ইমরোজ অনেক অনেক দিন পরের কথা। এখন থেকে কম করে হলেও ২৫০০ বছর পরের কথা। আমি সাধারণত সাইন্স ফিকশন লিখি না। পছন্দও করি না। তবে এ জিনিস ব্যাখ্যা করতে আমার সাইন্স ফিকশনের কাছেই ধরণা দিতে হলো।
আজ থেকে ২৫০০ বছর পর, এক জাতের উদ্ভব হলো। এরা মানুষের মতই দেখতে। তেমনি হাত পা, কথা বলা, ভাষা, চালচলন সবই একই। শুধু তফাৎটা এই যে এরা আকারে আমাদের থেকে ছোট। এভারেজে সব থেকে লম্বা মানুষ ৫ ফুট, আর সব থেকে খাটো এভারেজে ৪ ফুট ৫ ইঞ্চি।
এমনি এক সভ্যতা নতুন করে দানা বাঁধতে শুরু করে বুড়িগঙ্গার পাড়ে। বুড়িগঙ্গা নদী, এখন সচ্ছ। এতই স্বচ্ছ যে এর পানি টলটলে। তাতে মাছ দেখা যায়। তাতে ছোট ছোট ভেলায় সে যুগের মানুষেরা ভেসে বেড়ায়।
তারা নতুন সভ্যতার সূচনা করছে মাত্র।
এ যুগে বিজ্ঞানের উন্নতি হচ্ছে। বুড়িগঙ্গাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে সভ্যতা। তেমনি এক সুন্দর পরিবেশে এক লোক বুড়িগঙ্গা থেকে হেটে চলে গেছেন অনেকখানি দূরে। যেতে যেতে সে এক ধারে দেখতে পেল, একটা আধভাঙ্গা দেয়াল।
তার গায়ে কিসব লেখা। এ যুগের মানুষের ভাষার সাথে তার কোন মিল নেই। সেই দেয়ালের ওপাশে সে অবাক হয়ে দেখতে পেল, ছোট ছোট মাটির ঢিবি। অনেকগুলো। এগুলো কি, তা সে বুঝতে পারে না।
আকস্মিক তার মাথায় একটা বুদ্ধি আসে। সে একটা কোদালের মত যন্ত্র নিয়ে মাটির ঢিবিগুলোতে আঘাত হানে। আঘাত হানতে হানতে হঠাৎ বেড়িয়ে পড়ে কতগুলো লাশ। মানুষটি লাশগুলো দেখে অবাক হয়। সে প্রত্নতত্ত্বের সন্ধান পেয়েছে, এই ভেবে সে বুড়িগঙ্গার তীরে ছোট্ট শান্ত সভ্যতায় ফিরে আসে।
সে অবাক হয়ে সবাইকে জানায়। সবাই দেখতে চলে যায় সেই জায়গাটা। যেখান থেকে প্রত্নতত্ত্ববিদেরা খুড়ে খুড়ে অনেকগুলো লাশ বের করে।
যে যুগের কথা বলছি, সেই যুগেরও পার হয়ে গেছে আরও কয়েক দশক। বিজ্ঞানীরা বেড় করেছেন, এটা আগে বঙ্গভূমি ছিল।
প্রত্নতাত্ত্বিকেরা বের করেছেন, এখানে আগে অনেক রাজা বাদশার বাস ছিল। ছিল অনেক খেটে খাওয়া মানুষের বসবাস। কিন্তু কেউই এটা বলতে পারছে না, কেমন করে সেই বঙ্গভূমির মানুষেরা তাদের লাশ সংরক্ষণ করে রেখেছে? তারা এই লাশগুলোকে মিউজিয়ামে রেখে রীতিমত পূজা করে। তারা এর নাম দিয়েছে মমি।
অবাক হয়ে লোকজন দেখে সেই মমি।
অবিকল সেই মানুষগুলো যেন এখনই জীবন্ত হয়ে উঠবে। এই মমিগুলোর কয়েক হাজারবার পোস্টমর্টেম হয়ে যায়, তবু বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারে না কেমন করে, এই শরীর গুলো এখনও অক্ষত আছে?
এর উত্তর তারা বলতে পারবে না কোনদিন। তাই আমি এই যুগে বসে বলে দিচ্ছি, ফরমালিন দেওয়া মাছ, ফলমূল, খেয়েই আমরা আমাদের লাশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। যা ভবিষ্যতের মানব সভ্যতার কাছে এক বিস্ময় হয়ে আবির্ভূত হবে।
আর তখনকার এক ধর্ম গ্রন্থে আমরাই কি পাবো না ফেরাউনের মত খ্যাতি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।