যা মোকাবেলা করার সামর্থ্য দেশের পুলিশ বাহিনীর নেই। ফলে ধীরে ধীরে দেশ আরেকটি পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানে পরিণত হয়ে যাবে। ২. জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলে তাদের সমর্থকদের পুরোটাই বিশেষত গ্রামাঞ্চলের লোকজনের ভোটগুলো বিএনপির পক্ষে চলে যাবে এবং এতে আওয়ামীলীগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ৩. মুখে যতই সরকার বলুক ধর্ম নিয়ে ব্যবসা বন্ধ করতেই তারা জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চাচ্ছে, কিন্তু তারা এটাও জানে গ্রামের একটা বিশাল অংশের অশিক্ষিত, গোঁয়ার জনগণ জামায়াতের নেতাদের শ্রদ্ধার চোখেই দেখে এবং তাদের নেতৃত্বকে হারাম ঘোষণা করা হলে আওয়ামীলীগ তাদের কাছে সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধি হিসেবেই গণ্য হবে। ৪. সৌদি আরব কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি রাজনৈতিক সমর্থনও পেয়ে চলেছে জামায়াত। তাই তাদের নিষিদ্ধকরণ ওইসব দেশে বাংলাদেশী শ্রমবাজারের উপর বিরূপ প্রভাব তৈরি করবে তা বলাই বাহুল্য। ৫. আর রাজনীতিতে শেষ কথা বলে যেহেতু কিছু নেই, তাই ২০ বছর পরে গোলাম আজম,নিজামী মারা গেলে জামায়াত যে ’৯১ এর মত আবার লীগের ছায়াতলে আসবে না তার কোন গ্যারান্টিও দেওয়া যাচ্ছে না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।