সম্প্রতি হরতালের দিন পুলিশ বুট দিয়ে চেপে ধরেছিল এক যুবককে। ওই যুবকের এক বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়ে যায় যে, পুলিশ ক্যামেরার সামনে এভাবে যুবকের গলা চেপে ধরলো কেন? ওই পুলিশ সদস্য কি জামাত বা বিএনপির মাল? ইত্যাদি ইত্যাদি... অথচ বাস্তবতা হলো, সেদিন পুলিশ এরকম পাশবিক কাজ অসংখ্য করেছে। সাংবাদিকদের হাতে ক্যামেরা থাকায় এবং ওই ছবিটি মুহুর্তের মধ্যে তুলে ফেলায় তা দেশবাসী দেখতে পেয়েছে।
এবার আজকের পত্রিকায় ছবি ছাপা হলো দুই জামাত নেতার ডাণ্ডাবেরী পরানো ছবে।
কুখ্যাত অপরাধী, খুনি মামলার আসামীদের এভাবে ডাণ্ডবেরি পরানো হয়। কিন্তু এই প্রথম শীর্ষস্থানীয় কোন রাজনৈতিক নেতাকে পরানো হলো। আগামীকাল থেকে সরকারের মন্ত্রীরা তোরজোর শুরু করে দেবে, '''এটিও ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা'''' তা খতিয়ে দেখার জন্য। ছবির পুলিশ সদস্যরা কি আওয়ামী লীগ করে নাকি জামাতি মাল? ইত্যাদি ইত্যাদি..
এরপর বটতলার উকিল কামরুল বলবেন, এক ডাণ্ডাবেরিতেই সব অর্জন শেষ হয়ে যায় না।
সরকারের ভেবে দেখা উচিত, এটি এম আজহার ডান্ডাবেরির কারণে তার পাঞ্জাবি কোমরের উপরে তুলে ধরতে বাধ্য হয়েছেন।
সরকার পরিবর্তিত হলে শেখ হাসিনাকে যদি এভাবে ডান্ডাবেরী পরানো হয় এবং এ কারণে ওনার যদি শাড়ি কোমর পর্যন্ত তুলে দিতে বাধ্য হতে হয়, তখন কীরকম দৃশ্যের অবতারণা হবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।