সাহেব-বিবি-গোলাম.....সাবধান.. আমরা সচারচর একটি শব্দ ব্যবহার করি মৌলবাদ। আর কেন ব্যবহার করি? এটা ব্যবহার করি একমাত্র গালি হিসাবে। আসলে মৌলবাদ এর সঠিক অর্থ কি? আসলেই কি এটা গালি?
আমরা প্রথমে মৌলবাদ শব্দের অর্থ জানার চেষ্টা করব।
মৌলবাদ শব্দের অর্থ কোন ধর্মের মূলভিত্তি ও আদর্শকে নিগুড় অনুসন্ধান করে তা যথাযথরূপ অনুসরণে সচেষ্ট হওয়া। যারা সচেষ্ট হয় তাদেরকে মৌলবাদ বলে।
যদি সে ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করে তবে সে মুসলিম মৌলবাদী। যদি খৃষ্টান হয় তবে খৃষ্টান মৌলবাদী। ইয়াহুদী হলে ইয়াহুদী মৌলবাদী, হিন্দু হলে হিন্দু মৌলবাদী।
শিকড় হচ্ছে গাছের আহার সংগ্রাহক মূল অংশ। শিকড় যতদিন বেচে আছে ততদিন গোটা গাছ বেচে থাকে।
শিকড় না বাচলে গাছ বাচেনা।
তদ্রূপ মৌলবাদীরা হচ্ছে ধর্মের মূল শিকড়। ইসলামের সকল হুকুম আহকাম না মানলে মৌলবাদ হওয়া যায় না। যারা আমলে নড়বড় , ইচ্ছা হলে নামাজ পড়ে না হলে নামাজ পড়ে না, রোযা রাখে তো রাখে না, মাঝে মাঝে ইসলামের জন্য উৎসাহিত হয়ে যায় আবার মাঝে মাঝে বিধর্মীদের অনুসরণ করে তারা কখনও মৌলবাদ হতে পারে না। আর মৌলবাদদের জন্য পরকালে জান্নাত নিশ্চিত।
মসুলমানদের কে মূল থেকে সরানোর জন্য বিধর্মী শত্রুরা এ শব্দ প্রয়োগ করে থাকে যাতে মসুলমানরা এ শব্দের প্রয়োগ থেকে বাচার জন্য ধর্ম-কর্ম না করে। (নাউযুবিল্লাহ)।
উল্লেখ্য বাংলাদেশে এ শব্দের প্রথম প্রচারক হল বিবিসি এবং ভয়েস অব আমেরিকা। যারা একটি বিশেষ দেশের অন্তর্ভুক্ত হবার কারনে খৃস্টান মৌলবাদ এর সাথে পরিচিত।
বর্তমানে এর দ্বারা বিশেষ মতের অনুসারীদের গালি দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু এ শব্দটির সাথে গালির কোন সম্পর্ক নাই। মসুলমানদেরকে এ শব্দ দ্বারা গালি দেয়া হয় না বরং তাদের প্রশংসা করা হয়। যেমন কাউকে নীতিবাদী বললে গালি হয় না বরং প্রশংসা করা হয়।
মুশরিকদের কাছে কোন আসমানী কিতাব নাই আর খৃস্টান ইয়াহুদরা তাদের কিতাব কে পরিবর্তন করেছে। শুধু মসুলমান মৌলবাদরাই সঠিক পথে আছে।
মোটকথা মৌলবাদ কোন গালি নয় । তা হচ্ছে উচ্ছ্বাসিত প্রশংসা। আসলে আমাদের দেশে যারা মৌলবাদ শব্দকে গালি হিসাবে ব্যবহার করে তারা বে-ওকুফ, মৌলবাদএর অর্থি জানে না।
তারা যদি মৌলবাদ এর অর্থ জানত তবে আর এ শব্দ দ্বারা গালি দিতনা। কেননা এটা সম্মানজনক শব্দ।
বাস্তবে পরিতাপের বিষয় যেখানে মৌলবাদ হওয়াটা বিশ্বে খাটি ও প্রকৃত হবার পরিচয় তা বাংলাদেশে গালি হিসাবে প্রচলিত। তারা মৌলবাদ এর অর্থ না জেনে ইসলামের মূলনীতীর অনুসারীদের মৌলবাদ বলে। যা হস্যকর। আর এর মাধ্যমে তারা বিদেশী প্রভুদের মনরঞ্জনে ব্যপৃত।
দেশের স্বার্থে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মসুলমানদের স্বার্থে তাদের এ জাতীয় কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।
সবাই ভাল থাকবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।